মৃত্যুপথে তিন হাসপাতাল-টিকিয়ে রাখা সরকারের দায়িত্ব
নরসিংদী জেলার মাধবদীতে প্রতিষ্ঠিত নগর মাতৃসদন হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আজ থেকে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন দ্বিতীয় আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের আওতায় ঢাকার সাভার ও বগুড়ার আরো দুটি হাসপাতালেরও একই পরিণতি হচ্ছে। নরসিংদীর হাসপাতালটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানকার গরিব রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল।
হাসপাতালের জায়গাও পাওয়া গিয়েছিল দান হিসেবে। তিনটি নগর মাতৃসদন হাসপাতাল বন্ধ হওয়ায় পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীর চাকরি হারানোর পাশাপাশি এসব এলাকার হাজার হাজার গরিব মানুষের চিকিৎসা লাভের সুযোগ থাকছে না। কী চরম দুরবস্থা সৃষ্টি হতে পারে তার প্রমাণ এরই মধ্যে পাওয়া গেছে মাধবদীতে। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে এক রোগী সেখানে এসে চিকিৎসক না পেয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে যান ভর্তি হতে। হতদরিদ্র এই পরিবারের পক্ষে অতিরিক্ত ব্যয়ভার বহন করার সাধ্য না থাকলেও তাঁকে ক্লিনিকে ভর্তি করতে বাধ্য হয়।
নাগরিককে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা প্রদান সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সে সুবাদেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। একসময় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে_এটা স্বাভাবিক। কখন মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তাও সরকারের জানা থাকার কথা। সংগত কারণেই প্রশ্ন আসে_কেন সরকার বন্ধ হওয়ার আগে প্রকল্পটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি? জরুরি সেবা খাত হিসেবে এই চিকিৎসা সুবিধা বন্ধ হলে স্থানীয়ভাবে কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে তাও সরকারের অজানা নয়। শুধু তাই নয়, প্রকল্পভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি চার মাস ধরে কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারার কারণে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল, তাও কাটানোর ব্যাপারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, নতুন করে প্রতিষ্ঠিত সিটি করপোরেশনে সেসব প্রকল্প চালু করা হচ্ছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত যথার্থ নয় বলে মনে করি। নতুন করে যেখানে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারণ করা দরকার। এর জন্য একটি প্রকল্প বন্ধ করে কেন। সরকার তার নিজস্ব অর্থায়নে সেখানে নতুন করে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তাহলে চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারিত হবে। মাধবদী, সাভার ও বগুড়ার এসব মাতৃসদন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে রাজস্ব খাতে নিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় পৌরসভাগুলো এসব হাসপাতাল নিজেদের উদ্যোগে পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে না। সুতরাং হাসপাতালের নিজস্ব আয় দিয়ে নয়, সরকারি প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হাসপাতাল পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নাগরিককে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা প্রদান সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে সে সুবাদেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। একসময় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে_এটা স্বাভাবিক। কখন মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তাও সরকারের জানা থাকার কথা। সংগত কারণেই প্রশ্ন আসে_কেন সরকার বন্ধ হওয়ার আগে প্রকল্পটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি? জরুরি সেবা খাত হিসেবে এই চিকিৎসা সুবিধা বন্ধ হলে স্থানীয়ভাবে কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে তাও সরকারের অজানা নয়। শুধু তাই নয়, প্রকল্পভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি চার মাস ধরে কর্মচারীদের বেতন দিতে না পারার কারণে যে স্থবিরতা তৈরি হয়েছিল, তাও কাটানোর ব্যাপারে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, নতুন করে প্রতিষ্ঠিত সিটি করপোরেশনে সেসব প্রকল্প চালু করা হচ্ছে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত যথার্থ নয় বলে মনে করি। নতুন করে যেখানে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারণ করা দরকার। এর জন্য একটি প্রকল্প বন্ধ করে কেন। সরকার তার নিজস্ব অর্থায়নে সেখানে নতুন করে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। তাহলে চিকিৎসা সুবিধা সম্প্রসারিত হবে। মাধবদী, সাভার ও বগুড়ার এসব মাতৃসদন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে রাজস্ব খাতে নিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় পৌরসভাগুলো এসব হাসপাতাল নিজেদের উদ্যোগে পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখে না। সুতরাং হাসপাতালের নিজস্ব আয় দিয়ে নয়, সরকারি প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হাসপাতাল পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
No comments