৫৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ খরায় যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে গত সাড়ে পাঁচ দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এলাকায় খরা চলছে। জুন মাসের শেষ নাগাদ মহাদেশ হিসেবে এ অঞ্চলের ৫৫ শতাংশ এলাকায় মাঝারি থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ের খরা পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এতে বিশেষভাবে ভুট্টা ও সয়াবিন উৎপাদনের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।


খরার কারণে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে দাবানল। জাতীয় মহাসাগরীয় ও আবহাওয়াবিষয়ক প্রশাসন (এনওএএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫৬ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রে এত বিস্তৃত এলাকায় খরা দেখা যায়নি। ওই বছর দেশটির ৫৮ শতাংশ এলাকা খরার কবলে পড়েছিল। চলতি গ্রীষ্মকে অস্বাভাবিক রকমের শুষ্ক উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকায় শুষ্কতা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল, বৃহৎ সমতলীয় অঞ্চল (গ্রেট প্লেইনস) ও মধ্যপশ্চিমাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে খরা। গ্রেট প্লেইনস অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো, কানসাস, মনটানা, নিউ মেক্সিকো, নেব্রাস্কা, নর্থ ডাকোটা, ওকলাহামা, সাউথ ডাকোটা, টেক্সাস ও ওয়াইয়োমিং। কানাডা অংশেও গ্রেট প্লেইনস বিস্তৃত।
১৮৯৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে খরার প্রাদুর্ভাব ও পরিমাণ নথিভুক্ত করা হয়। সে অনুযায়ী গত জুন ছিল ইতিহাসের ১৪তম তপ্ত এবং ১০ম শুষ্ক মাস। আর এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়কালকে সপ্তম তপ্ত ও ১০ম শুষ্ক হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এনওএএ-এর অধীনে নর্থ কারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত জাতীয় জলবায়ুবিষয়ক ডেটা সেন্টার এ তথ্য দিয়েছে।
কৃষিবিষয়ক বিভাগের তথ্যানুযায়ী, খবার কারণে এখন পর্যন্ত ২৬টি অঙ্গরাজ্যের এক হাজারেরও বেশি কাউন্টিকে বিপর্যস্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, টেলিগ্রাফ।

No comments

Powered by Blogger.