এবিসি রেডিও-প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’-জনসংযোগে দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দরকার
এবিসি রেডিওর স্টুডিওতে প্রথম আলো জবস ‘হতে চাই পেতে চাই’ অনুষ্ঠানে সম্প্রতি ফোরথট পিআরের নির্বাহী পরিচালক ইকরাম মঈন এসেছিলেন। তিনি কথা বলেছেন কথাবন্ধু ব্রতির সঙ্গে। পাবলিক রিলেশন অর্থাৎ জনসংযোগ (পিআর) বিষয়ে পড়াশোনা, প্রশিক্ষণ এবং এ পেশার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
কথাবন্ধু: পাবলিক রিলেশনস বা জনসংযোগ বিষয়টি সম্পর্কে কিছু বলুন?
ইকরাম মঈন: পাবলিক অর্থাৎ জনসাধারণ আর রিলেশন অর্থ সম্পর্ক। সুতরাং পাবলিক রিলেশন হচ্ছে জনসংযোগ। এ দুটির মধ্যে আমরা একটি সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করি। আমাদের গ্রাহকেরা তাঁদের প্রতিষ্ঠান ও পণ্য-সেবা জনগণের কাছে তুলে ধরতে চান। তাঁরা জনসংযোগ সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না। তাই তাঁরা আমাদের কাছে আসেন। আর আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁদের কাজ করে দিই।
কথাবন্ধু: ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান ফোরথট পিআরের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল এবং বর্তমানে এর অবস্থান কী?
ইকরাম মঈন: আমাদের কাছে কোনো জরিপ নেই যে আমরা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছি। আমাদের দেশে পিআর ইন্ডাস্ট্রিতে (শিল্পে) আরও পাঁচ থেকে ছয়টি এজেন্সি বা সংস্থা আছে। তারাও ভালো করছে। প্রতিটি এজেন্সিরই ওয়েবসাইট রয়েছে। ওয়েবসাইটগুলো ভিজিট করলে দেখতে পাবেন যে প্রতিটি এজেন্সিরই ছয় থেকে ১০টির মতো গ্রাহক আছে। কিন্তু ফোরথটের ওয়েবসাইটে দেখতে পাবেন এখানে ২০-এর অধিক গ্রাহক রয়েছেন। সেদিক থেকে আমরা কিছুটা এগিয়ে আছি বলে মনে করি।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাজারে জনসংযোগ বা কমিউনিকেশন্সের গুরুত্ব বা অবদান কতটুকু?
ইকরাম মঈন: পশ্চিমা বিশ্বে ৫০-৬০ বছর ধরে পাবলিক রিলেশন বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে। সেখানে ৪০-৪৫ বছর ধরে পাবলিক রিলেশন বিষয়টি একটি পেশা ও শিল্প হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত। আমাদের নিকটতম দেশ ভারতও এ বিষয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে পাবলিক রিলেশন বা জনসংযোগ বিষয়টির তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। তবে আশার কথা হচ্ছে, গত ছয়-সাত বছরে এখানে অনেক পাবলিক রিলেশন এজেন্সি হয়েছে। জনসংযোগের ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বেড়েছে। পাবলিক রিলেশনের গুরুত্ব এবং এর অবদান অনেক। এর মাধ্যমে খরচ কমিয়ে সহজেই একটি কাজ সম্পন্ন করা যায় এবং বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণের কাছে যাওয়া সম্ভব।
কথাবন্ধু: প্রচারের মাধ্যম হিসেবে পাবলিক রিলেশনস কতটুকু সার্থক? এখানে কাজের ক্ষেত্রগুলো বা ব্যাপ্তি কতটুকু?
ইকরাম মঈন: আমরা এ মুহূর্তে ২২টি ভিন্ন ভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য (খাদ্যসহ), সিমেন্ট কোম্পানি (লাফার্জ), হোটেল, রিসোর্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি, টেলিকম, স্পোর্টস ও গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গেও কাজ করছি। এখানে কাজ করার অনেক জায়গা রয়েছে। সব বিষয় নিয়েই আমরা জনসংযোগের কাজ করছি।
এ পেশায় অনেক দক্ষ ও সৃজনশীল লোকের দরকার রয়েছে। কারণ এ মুহূর্তে পাঁচ থেকে ছয়টি পিআর এজেন্সি থাকলেও ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। তবে যাঁদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা আছে, তাঁদের এখনই এ শিল্পে আসা উচিত।
কথাবন্ধু: তরুণদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন পেশার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। একজন শিক্ষার্থী এ বিষয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রতি আকৃষ্ট হলে পরিবার থেকে কী ধরনের সহযোগিতা বা বাধার সম্মুখীন হতে হয়?
ইকরাম মঈন: পরিবার থেকে তাদের অনেক সুবিধা দেওয়া উচিত। শিক্ষা ও আগ্রহ ঘর থেকেই কিন্তু শুরু হয়। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকেরই পর্যাপ্ত ধারণা নেই। পরিবার থেকেই এ জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এখানেও নিজের দক্ষতা দিয়ে যে কেউ নিজেকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন। তবে পাবলিক রিলেশন নিয়ে এখন অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছে। পারিবারিকভাবে বাধা আসার কোনো কারণ নেই। এ পেশায় ছেলেমেয়ে কোনো ভেদাভেদ নেই। সৃজনশীল কাজ বলে এই শিল্পে মেয়েদের আসা উচিত।
কথাবন্ধু: একজন ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি কীভাবে এ কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারে?
ইকরাম মঈন: খণ্ডকালীন হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় দিতে হয়। ক্লাসের ফাঁকে অনেকেই খণ্ডকালীন কাজ করতে পারেন। তবে এ জন্য তাঁদের পিআর এজেন্সিগুলোর সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করা উচিত। নিজের আগ্রহ থাকতে হবে এবং নিজেকেই সময়-সুযোগ তৈরি করে নিতে হবে।
কথাবন্ধু: নিজেকে সফল করে তুলতে একজন ব্যক্তির জন্য কী কী গুণাবলির প্রয়োজন?
ইকরাম মঈন: কিছু দক্ষতা অবশ্যই থাকা উচিত। এ জন্য সুন্দর করে এবং গুছিয়ে কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বের অর্থনীতি বা রাজনীতি এবং দেশের অর্থনীতি নিয়ে ধারণা থাকতে হবে। দেশের মিডিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা থাকা উচিত। যোগাযোগের দক্ষতা থাকা উচিত। নিয়মিত সংবাদপত্র পড়তে হবে। বাজেটসহ সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই আপনি সফল হবেন। দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাবেন।
শ্রোতাবন্ধু শরীফ (খুদেবার্তা থেকে) বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে পিআরের কাজ করার সুযোগ রয়েছে কি না? এ নিয়ে প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা কি রয়েছে?
ইকরাম মঈন: অবশ্যই সুযোগ রয়েছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। এটা কোনো ব্যাপার নয়। মেইল বা স্কাইপির মাধ্যমেও আমরা এ কাজ করতে পারি। আমরা অবশ্যই এ নিয়ে কাজ করতে পারি এবং করছি। জনসংযোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো তেমন প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে এখনো সে রকম গড়ে ওঠেনি। তবে শুরু করা উচিত। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করছি। হয়তো দ্রুত এ ব্যাপারে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।
কথাবন্ধু: নতুন যাঁরা এ পেশায় আসতে চান, তাঁদের জন্য আপনার দিকনির্দেশনা কী হবে?
ইকরাম মঈন: মনে করতে হবে কোনো কিছুই ছোট নয়। সব সময় ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে। পরিশ্রমী হতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। সফলতা আসবেই। আপনি আগ্রহী হলে আমরা আপনাকে স্বাগত জানাব।
কথাবন্ধু: প্রথম আলো জবস অনুষ্ঠানে ভিন্নধর্মী কাজের ক্ষেত্রগুলোকে তুলে ধরা হচ্ছে, তরুণদের মধ্যে নতুন নতুন পেশার প্রতি উৎসাহ তৈরিতে সাহায্য করছে। এ ধরনের উদ্যোগকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
ইকরাম মঈন: এ ধরনের উদ্যোগকে আমি অবশ্যই স্বাগত জানাই। এ রকম অনেক নতুন নতুন পেশা সম্পর্কে তরুণেরা কিছুই জানে না। প্রথম আলো জবস ও এবিসি রেডিও বর্তমান তরুণদের কাছে তা তুলে ধরছে। তারা নতুন নতুন পেশা সম্পর্কে জানতে পারছে। এটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
ইকরাম মঈন: পাবলিক অর্থাৎ জনসাধারণ আর রিলেশন অর্থ সম্পর্ক। সুতরাং পাবলিক রিলেশন হচ্ছে জনসংযোগ। এ দুটির মধ্যে আমরা একটি সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করি। আমাদের গ্রাহকেরা তাঁদের প্রতিষ্ঠান ও পণ্য-সেবা জনগণের কাছে তুলে ধরতে চান। তাঁরা জনসংযোগ সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না। তাই তাঁরা আমাদের কাছে আসেন। আর আমরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁদের কাজ করে দিই।
কথাবন্ধু: ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান ফোরথট পিআরের যাত্রা কীভাবে শুরু হয়েছিল এবং বর্তমানে এর অবস্থান কী?
ইকরাম মঈন: আমাদের কাছে কোনো জরিপ নেই যে আমরা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছি। আমাদের দেশে পিআর ইন্ডাস্ট্রিতে (শিল্পে) আরও পাঁচ থেকে ছয়টি এজেন্সি বা সংস্থা আছে। তারাও ভালো করছে। প্রতিটি এজেন্সিরই ওয়েবসাইট রয়েছে। ওয়েবসাইটগুলো ভিজিট করলে দেখতে পাবেন যে প্রতিটি এজেন্সিরই ছয় থেকে ১০টির মতো গ্রাহক আছে। কিন্তু ফোরথটের ওয়েবসাইটে দেখতে পাবেন এখানে ২০-এর অধিক গ্রাহক রয়েছেন। সেদিক থেকে আমরা কিছুটা এগিয়ে আছি বলে মনে করি।
কথাবন্ধু: বাংলাদেশ তথা বিশ্ববাজারে জনসংযোগ বা কমিউনিকেশন্সের গুরুত্ব বা অবদান কতটুকু?
ইকরাম মঈন: পশ্চিমা বিশ্বে ৫০-৬০ বছর ধরে পাবলিক রিলেশন বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে। সেখানে ৪০-৪৫ বছর ধরে পাবলিক রিলেশন বিষয়টি একটি পেশা ও শিল্প হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত। আমাদের নিকটতম দেশ ভারতও এ বিষয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে পাবলিক রিলেশন বা জনসংযোগ বিষয়টির তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। তবে আশার কথা হচ্ছে, গত ছয়-সাত বছরে এখানে অনেক পাবলিক রিলেশন এজেন্সি হয়েছে। জনসংযোগের ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বেড়েছে। পাবলিক রিলেশনের গুরুত্ব এবং এর অবদান অনেক। এর মাধ্যমে খরচ কমিয়ে সহজেই একটি কাজ সম্পন্ন করা যায় এবং বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণের কাছে যাওয়া সম্ভব।
কথাবন্ধু: প্রচারের মাধ্যম হিসেবে পাবলিক রিলেশনস কতটুকু সার্থক? এখানে কাজের ক্ষেত্রগুলো বা ব্যাপ্তি কতটুকু?
ইকরাম মঈন: আমরা এ মুহূর্তে ২২টি ভিন্ন ভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য (খাদ্যসহ), সিমেন্ট কোম্পানি (লাফার্জ), হোটেল, রিসোর্স, ইনফরমেশন টেকনোলজি, টেলিকম, স্পোর্টস ও গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গেও কাজ করছি। এখানে কাজ করার অনেক জায়গা রয়েছে। সব বিষয় নিয়েই আমরা জনসংযোগের কাজ করছি।
এ পেশায় অনেক দক্ষ ও সৃজনশীল লোকের দরকার রয়েছে। কারণ এ মুহূর্তে পাঁচ থেকে ছয়টি পিআর এজেন্সি থাকলেও ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। তবে যাঁদের দক্ষতা ও সৃজনশীলতা আছে, তাঁদের এখনই এ শিল্পে আসা উচিত।
কথাবন্ধু: তরুণদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন পেশার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। একজন শিক্ষার্থী এ বিষয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রতি আকৃষ্ট হলে পরিবার থেকে কী ধরনের সহযোগিতা বা বাধার সম্মুখীন হতে হয়?
ইকরাম মঈন: পরিবার থেকে তাদের অনেক সুবিধা দেওয়া উচিত। শিক্ষা ও আগ্রহ ঘর থেকেই কিন্তু শুরু হয়। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকেরই পর্যাপ্ত ধারণা নেই। পরিবার থেকেই এ জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এখানেও নিজের দক্ষতা দিয়ে যে কেউ নিজেকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন। তবে পাবলিক রিলেশন নিয়ে এখন অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছে। পারিবারিকভাবে বাধা আসার কোনো কারণ নেই। এ পেশায় ছেলেমেয়ে কোনো ভেদাভেদ নেই। সৃজনশীল কাজ বলে এই শিল্পে মেয়েদের আসা উচিত।
কথাবন্ধু: একজন ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি কীভাবে এ কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারে?
ইকরাম মঈন: খণ্ডকালীন হিসেবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় দিতে হয়। ক্লাসের ফাঁকে অনেকেই খণ্ডকালীন কাজ করতে পারেন। তবে এ জন্য তাঁদের পিআর এজেন্সিগুলোর সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করা উচিত। নিজের আগ্রহ থাকতে হবে এবং নিজেকেই সময়-সুযোগ তৈরি করে নিতে হবে।
কথাবন্ধু: নিজেকে সফল করে তুলতে একজন ব্যক্তির জন্য কী কী গুণাবলির প্রয়োজন?
ইকরাম মঈন: কিছু দক্ষতা অবশ্যই থাকা উচিত। এ জন্য সুন্দর করে এবং গুছিয়ে কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বের অর্থনীতি বা রাজনীতি এবং দেশের অর্থনীতি নিয়ে ধারণা থাকতে হবে। দেশের মিডিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা থাকা উচিত। যোগাযোগের দক্ষতা থাকা উচিত। নিয়মিত সংবাদপত্র পড়তে হবে। বাজেটসহ সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাহলেই আপনি সফল হবেন। দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাবেন।
শ্রোতাবন্ধু শরীফ (খুদেবার্তা থেকে) বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে পিআরের কাজ করার সুযোগ রয়েছে কি না? এ নিয়ে প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা কি রয়েছে?
ইকরাম মঈন: অবশ্যই সুযোগ রয়েছে। ইন্টারনেটের কল্যাণে পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়। এটা কোনো ব্যাপার নয়। মেইল বা স্কাইপির মাধ্যমেও আমরা এ কাজ করতে পারি। আমরা অবশ্যই এ নিয়ে কাজ করতে পারি এবং করছি। জনসংযোগ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো তেমন প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে এখনো সে রকম গড়ে ওঠেনি। তবে শুরু করা উচিত। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করছি। হয়তো দ্রুত এ ব্যাপারে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।
কথাবন্ধু: নতুন যাঁরা এ পেশায় আসতে চান, তাঁদের জন্য আপনার দিকনির্দেশনা কী হবে?
ইকরাম মঈন: মনে করতে হবে কোনো কিছুই ছোট নয়। সব সময় ইতিবাচক মনোভাব থাকতে হবে। পরিশ্রমী হতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। সফলতা আসবেই। আপনি আগ্রহী হলে আমরা আপনাকে স্বাগত জানাব।
কথাবন্ধু: প্রথম আলো জবস অনুষ্ঠানে ভিন্নধর্মী কাজের ক্ষেত্রগুলোকে তুলে ধরা হচ্ছে, তরুণদের মধ্যে নতুন নতুন পেশার প্রতি উৎসাহ তৈরিতে সাহায্য করছে। এ ধরনের উদ্যোগকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
ইকরাম মঈন: এ ধরনের উদ্যোগকে আমি অবশ্যই স্বাগত জানাই। এ রকম অনেক নতুন নতুন পেশা সম্পর্কে তরুণেরা কিছুই জানে না। প্রথম আলো জবস ও এবিসি রেডিও বর্তমান তরুণদের কাছে তা তুলে ধরছে। তারা নতুন নতুন পেশা সম্পর্কে জানতে পারছে। এটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।
গ্রন্থনা: সুদীপ দে
No comments