পরিবার হোক শান্তির নীড় by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
হঠাৎ করেই পারিবারিক সহিংসতার মাত্রা বেড়ে গেছে। খবরের কাগজে প্রকাশ, গত সপ্তাহে এক ভাই তার বোনকে, সন্তান গর্ভধারিণী মাকে, স্বামী নববধূকে নির্মমভাবে খুন করেছে। এ রকম অনেক মৃত্যুর খবরই আমরা সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে জানতে পারি। কিন্তু কখনও এসব খবরের ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করি না।
সত্যি কথা বলতে কি, আমাদের পারিবারিক বন্ধনগুলো দিনে দিনে শিথিল হয়ে যাচ্ছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে সমাজের এ অবস্থা। আমরা জানি, পরিবার মানবসমাজের সবচেয়ে পুরনো ও সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান। সমাজের প্রত্যেক সদস্য জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি এর সঙ্গে জড়িত। সেই পরিবারব্যবস্থা ক্রমান্বয়ে কক্ষচ্যুত হয়ে পড়ছে। ফলে এসব পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
মানবসভ্যতার মূল উপাদান 'মানুষ'। পরিবার মানবসমাজের স্বীকৃত সূচনাগার হওয়ায় সব সংস্কৃতি ও সভ্যতারও সূচনাকেন্দ্র। প্রত্যেক মানবসন্তান তার জন্মলাভের পর এখান থেকেই তার আত্মপরিচয় লাভ করে এবং পৃথিবীকে জানতে শেখে। আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির মধ্যে কেবল মানুষকেই জ্ঞাননির্ভর জীবন গড়তে ও পরিচালনা করতে হয়। সে জন্য মানবসন্তানের শিক্ষালাভ ও গড়ে ওঠার প্রথম ও প্রধান প্রতিষ্ঠান পরিবার এবং এর প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন মা-বাবা। এর ওপর ভিত্তি করেই সূচনা হয় তার অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যথার্থ বাস্তবায়নও অনেকাংশেই নির্ভর করে এই পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার ওপর। সমাজ ও রাষ্ট্রের মানুষদের নৈতিকতা সম্পন্ন এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিবার ও পরিবার ব্যবস্থা কালোত্তীর্ণ গুরুত্ব ও স্বীকৃতিলাভ করেছে।
আবহমানকাল থেকে আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থা পরিবারভিত্তিক। আমাদের সমাজে প্রধানত দু'ধরনের পরিবার আমরা দেখে আসছি_ যৌথ ও একক। বর্তমানে যৌথ পরিবার ব্যবস্থা লোপ পেতে বসেছে এবং একক পরিবার বেশি সমাদৃত হচ্ছে। অভিভাবকরাই ছোট থেকে সন্তানদের যৌথ পরিবারের প্রতি অনাগ্রহী করে তুলছে। একই মা-বাবা একই সঙ্গে তাদের সন্তানদের কাছ থেকে দ্বিমুখী প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে এভাবে, নিজের মেয়েটি যেন তার স্বামীকে শতভাগ বশীভূত করতে পারে; অথচ নিজের ছেলেটি যেন তার স্ত্রীর কথা না শোনে। এ ছাড়া এর পেছনে অনেক কারণ ক্রিয়াশীল। এর মধ্যে তথাকথিত আধুনিকতার কুপ্রভাব, আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব, পরিবারের অন্য সদস্যদের দায়দায়িত্ব পালনে অনীহা অন্যতম। ফলে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের অহঙ্কার করার মতো অনেক ঐতিহ্যই অদূর ভবিষ্যতে লোপ পেতে বাধ্য।
সম্প্রতি আমাদের দেশের পরিবার ব্যবস্থায় যেন এক অশনি সংকেত আমরা লক্ষ্য করছি। ওপরের ঘটনাগুলোই এর জ্বলন্ত প্রমাণ। বল্গাহীন আধুনিকতা ও উন্নয়নের নামে পাশ্চাত্যের নাভিশ্বাস আনয়নকারী স্লোগান বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা হচ্ছে। মাদক আর অশ্লীলতাকে পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে। বিনোদন সংস্কৃতির নামে প্রচারিত কিছু নাটক, সিনেমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এ প্রচারণা বেশ দক্ষতার সঙ্গেই পরিচালনা করছে। এর অনিবার্য পরিণতি আমরা দেখতে পাচ্ছি_ সমাজে অশ্লীলতার প্রসারলাভ করছে, নারীর প্রতি নির্যাতনের নতুন নতুন মাত্রা সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা বেড়েই চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে, ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিয়ের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে এবং এ সম্পর্ককে ঠুনকো ও ভীষণ হালকাভাবে গ্রহণ করার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে এরই মধ্যে, বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ক্রমান্বয়েই বাড়ছে, পারিবারিক সম্প্রীতি ও বন্ধন দিন দিন শিথিল হচ্ছে। এরপরও কিন্তু আমাদের বোধোদয় ঘটছে না; এটাই আফসোসের কথা।
আরেকটি কথা না বললেই নয়_ তা হলো সমাজের সামর্থ্যবান অভিভাবকদের কর্মব্যস্ততা তাদের সন্তানসন্ততিকে লালন-পালনের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল করছে। ফলে তারা সন্তানসন্ততিকে প্রাচুর্য দিতে পারলেও তাদের সুশিক্ষিত করা এবং তাদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে কোনো ভূমিকা পালনের সুযোগ পাচ্ছে না; পরিণতিতে তারা অবক্ষয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামর্থ্যহীন অভিভাবকদের সন্তানসন্ততি নানা সীমাবদ্ধতা ও দারিদ্র্যের কশাঘাতে উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়ায় বিপথগামী হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একটি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে বেশি কিছু আশা করার থাকবে না।
বর্তমান পরিবার ব্যবস্থা সুন্দর থেকে সুন্দরতর হোক, এটা সবারই প্রত্যাশা। আমাদের পরিবার যেন হয় দুটি মানব-মানবীর দাম্পত্য জীবনের পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাসের এক জীবন্ত আকর; সন্তানসন্ততি সেখানের সোনালি ফসল আর অন্যের হবে এর সহায়ক শক্তি।
এমন মধুর পারিবারিক জীবন প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য জোড়া (স্বামী ও স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও মমতা সৃষ্টি করেছেন।' সূরা আররুম : ২১
হাদিসে নববিতে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'তোমাদের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে আচরণের দিক থেকে সর্বোত্তম।' তিনি (সা.) আরও বলেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই ভালো, যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। আর আমি আমার স্ত্রীর কাছে ভালো।' _তিরমিজি
যদিও মানবেতিহাস থেকে বিভিন্ন সময়ে পরিবার ব্যবস্থার বিভিন্ন রূপ ও অবস্থান আমরা দেখতে পেয়েছি। তবে সবসময়ই এটি মানবসমাজের মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। আর পরিবার ব্যবস্থা শক্ত ও স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়েছে সমাজ ও সভ্যতায় নারীর অবস্থানের ওপর। নারীর মর্যাদা ও মূল্যায়ন ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসম্মত হলেই পরিবার ও সমাজে ভারসাম্য সৃষ্টি হওয়া সম্ভব।
কালপরিক্রমায় পরিবার ব্যবস্থা এখন একটি বিশেষ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে; তবে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ তথা বিশ্বসমাজকে পরিবার নামক মানবসমাজের এ বুনিয়াদি প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। একজন মুসলিম হিসেবে আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা, 'হে আমাদের রব, আমাদের এমন দাম্পত্য সাথি এবং বংশধর দান করুন, যারা আমাদের চোখকে শীতল করবে এবং আমাদের আপনি মুত্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন।' _সূরা আল ফুরকান : ৭৪
এটাই হোক এবারের পরিবার দিবসের প্রার্থনা।
muftianaet@gmail.com
মানবসভ্যতার মূল উপাদান 'মানুষ'। পরিবার মানবসমাজের স্বীকৃত সূচনাগার হওয়ায় সব সংস্কৃতি ও সভ্যতারও সূচনাকেন্দ্র। প্রত্যেক মানবসন্তান তার জন্মলাভের পর এখান থেকেই তার আত্মপরিচয় লাভ করে এবং পৃথিবীকে জানতে শেখে। আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির মধ্যে কেবল মানুষকেই জ্ঞাননির্ভর জীবন গড়তে ও পরিচালনা করতে হয়। সে জন্য মানবসন্তানের শিক্ষালাভ ও গড়ে ওঠার প্রথম ও প্রধান প্রতিষ্ঠান পরিবার এবং এর প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন মা-বাবা। এর ওপর ভিত্তি করেই সূচনা হয় তার অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যথার্থ বাস্তবায়নও অনেকাংশেই নির্ভর করে এই পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার ওপর। সমাজ ও রাষ্ট্রের মানুষদের নৈতিকতা সম্পন্ন এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিবার ও পরিবার ব্যবস্থা কালোত্তীর্ণ গুরুত্ব ও স্বীকৃতিলাভ করেছে।
আবহমানকাল থেকে আমাদের দেশের সমাজব্যবস্থা পরিবারভিত্তিক। আমাদের সমাজে প্রধানত দু'ধরনের পরিবার আমরা দেখে আসছি_ যৌথ ও একক। বর্তমানে যৌথ পরিবার ব্যবস্থা লোপ পেতে বসেছে এবং একক পরিবার বেশি সমাদৃত হচ্ছে। অভিভাবকরাই ছোট থেকে সন্তানদের যৌথ পরিবারের প্রতি অনাগ্রহী করে তুলছে। একই মা-বাবা একই সঙ্গে তাদের সন্তানদের কাছ থেকে দ্বিমুখী প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে এভাবে, নিজের মেয়েটি যেন তার স্বামীকে শতভাগ বশীভূত করতে পারে; অথচ নিজের ছেলেটি যেন তার স্ত্রীর কথা না শোনে। এ ছাড়া এর পেছনে অনেক কারণ ক্রিয়াশীল। এর মধ্যে তথাকথিত আধুনিকতার কুপ্রভাব, আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব, পরিবারের অন্য সদস্যদের দায়দায়িত্ব পালনে অনীহা অন্যতম। ফলে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের অহঙ্কার করার মতো অনেক ঐতিহ্যই অদূর ভবিষ্যতে লোপ পেতে বাধ্য।
সম্প্রতি আমাদের দেশের পরিবার ব্যবস্থায় যেন এক অশনি সংকেত আমরা লক্ষ্য করছি। ওপরের ঘটনাগুলোই এর জ্বলন্ত প্রমাণ। বল্গাহীন আধুনিকতা ও উন্নয়নের নামে পাশ্চাত্যের নাভিশ্বাস আনয়নকারী স্লোগান বর্তমান প্রজন্মের অনেকের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা হচ্ছে। মাদক আর অশ্লীলতাকে পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে। বিনোদন সংস্কৃতির নামে প্রচারিত কিছু নাটক, সিনেমা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এ প্রচারণা বেশ দক্ষতার সঙ্গেই পরিচালনা করছে। এর অনিবার্য পরিণতি আমরা দেখতে পাচ্ছি_ সমাজে অশ্লীলতার প্রসারলাভ করছে, নারীর প্রতি নির্যাতনের নতুন নতুন মাত্রা সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা বেড়েই চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে, ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিয়ের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হচ্ছে এবং এ সম্পর্ককে ঠুনকো ও ভীষণ হালকাভাবে গ্রহণ করার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে এরই মধ্যে, বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ক্রমান্বয়েই বাড়ছে, পারিবারিক সম্প্রীতি ও বন্ধন দিন দিন শিথিল হচ্ছে। এরপরও কিন্তু আমাদের বোধোদয় ঘটছে না; এটাই আফসোসের কথা।
আরেকটি কথা না বললেই নয়_ তা হলো সমাজের সামর্থ্যবান অভিভাবকদের কর্মব্যস্ততা তাদের সন্তানসন্ততিকে লালন-পালনের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল করছে। ফলে তারা সন্তানসন্ততিকে প্রাচুর্য দিতে পারলেও তাদের সুশিক্ষিত করা এবং তাদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে কোনো ভূমিকা পালনের সুযোগ পাচ্ছে না; পরিণতিতে তারা অবক্ষয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামর্থ্যহীন অভিভাবকদের সন্তানসন্ততি নানা সীমাবদ্ধতা ও দারিদ্র্যের কশাঘাতে উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়ায় বিপথগামী হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একটি জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিয়ে বেশি কিছু আশা করার থাকবে না।
বর্তমান পরিবার ব্যবস্থা সুন্দর থেকে সুন্দরতর হোক, এটা সবারই প্রত্যাশা। আমাদের পরিবার যেন হয় দুটি মানব-মানবীর দাম্পত্য জীবনের পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাসের এক জীবন্ত আকর; সন্তানসন্ততি সেখানের সোনালি ফসল আর অন্যের হবে এর সহায়ক শক্তি।
এমন মধুর পারিবারিক জীবন প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, 'তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য জোড়া (স্বামী ও স্ত্রী) সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও মমতা সৃষ্টি করেছেন।' সূরা আররুম : ২১
হাদিসে নববিতে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'তোমাদের মধ্যে সে-ই সর্বোত্তম, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে আচরণের দিক থেকে সর্বোত্তম।' তিনি (সা.) আরও বলেন, 'তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই ভালো, যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। আর আমি আমার স্ত্রীর কাছে ভালো।' _তিরমিজি
যদিও মানবেতিহাস থেকে বিভিন্ন সময়ে পরিবার ব্যবস্থার বিভিন্ন রূপ ও অবস্থান আমরা দেখতে পেয়েছি। তবে সবসময়ই এটি মানবসমাজের মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। আর পরিবার ব্যবস্থা শক্ত ও স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়েছে সমাজ ও সভ্যতায় নারীর অবস্থানের ওপর। নারীর মর্যাদা ও মূল্যায়ন ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসম্মত হলেই পরিবার ও সমাজে ভারসাম্য সৃষ্টি হওয়া সম্ভব।
কালপরিক্রমায় পরিবার ব্যবস্থা এখন একটি বিশেষ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে; তবে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এখনও ফুরিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ তথা বিশ্বসমাজকে পরিবার নামক মানবসমাজের এ বুনিয়াদি প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। একজন মুসলিম হিসেবে আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা, 'হে আমাদের রব, আমাদের এমন দাম্পত্য সাথি এবং বংশধর দান করুন, যারা আমাদের চোখকে শীতল করবে এবং আমাদের আপনি মুত্তাকিদের নেতা বানিয়ে দিন।' _সূরা আল ফুরকান : ৭৪
এটাই হোক এবারের পরিবার দিবসের প্রার্থনা।
muftianaet@gmail.com
No comments