অনেক স্বপ্ন, কঠিন লড়াই by কিঙ্কর আহ্সান
একজন অ্যাথলেটকে সাঁতরে পার হতে হবে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার, সাইকেলে পাড়ি দিতে হবে ১৮০ কিলোমিটার এবং দৌড়ে অতিক্রম করতে হবে ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার। মাত্র ১৮ ঘণ্টার ভেতরে এতটা দূরত্ব অতিক্রম সত্যিই কঠিন এক কাজ।
কিন্তু ‘কঠিনেরে ভালোবাসিলাম’—এমন মানসিকতা এবং দৃঢ় প্রত্যয় থেকে প্রায় তিন হাজার ২০০ জন অ্যাথলেট নিউইয়র্কে জড়ো হচ্ছেন ‘আয়রনম্যান চ্যাম্পিয়নশিপ’ নামের এক প্রতিযোগিতায়। ১৯৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর কমান্ডার জন কলিন্স প্রথম এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।
২২ জুলাই ২০১২ সালের আয়রনম্যান চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছেন একজন বাংলাদেশি। তাহসিন ইমতিয়াজ আলম নামের এই বাংলাদেশি তরুণ উত্তরার আগাখান ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে ‘এ’ লেভেল সম্পন্ন করে উচ্চতর শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। রোমাঞ্চপ্রিয় এই তরুণ কখনো মেতে ওঠেন বরফের ভেতর দিয়ে স্কেটিং করায়, কখনো সাঁতার, আবার কখনো বা রান্নাবান্নায়। আড়াই বছর ধরে তিনি কঠোর অনুশীলন করছেন আয়রনম্যান চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার জন্য। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো সাঁতার শিখে এমন প্রতিযোগিতায় যাওয়ার জন্য মনস্থির করাটা সত্যিই সাহসের কাজ। এর আগে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার জন্য তিনি ফিলাডেলফিয়ার হাফ ম্যারাথন এবং পেনসিলভানিয়ায় হাফ আয়রনম্যান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন। ‘হাফ আয়রনম্যান’-এ মূল আয়োজনের অর্ধেকটা দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়।
‘শৈশব থেকেই যেকোনো কাজ বা অভিযান শুরু করলে তার শেষটা দেখা ওর চাই-ই চাই। কঠোর পরিশ্রম দিয়ে প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে যেন এ দেশের সুনাম বাড়াতে পারে, এমনটাই আমার চাওয়া। ওর প্রতি শুভকামনা জানানোর জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রইল।’ নিজের ছেলেকে নিয়ে এভাবেই বলেন তাহসিনের মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আমেনা বেগম।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে আসছে প্রতিযোগিতা শুরুর দিনটি। তাহসিন ইমতিয়াজ আলমের অনেক স্বপ্ন এ আয়োজন নিয়ে। জয়ী হয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে নিউইয়র্কের পথে পথে জয়ের কথা জানান দিয়ে যাবেন এমনটাই ইচ্ছা তাঁর। ইচ্ছে আর স্বপ্ন পূরণ হোক। কঠিন এই লড়াইয়ে প্রার্থনা আর শুভকামনা নিয়ে তাহসিনের পাশেই যে থাকবে দেশের মানুষ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই ।
২২ জুলাই ২০১২ সালের আয়রনম্যান চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছেন একজন বাংলাদেশি। তাহসিন ইমতিয়াজ আলম নামের এই বাংলাদেশি তরুণ উত্তরার আগাখান ফাউন্ডেশন স্কুল থেকে ‘এ’ লেভেল সম্পন্ন করে উচ্চতর শিক্ষার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। রোমাঞ্চপ্রিয় এই তরুণ কখনো মেতে ওঠেন বরফের ভেতর দিয়ে স্কেটিং করায়, কখনো সাঁতার, আবার কখনো বা রান্নাবান্নায়। আড়াই বছর ধরে তিনি কঠোর অনুশীলন করছেন আয়রনম্যান চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার জন্য। ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো সাঁতার শিখে এমন প্রতিযোগিতায় যাওয়ার জন্য মনস্থির করাটা সত্যিই সাহসের কাজ। এর আগে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার জন্য তিনি ফিলাডেলফিয়ার হাফ ম্যারাথন এবং পেনসিলভানিয়ায় হাফ আয়রনম্যান চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন। ‘হাফ আয়রনম্যান’-এ মূল আয়োজনের অর্ধেকটা দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়।
‘শৈশব থেকেই যেকোনো কাজ বা অভিযান শুরু করলে তার শেষটা দেখা ওর চাই-ই চাই। কঠোর পরিশ্রম দিয়ে প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে যেন এ দেশের সুনাম বাড়াতে পারে, এমনটাই আমার চাওয়া। ওর প্রতি শুভকামনা জানানোর জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রইল।’ নিজের ছেলেকে নিয়ে এভাবেই বলেন তাহসিনের মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আমেনা বেগম।
হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে আসছে প্রতিযোগিতা শুরুর দিনটি। তাহসিন ইমতিয়াজ আলমের অনেক স্বপ্ন এ আয়োজন নিয়ে। জয়ী হয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে নিউইয়র্কের পথে পথে জয়ের কথা জানান দিয়ে যাবেন এমনটাই ইচ্ছা তাঁর। ইচ্ছে আর স্বপ্ন পূরণ হোক। কঠিন এই লড়াইয়ে প্রার্থনা আর শুভকামনা নিয়ে তাহসিনের পাশেই যে থাকবে দেশের মানুষ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই ।
No comments