জাটকা নিধন থামাতে হবে by অলিউর রহমান ফিরোজ
মৎস্য কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাব, জাটকা ধরার কারেন্ট জালের সহজলভ্যতা, প্রকাশ্যে বেচা-বিক্রি করলেও আইন প্রয়োগে শিথিলতা প্রদর্শনের কারণে জাটকা নিধনযজ্ঞ বন্ধ প্রকল্প কার্যত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বসেছে। জাটকা রক্ষায় সরকারিভাবে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও জাটকা নিধনযজ্ঞ লোভী শিকারিদের প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীবাহী বড় লঞ্চগুলো ঢাকায় আসার পথে মৎস্য কর্মকর্তাদের দু'একটি অভিযানে শত শত মণ জাটকা ধরা পড়লেও তার মালিকদের কোনো প্রকার শাস্তির আওতায় আনা যাচ্ছে না। এমনকি বহনকারী লঞ্চগুলো এ ক্ষেত্রে থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রতিদিনই জাটকা লঞ্চগুলোতে আনা হলেও তাতে করে আইনের প্রয়োগ কঠোর না হওয়ায় জাটকার বড় চালানগুলো ঝামেলা ছাড়াই পার পাওয়ার ঘটনা ঘটছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে জাটকা শিকারিরা জাটকা নিধন করে ঢাকার সোয়ারীঘাট এবং কাঠপট্টি এলাকার বড় পাইকারি মোকামগুলোতে সরবরাহ করে থাকে। সেখান থেকে চলে যায় খুচরাবাজারে। এখানে পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে বেচা-বিক্রি হলেও আইনের কঠোর প্রয়োগের অভাবে তাদের রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জাটকা রক্ষায় সরকারি উদ্যোগ মূলত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের নদীর মোহনাগুলো থেকে যে হারে জাটকা নিধনযজ্ঞ চলে তার মাত্র ৩০ শতাংশ জাটকা রক্ষা করতে পারলে তা থেকে এক লাখ মেট্রিক টন পরিণত ইলিশ পাওয়া সম্ভব। আগে যেখানে এক থেকে দেড় লাখ টন ইলিশ পাওয়া যেত তা এখন কিছু কার্যকরী ফলপ্রসূ ভূমিকা গ্রহণ করার দরুন তা বেড়ে এখন চার লাখে উন্নীত হয়েছে। জাটকা নিধন প্রকল্পের আওতায় তা পুরোপুরি রোধ করা গেলে তা ৮ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব বলে মনে করেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা। তখন দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয়ে দাঁড়াত এ খাত থেকে।
জেলেদের সচেতনতার পাশাপাশি জাটকা ধরার উপকরণ কারেন্ট জালের সহজলভ্যতা রোধ করা না গেলে তা কখনও জাটকা নিধনযজ্ঞ বন্ধ হবে না। কারেন্ট জালের উৎপাদন এবং বিপণন এলাকায় আইনের কঠোরতা প্রয়োগ করতে সরকারকে বড় ধরনের ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। আইনে জাটকা ধরার কারেন্ট জাল উৎপাদন এবং বিপণন, আমদানি, বেচা-বিক্রি আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তা কয়েকটি কারণে রোধ করা যাচ্ছে না। দেশে কারেন্ট জালের চাহিদার প্রায় ৮০ ভাগই তৈরি হয়ে থাকে মুন্সীগঞ্জ জেলার মুক্তারপুর এলাকায়। ফ্যাক্টরিগুলোতে শুকনো মৌসুমে ব্যাপকভাবে সূক্ষ্ম সুতায় তৈরি কারেন্ট জাল উৎপাদন করে তা গুদামজাত করা হয়ে থাকে। ফ্যাক্টরিগুলোতে অবৈধ জালই উৎপাদন হয় না, এখানে বৈধ জালের আড়ালে চলে সূক্ষ্ম কারেন্ট জালের উৎপাদন। বৈধ জালের চেয়ে অবৈধ কারেন্ট জালেই তাদের মুনাফা বেশি। সে কারণে অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদনে মালিকদের বেশি উৎসাহ দেখা যায়। তবে অনেক সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কিছু পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের ধরা যাচ্ছে না।
হ রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
দেশের নদীর মোহনাগুলো থেকে যে হারে জাটকা নিধনযজ্ঞ চলে তার মাত্র ৩০ শতাংশ জাটকা রক্ষা করতে পারলে তা থেকে এক লাখ মেট্রিক টন পরিণত ইলিশ পাওয়া সম্ভব। আগে যেখানে এক থেকে দেড় লাখ টন ইলিশ পাওয়া যেত তা এখন কিছু কার্যকরী ফলপ্রসূ ভূমিকা গ্রহণ করার দরুন তা বেড়ে এখন চার লাখে উন্নীত হয়েছে। জাটকা নিধন প্রকল্পের আওতায় তা পুরোপুরি রোধ করা গেলে তা ৮ থেকে ১০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব বলে মনে করেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা। তখন দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয়ে দাঁড়াত এ খাত থেকে।
জেলেদের সচেতনতার পাশাপাশি জাটকা ধরার উপকরণ কারেন্ট জালের সহজলভ্যতা রোধ করা না গেলে তা কখনও জাটকা নিধনযজ্ঞ বন্ধ হবে না। কারেন্ট জালের উৎপাদন এবং বিপণন এলাকায় আইনের কঠোরতা প্রয়োগ করতে সরকারকে বড় ধরনের ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। আইনে জাটকা ধরার কারেন্ট জাল উৎপাদন এবং বিপণন, আমদানি, বেচা-বিক্রি আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তা কয়েকটি কারণে রোধ করা যাচ্ছে না। দেশে কারেন্ট জালের চাহিদার প্রায় ৮০ ভাগই তৈরি হয়ে থাকে মুন্সীগঞ্জ জেলার মুক্তারপুর এলাকায়। ফ্যাক্টরিগুলোতে শুকনো মৌসুমে ব্যাপকভাবে সূক্ষ্ম সুতায় তৈরি কারেন্ট জাল উৎপাদন করে তা গুদামজাত করা হয়ে থাকে। ফ্যাক্টরিগুলোতে অবৈধ জালই উৎপাদন হয় না, এখানে বৈধ জালের আড়ালে চলে সূক্ষ্ম কারেন্ট জালের উৎপাদন। বৈধ জালের চেয়ে অবৈধ কারেন্ট জালেই তাদের মুনাফা বেশি। সে কারণে অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদনে মালিকদের বেশি উৎসাহ দেখা যায়। তবে অনেক সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কিছু পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের ধরা যাচ্ছে না।
হ রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
No comments