চাঁদ সওদাগরের নৌকার সন্ধান! by কেএম রেজা
রাজশাহীর পুঠিয়ায় হোজা নদী সংস্কার ও খননের সময় প্রাচীন কালের একটি মালবাহী বিশাল নৌকার সন্ধান পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের ধারণা এটি লোক কাহিনীখ্যাত কিংবদন্তীর চাঁদ সওদাগরের নৌকা। তবে বিশেষজ্ঞরা এই ধারণায় সমর্থণ দেননি।
সন্ধান পাওয়া ওই নৌকা থেকে গত দু’দিনে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর মাটির নিচে বিশাল আকৃতির নৌকা উদ্ধার ও মূল্যবান সম্পদ দেখতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সমবেত হচ্ছে হোজা নদীর পাড়ে।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জটিলতার মধ্য দিয়ে ভালুকগাছি ইউপি এলাকার পাঁচানী পাড়ায় হোজা নদীর ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার খাল পুনঃসংস্কার কাজ গত কয়েক দিন ধরে চলমান রয়েছে। পানিসম্পদ উন্নয়ন অধিদফতরের অধীনে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভালুকগাছি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি এ কাজ তদারকি করছে।
ভালুকগাছি ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ. করিম বাংলানিউজকে জানান, গত বৃহস্পতিবার ইউপি কার্যালয়ের উত্তর পাশে খাল খননের সময় দমদমা এলাকার আয়ুব আলীর ছেলে মাটিকাটা শ্রমিক সাব্বির মণ্ডল কিছু পিতলের তৈরি জিনিস পায়। এরপর থেকে সব শ্রমিকের মাঝে ‘গুপ্তধন’ পাওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ‘গুপ্তধন উদ্ধারে’ এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।
ভালুকগাছি এলাকার প্রবীণ মোজাউল্লা ও মহির মির্জা জানান, এক সময় হোজা নদী দিয়ে চাঁদ সওদাগরসহ পুঠিয়া-তাহেরপুরের রাজ-রাজারা সফর করতেন। তাদের ধারণা, সে সময়ের খড়স্রোতা এই নদীপথে যাওয়ার সময়ে মালামালসহ বিশাল আকৃতির এই নৌকাটি এখানে ডুবে যায় এবং কালের আবর্তে সেটি মাটির নিচে চাপা পড়ে। কিংবদন্তী চরিত্র বেহুলা-লখিন্দরের লখিন্দরের পিতা ছিলেন চাঁদ সওদাগর।
তাদের ধারণা, সন্ধান পাওয়া নৌকাটি চাঁদ সওদাগরের হতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে রাজশাহী বিভাগের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধান পাওয়া নৌকাটি মধ্যযুগীয় কিংবদন্তী চরিত্র চাঁদ সওদাগরের হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোররাতে ভালুকগাছি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আ. জলিল সরকার ও খাল খনন শ্রমিক সর্দার বেলাল হোসেনসহ ২০/২৫ জন লোক নিয়ে রাতের আঁধারে নৌকার বেশিরভাগ স্থান খনন করা হয়। তারা স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ লুটপাট করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
হোজা নদীতে গিয়ে দেখা গেছে, পুঠিয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত উৎসাহী লোকজন নৌকা ও নৌকা থেকে উদ্ধাকৃত মালামাল একনজর দেখার জন্য সেখানে ভিড় জামাচ্ছেন।
তবে বিভিন্ন আইনি জটিলতার আশংকায় খাল শ্রমিক সর্দার বেলাল হোসেন তার লোকজন নিয়ে উদ্ধারকৃত নৌকাটি পুনরায় মাটিচাপা দিয়ে ফেলেন।
এদিকে, খাল খনন শ্রমিক আবু কালাম, জাহাঙ্গীর আলম, আমীর হামজা, রফিকসহ অনেকেই বাংলানিউজকে জানান, নদীতে মাটিকাটার সময় নৌকার ভেতর থেকে তামা, কাসা ও পিতলের বিভিন্ন মালামাল বের হলে আমাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ভালুকগাছি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আ. জলিল সরকার বাংলানিউজকে জানান, “গুপ্তধন নয়, নৌকার মধ্যে থেকে কিছু কাসার জিনিস পাওয়া গেছে সেগুলো শ্রমিকরাই নিয়ে গেছে।”
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) খাইরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মূল্যবান সম্পদসহ নৌকার সন্ধানের বিষয়ে আমার জানা নেই।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই, এটা থানা পুলিশের ব্যাপার।”
কিংবদন্তি চরিত্র চাঁদ সদাগর
চাঁদ সদাগর মনসামঙ্গল কাব্যধারার একটি কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি ছিলেন প্রাচীন চম্পক নগরের একজন ধনী ও ক্ষমতাশালী বণিক। বিপ্রদাস পিপলাই তাঁর মনসামঙ্গল কাব্যে উল্লেখ করেছেন, চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যতরী সপ্তগ্রাম ও গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত ত্রিবেণী হয়ে সমুদ্রপথে যাত্রা করত। চাঁদ সদাগরের উপাখ্যানের সঙ্গে সর্পদেবী মনসার পূজা প্রচারের কাহিনী সমধিক পরিচিত।
হিন্দু লোককথা অনুযায়ী, চাঁদ সদাগর ছিলেন শিবের ভক্ত। মনসা চাঁদের পূজা কামনা করলে শিবভক্ত চাঁদ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন। মনসা ছলনার আশ্রয় নিয়ে চাঁদের পূজা আদায় করার চেষ্টা করলে, চাঁদ শিবপ্রদত্ত ‘মহাজ্ঞান’ মন্ত্রবলে মনসার সব ছলনা ব্যর্থ করে দেন। তখন মনসা সুন্দরী নারীর ছদ্মবেশে চাঁদের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে তাঁর গুপ্তরহস্য জেনে নেন। এর ফলে চাঁদ মহাজ্ঞানের অলৌকিক রক্ষাকবচটি হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু এরপরেও চাঁদ সদাগর তাঁর বন্ধু শঙ্করের অলৌকিক ক্ষমতাবলে নিজেকে রক্ষা করতে থাকেন। শঙ্কর চাঁদের থেকেও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ছিলেন। তাই ছলনা করে মনসা তাঁকে হত্যা করেন। এরপর চাঁদ যথার্থই অসহায় হয়ে পড়েন।
এরপরেও চাঁদ মনসার পূজা করতে অস্বীকার করলে, মনসা সর্পাঘাতে চাঁদের ছয় পুত্রের প্রাণনাশ করেন। ভগ্নহৃদয় চাঁদ এতে বাণিজ্যে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু শত দুঃখকষ্টের মধ্যেও তিনি আবার বাণিজ্যে বের হন। সফল বাণিজ্যের পর তিনি যখন ধনসম্পদে জাহাজ পূর্ণ করে গৃহে প্রত্যাবর্তন করছেন, তখনই মনসা প্রচণ্ড ঝড় তুলে তাঁর বাণিজ্যতরী সমুদ্রে ডুবিয়ে দেন। চাঁদের সঙ্গীরা মারা গেলেও চাঁদ প্রাণে বেঁচে যান।
চম্পক নগরে ফিরে এসে চাঁদ কোনোক্রমে নিজের জীবন পুনরায় সাজিয়ে তুলতে সক্ষম হন। তাঁর লখিন্দর নামে একটি পুত্র জন্মে। এই লখিন্দর বিয়ে করেন বেহুলাকে। বেহুলা-লখিন্দরের বিয়ে, বাসর রাতে সর্পদংশনে লখিন্দরের মৃত্যু ও বেহুলার সাধনায় লখিন্দরের পুনর্জীবন লাভের কাহিনী এতদঞ্চলের জনপ্রিয় লোককাহিনীগুলোর অন্যতম। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জটিলতার মধ্য দিয়ে ভালুকগাছি ইউপি এলাকার পাঁচানী পাড়ায় হোজা নদীর ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার খাল পুনঃসংস্কার কাজ গত কয়েক দিন ধরে চলমান রয়েছে। পানিসম্পদ উন্নয়ন অধিদফতরের অধীনে ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভালুকগাছি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি এ কাজ তদারকি করছে।
ভালুকগাছি ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আ. করিম বাংলানিউজকে জানান, গত বৃহস্পতিবার ইউপি কার্যালয়ের উত্তর পাশে খাল খননের সময় দমদমা এলাকার আয়ুব আলীর ছেলে মাটিকাটা শ্রমিক সাব্বির মণ্ডল কিছু পিতলের তৈরি জিনিস পায়। এরপর থেকে সব শ্রমিকের মাঝে ‘গুপ্তধন’ পাওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ‘গুপ্তধন উদ্ধারে’ এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।
ভালুকগাছি এলাকার প্রবীণ মোজাউল্লা ও মহির মির্জা জানান, এক সময় হোজা নদী দিয়ে চাঁদ সওদাগরসহ পুঠিয়া-তাহেরপুরের রাজ-রাজারা সফর করতেন। তাদের ধারণা, সে সময়ের খড়স্রোতা এই নদীপথে যাওয়ার সময়ে মালামালসহ বিশাল আকৃতির এই নৌকাটি এখানে ডুবে যায় এবং কালের আবর্তে সেটি মাটির নিচে চাপা পড়ে। কিংবদন্তী চরিত্র বেহুলা-লখিন্দরের লখিন্দরের পিতা ছিলেন চাঁদ সওদাগর।
তাদের ধারণা, সন্ধান পাওয়া নৌকাটি চাঁদ সওদাগরের হতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে রাজশাহী বিভাগের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সন্ধান পাওয়া নৌকাটি মধ্যযুগীয় কিংবদন্তী চরিত্র চাঁদ সওদাগরের হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এদিকে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোররাতে ভালুকগাছি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আ. জলিল সরকার ও খাল খনন শ্রমিক সর্দার বেলাল হোসেনসহ ২০/২৫ জন লোক নিয়ে রাতের আঁধারে নৌকার বেশিরভাগ স্থান খনন করা হয়। তারা স্বর্ণালঙ্কারসহ বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ লুটপাট করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
হোজা নদীতে গিয়ে দেখা গেছে, পুঠিয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত উৎসাহী লোকজন নৌকা ও নৌকা থেকে উদ্ধাকৃত মালামাল একনজর দেখার জন্য সেখানে ভিড় জামাচ্ছেন।
তবে বিভিন্ন আইনি জটিলতার আশংকায় খাল শ্রমিক সর্দার বেলাল হোসেন তার লোকজন নিয়ে উদ্ধারকৃত নৌকাটি পুনরায় মাটিচাপা দিয়ে ফেলেন।
এদিকে, খাল খনন শ্রমিক আবু কালাম, জাহাঙ্গীর আলম, আমীর হামজা, রফিকসহ অনেকেই বাংলানিউজকে জানান, নদীতে মাটিকাটার সময় নৌকার ভেতর থেকে তামা, কাসা ও পিতলের বিভিন্ন মালামাল বের হলে আমাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ভালুকগাছি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আ. জলিল সরকার বাংলানিউজকে জানান, “গুপ্তধন নয়, নৌকার মধ্যে থেকে কিছু কাসার জিনিস পাওয়া গেছে সেগুলো শ্রমিকরাই নিয়ে গেছে।”
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) খাইরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মূল্যবান সম্পদসহ নৌকার সন্ধানের বিষয়ে আমার জানা নেই।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই, এটা থানা পুলিশের ব্যাপার।”
কিংবদন্তি চরিত্র চাঁদ সদাগর
চাঁদ সদাগর মনসামঙ্গল কাব্যধারার একটি কিংবদন্তি চরিত্র। তিনি ছিলেন প্রাচীন চম্পক নগরের একজন ধনী ও ক্ষমতাশালী বণিক। বিপ্রদাস পিপলাই তাঁর মনসামঙ্গল কাব্যে উল্লেখ করেছেন, চাঁদ সদাগরের বাণিজ্যতরী সপ্তগ্রাম ও গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত ত্রিবেণী হয়ে সমুদ্রপথে যাত্রা করত। চাঁদ সদাগরের উপাখ্যানের সঙ্গে সর্পদেবী মনসার পূজা প্রচারের কাহিনী সমধিক পরিচিত।
হিন্দু লোককথা অনুযায়ী, চাঁদ সদাগর ছিলেন শিবের ভক্ত। মনসা চাঁদের পূজা কামনা করলে শিবভক্ত চাঁদ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন। মনসা ছলনার আশ্রয় নিয়ে চাঁদের পূজা আদায় করার চেষ্টা করলে, চাঁদ শিবপ্রদত্ত ‘মহাজ্ঞান’ মন্ত্রবলে মনসার সব ছলনা ব্যর্থ করে দেন। তখন মনসা সুন্দরী নারীর ছদ্মবেশে চাঁদের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে তাঁর গুপ্তরহস্য জেনে নেন। এর ফলে চাঁদ মহাজ্ঞানের অলৌকিক রক্ষাকবচটি হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু এরপরেও চাঁদ সদাগর তাঁর বন্ধু শঙ্করের অলৌকিক ক্ষমতাবলে নিজেকে রক্ষা করতে থাকেন। শঙ্কর চাঁদের থেকেও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ছিলেন। তাই ছলনা করে মনসা তাঁকে হত্যা করেন। এরপর চাঁদ যথার্থই অসহায় হয়ে পড়েন।
এরপরেও চাঁদ মনসার পূজা করতে অস্বীকার করলে, মনসা সর্পাঘাতে চাঁদের ছয় পুত্রের প্রাণনাশ করেন। ভগ্নহৃদয় চাঁদ এতে বাণিজ্যে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু শত দুঃখকষ্টের মধ্যেও তিনি আবার বাণিজ্যে বের হন। সফল বাণিজ্যের পর তিনি যখন ধনসম্পদে জাহাজ পূর্ণ করে গৃহে প্রত্যাবর্তন করছেন, তখনই মনসা প্রচণ্ড ঝড় তুলে তাঁর বাণিজ্যতরী সমুদ্রে ডুবিয়ে দেন। চাঁদের সঙ্গীরা মারা গেলেও চাঁদ প্রাণে বেঁচে যান।
চম্পক নগরে ফিরে এসে চাঁদ কোনোক্রমে নিজের জীবন পুনরায় সাজিয়ে তুলতে সক্ষম হন। তাঁর লখিন্দর নামে একটি পুত্র জন্মে। এই লখিন্দর বিয়ে করেন বেহুলাকে। বেহুলা-লখিন্দরের বিয়ে, বাসর রাতে সর্পদংশনে লখিন্দরের মৃত্যু ও বেহুলার সাধনায় লখিন্দরের পুনর্জীবন লাভের কাহিনী এতদঞ্চলের জনপ্রিয় লোককাহিনীগুলোর অন্যতম। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া।
No comments