বর্তমান সরকারের মেয়াদে নতুন ওষুধনীতি হচ্ছে না!-সাব-কমিটির আজকের সভা বাতিল by তৌফিক মারুফ
দেশে ওষুধ নিয়ে নানামুখী বিশৃঙ্খলার অভিযোগ অনেক দিন ধরেই। উৎপাদন ক্ষেত্রে ওষুধের গুণগত মান সংরক্ষণ, ওষুধ ব্যবস্থাপনা, মূল্য নির্ধারণ, ক্রয়-বিক্রয়, প্রচারণা, চিকিৎসক ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে বড় ধরনের সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সব মহল থেকেই বলা হচ্ছে যুগোপযোগী ওষুধনীতি প্রণয়নের কথা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এ বিষয়ে পরিষ্কার অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু সরকারের মেয়াদকালের সাড়ে তিন বছর পরও এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ২০০৫ সালের ওষুধনীতি বিদ্যমান। এই নীতিতে বড় ধরনের সংস্কার দরকার। অথচ সরকারের বাকি সময়ের মধ্যে নতুন ওষুধনীতি প্রণয়নের সম্ভাবনা নেই। কারণ এখন পর্যন্ত খসড়া প্রস্তুতের কাজটিও প্রাথমিক ধাপে রয়ে গেছে। এমনকি শনিবারের (আজ) পূর্বনির্ধারিত সাব-কমিটির সভাটিও বাতিল হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকারের এখনো যেটুকু সময় আছে, এর মধ্যেই ওষুধনীতি প্রণয়নের কাজ শেষ করে যাওয়া উচিত হবে।
এ কাজের সঙ্গে যুক্ত দায়িত্বশীলদের বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ গুরুত্বসহকারে সবাই মিলে কাজ করলে এই সরকারের মেয়াদেই শেষ করা অসম্ভব নয়।' তিনি বলেন, 'যুগোপযোগী একটি ওষুধনীতি প্রণয়ন করা খুবই জরুরি। এটা কেবল আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার নয়, দেশ ও মানুষের স্বার্থেই এটা করতে হবে। তবে কাজটি সুচারুভাবে করা একটু সময়সাপেক্ষ। তাই হয়তো অগ্রগতি ধীর মনে হতে পারে।'
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ও স্বাস্থ্য আন্দোলন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে যুগোপযোগী একটি ওষুধনীতি প্রণয়নের। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর আশানুরূপ অগ্রগতি নেই। আর দায়সারা না করে সত্যিকার অর্থেই মানুষের উপকারে আসে এমন কার্যকর ওষুধনীতি প্রণয়নে সার্বিক প্রক্রিয়া এ সরকারের বাকি সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল কালাম আজাদ গতকাল শুক্রবার বলেন, ওষুধনীতি নিয়ে এ সপ্তাহেই সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিজনিত সমস্যায় তা পিছিয়ে গেছে। আশা করা যায় জুলাইয়ের প্রথম ভাগে সভাটি করা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৮২ ও ২০০৫ সালের জাতীয় ওষুধনীতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে সময়োপযোগী একটি নতুন ওষুধনীতি প্রণয়নের জন্য গত বছর জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি করা হয়। ১৪ সদস্যের কমিটিতে দুজন সংসদ সদস্য, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ওষুধবিদ, চিকিৎসক, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র থেকে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। ওই কমিটি পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুককে প্রধান করে সাব-কমিটি করে দিয়েছে পুরনো ওষুধনীতি পর্যালোচনা করে নতুন ওষুধনীতির খসড়া তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
সাব-কমিটির অন্যতম সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মীর মিসবাহ উদ্দিন বলেন, 'আমরা প্রাথমিক খসড়ার কাজ শেষ করেছি। একটি সভায় আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে তা জাতীয় কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। শনিবার এ-সংক্রান্ত সভা হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৮-৯ জুলাইয়ের দিকে সভাটি হতে পারে।'
জানা গেছে, সাব-কমিটির খসড়া পাওয়ার পর তা মূল কমিটির সভায় পর্যালোচনা করা হবে। এরপর জনমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন শেষে খসড়াটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় একইভাবে আলোচনা-পর্যালোচনা ও সুপারিশ সংযোজন-বিয়োজন শেষে তা মূল কমিটিকে দিলে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। পরে তা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। এত ধাপের মধ্যে এখনো খসড়াটি রয়ে গেছে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সাব-কমিটির কাছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ২০০৫ সালের ওষুধনীতি বিদ্যমান। এই নীতিতে বড় ধরনের সংস্কার দরকার। অথচ সরকারের বাকি সময়ের মধ্যে নতুন ওষুধনীতি প্রণয়নের সম্ভাবনা নেই। কারণ এখন পর্যন্ত খসড়া প্রস্তুতের কাজটিও প্রাথমিক ধাপে রয়ে গেছে। এমনকি শনিবারের (আজ) পূর্বনির্ধারিত সাব-কমিটির সভাটিও বাতিল হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকারের এখনো যেটুকু সময় আছে, এর মধ্যেই ওষুধনীতি প্রণয়নের কাজ শেষ করে যাওয়া উচিত হবে।
এ কাজের সঙ্গে যুক্ত দায়িত্বশীলদের বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ গুরুত্বসহকারে সবাই মিলে কাজ করলে এই সরকারের মেয়াদেই শেষ করা অসম্ভব নয়।' তিনি বলেন, 'যুগোপযোগী একটি ওষুধনীতি প্রণয়ন করা খুবই জরুরি। এটা কেবল আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার নয়, দেশ ও মানুষের স্বার্থেই এটা করতে হবে। তবে কাজটি সুচারুভাবে করা একটু সময়সাপেক্ষ। তাই হয়তো অগ্রগতি ধীর মনে হতে পারে।'
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি ও স্বাস্থ্য আন্দোলন জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে যুগোপযোগী একটি ওষুধনীতি প্রণয়নের। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর আশানুরূপ অগ্রগতি নেই। আর দায়সারা না করে সত্যিকার অর্থেই মানুষের উপকারে আসে এমন কার্যকর ওষুধনীতি প্রণয়নে সার্বিক প্রক্রিয়া এ সরকারের বাকি সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল কালাম আজাদ গতকাল শুক্রবার বলেন, ওষুধনীতি নিয়ে এ সপ্তাহেই সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিজনিত সমস্যায় তা পিছিয়ে গেছে। আশা করা যায় জুলাইয়ের প্রথম ভাগে সভাটি করা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ১৯৮২ ও ২০০৫ সালের জাতীয় ওষুধনীতি পর্যালোচনার ভিত্তিতে সময়োপযোগী একটি নতুন ওষুধনীতি প্রণয়নের জন্য গত বছর জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি করা হয়। ১৪ সদস্যের কমিটিতে দুজন সংসদ সদস্য, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ওষুধবিদ, চিকিৎসক, ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র থেকে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। ওই কমিটি পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুককে প্রধান করে সাব-কমিটি করে দিয়েছে পুরনো ওষুধনীতি পর্যালোচনা করে নতুন ওষুধনীতির খসড়া তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
সাব-কমিটির অন্যতম সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মীর মিসবাহ উদ্দিন বলেন, 'আমরা প্রাথমিক খসড়ার কাজ শেষ করেছি। একটি সভায় আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে তা জাতীয় কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হবে। শনিবার এ-সংক্রান্ত সভা হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৮-৯ জুলাইয়ের দিকে সভাটি হতে পারে।'
জানা গেছে, সাব-কমিটির খসড়া পাওয়ার পর তা মূল কমিটির সভায় পর্যালোচনা করা হবে। এরপর জনমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন শেষে খসড়াটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় একইভাবে আলোচনা-পর্যালোচনা ও সুপারিশ সংযোজন-বিয়োজন শেষে তা মূল কমিটিকে দিলে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। পরে তা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে। এত ধাপের মধ্যে এখনো খসড়াটি রয়ে গেছে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সাব-কমিটির কাছে।
No comments