বইয়ের পোকা
মীর আলি চোখে দেখে না। আগে আবছা-আবছা দেখত। দুপুরের রোদের দিকে তাকালে হলুদ কিছু ভাসত চোখে। গত দু’বছর ধরে তাও ভাসছে না। চারদিকে সীমাহীন অন্ধকার। তাঁর বয়স প্রায় সত্তুর। এই বয়সে চোখ-কান নষ্ট হতে শুরু করে। পৃথিবী শব্দ ও বর্ণহীন হতে থাকে।
কিন্তু তাঁর কান এখনো ভালো। বেশ ভালো। ছোট নাতনীটি যত বার কেঁদে ওঠে তত বরাই সে বিরক্ত মুখে বলে, ‘চুপ, শব্দ করিস না। মীর আলি আজকাল শব্দ সহ্য করতে পারে না। মাথার মাঝখানে কোথায় যেন ঝনঝন করে। চোখে দেখতে পেলেও বোধহয় এরকম হতো—আলো সহ্য হতো না। বুড়ো হওয়ার অনেক যন্ত্রণা। সবচেয়ে বড় যন্ত্রণা—রাত-দুপুরে বাইরে যেতে হয়। একা একা যাওয়ার উপায় নেই। তাকে তলপেটের প্রবল চাপ নিয়ে মিহি সুরে ডাকতে হয়, ‘বদি, ও বদি। বদিউজ্জামান।’
জনপ্রিয় একজন কথাসাহিত্যিকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি উপন্যাসের শুরুর অংশ এটি। বলতে পারেন, উপন্যাসটি ও লেখকের নাম কি?
জনপ্রিয় একজন কথাসাহিত্যিকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি উপন্যাসের শুরুর অংশ এটি। বলতে পারেন, উপন্যাসটি ও লেখকের নাম কি?
No comments