দুর্যোগ-এমন কিছু কি করা যায় না? by মকবুলা পারভীন
শহরে যে রকম উঁচু স্থাপনায় বজ্রপাত নিরোধক লৌহদণ্ড থাকে, গ্রামেও তেমন দণ্ড স্থাপন করা গেলে বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে বহু মানুষ রক্ষা পেত বিষয়টি অনেকের কাছেই মূল্যহীন মনে হতে পারে। ঝড়-বৃষ্টি, দৈব-দুর্বিপাকে মানুষের হাত নেই।
এমন দুর্বিপাকে কিছু মানুষ মারা যাবে_ এ যেন আমরা ধরেই নিই। কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করলে এমন দুর্বিপাক থেকে মানুষ উদ্ধার পেতে পারে। বাংলাদেশে কালবৈশাখী শুরু হয় চৈত্র মাস থেকে। এ ঝড়কে আকস্মিক ঝড় বললেও অত্যুক্তি হবে না। হঠাৎ করে এর শুরু, শেষ নানা অঘটন দিয়ে। উপড়ে যায় গাছপালা, ডাল ভেঙে পড়ে, ঘরের চাল উড়ে যায়, দেয়াল ভেঙে পড়ে, বিলবোর্ড খসে পড়ে, ইলেকট্রিকের তার ছিঁড়ে পড়ে। এতে মানুষ আহত-নিহত হয়। ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত খুব স্বাভাবিক ঘটনা। কালবৈশাখী-বজ্রপাতে মানুষ নিহত হয়।
মানুষ তার শত্রুকে অভিশাপ দেয়_ 'তোর মাথায় বজ্রপাত হোক।' এ বড় কঠিন অভিশাপ। অভিশাপ দিলেই কারও বজ্রপাতে মৃত্যু হবে_ এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে অনেকেই বজ্রপাতে মারা যায়। এ যেন প্রকৃতির অভিশাপ। শুধু কালবৈশাখীর সঙ্গেই বজ্রপাত হয়, তা নয়। আষাঢ় মাসের ভারী বর্ষণের মধ্যেও বজ্রপাত হয়। আবার ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছে কি হচ্ছে না_ এর মধ্যেও বজ্রপাত হতে পারে। শহরে বজ্রপাত নিরোধের ব্যবস্থা থাকায় এর ক্ষয়ক্ষতি কম; কিন্তু বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে মাঠ, নদনদী, জলাশয়ে আকস্মিক বজ্রপাত হচ্ছে। অঝোরে বৃষ্টি নেমেছে, গৃহবধূ এঘর থেকে ওঘরে যাচ্ছে_ বজ্রপাতে মারা গেল। হাটের ক'জন আশ্রয় নিয়েছে দোকানের চালায়, বজ্রপাতে মারা গেল। মোটরসাইকেলে চেপে যাচ্ছে কেউ, আকাশে মেঘ, ইস্পাতের পুলের কাছে আসতেই বজ্রপাতে সব শেষ। রাখাল গরু নিয়ে ঘরে ফিরছে ঊর্ধ্বশ্বাসে, মাথায় বজ্রাঘাত হলো। নৌকার যাত্রী ও মাঝির ওপর বজ্রপাত হলো_ সব শেষ। কৃষক ধান নিয়ে ফিরছেন, ক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন, গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন, ছেলেরা বৃষ্টিতে খেলছে_ বজ্রপাত তাদের শেষ করে দেয়।
শহরে যে রকম উঁচু স্থাপনায় বজ্রপাত নিরোধক লৌহদণ্ড থাকে, গ্রামেও নির্দিষ্ট দূরত্বে বজ্র বা বিদ্যুৎ আকর্ষক দণ্ড স্থাপন করা গেলে বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে বহু মানুষ রক্ষা পেত। এমন কিছু কি করা যায় না?
মকবুলা পারভীন : কথাশিল্পী, সাংবাদিক
মানুষ তার শত্রুকে অভিশাপ দেয়_ 'তোর মাথায় বজ্রপাত হোক।' এ বড় কঠিন অভিশাপ। অভিশাপ দিলেই কারও বজ্রপাতে মৃত্যু হবে_ এ কথা জোর দিয়ে বলা যায় না। তবে অনেকেই বজ্রপাতে মারা যায়। এ যেন প্রকৃতির অভিশাপ। শুধু কালবৈশাখীর সঙ্গেই বজ্রপাত হয়, তা নয়। আষাঢ় মাসের ভারী বর্ষণের মধ্যেও বজ্রপাত হয়। আবার ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হচ্ছে কি হচ্ছে না_ এর মধ্যেও বজ্রপাত হতে পারে। শহরে বজ্রপাত নিরোধের ব্যবস্থা থাকায় এর ক্ষয়ক্ষতি কম; কিন্তু বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে মাঠ, নদনদী, জলাশয়ে আকস্মিক বজ্রপাত হচ্ছে। অঝোরে বৃষ্টি নেমেছে, গৃহবধূ এঘর থেকে ওঘরে যাচ্ছে_ বজ্রপাতে মারা গেল। হাটের ক'জন আশ্রয় নিয়েছে দোকানের চালায়, বজ্রপাতে মারা গেল। মোটরসাইকেলে চেপে যাচ্ছে কেউ, আকাশে মেঘ, ইস্পাতের পুলের কাছে আসতেই বজ্রপাতে সব শেষ। রাখাল গরু নিয়ে ঘরে ফিরছে ঊর্ধ্বশ্বাসে, মাথায় বজ্রাঘাত হলো। নৌকার যাত্রী ও মাঝির ওপর বজ্রপাত হলো_ সব শেষ। কৃষক ধান নিয়ে ফিরছেন, ক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন, গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন, ছেলেরা বৃষ্টিতে খেলছে_ বজ্রপাত তাদের শেষ করে দেয়।
শহরে যে রকম উঁচু স্থাপনায় বজ্রপাত নিরোধক লৌহদণ্ড থাকে, গ্রামেও নির্দিষ্ট দূরত্বে বজ্র বা বিদ্যুৎ আকর্ষক দণ্ড স্থাপন করা গেলে বজ্রপাতে মৃত্যুর হাত থেকে বহু মানুষ রক্ষা পেত। এমন কিছু কি করা যায় না?
মকবুলা পারভীন : কথাশিল্পী, সাংবাদিক
No comments