কালান্তরের কড়চা-মন্ত্রিসভায় রদবদলের খবর এবার কেন সঠিক হওয়া প্রয়োজন by আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

মন্ত্রিসভার বড় রকমের রদবদল হতে যাচ্ছে। এবার আর গুজব নয়, একেবারে টাটকা খবর ছেপেছে ডেন্টাল স্টার পত্রিকা গত রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি। খবরে এমন কথাও বলা হয়েছে যে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মন্ত্রিসভা গঠনে যেসব রুই-কাতলাদের বাদ দিয়েছিলেন, তাঁদেরও এবার মন্ত্রী করে নিতে পারেন। তাহলে আর এই মন্ত্রিসভার গায়ে কচিকাঁচার আসরের ছাপটি থাকবে না।


এ ধরনের গুজব আগেও ঢাকার সংবাদপত্রে বেরিয়েছে। কিন্তু সঠিক প্রমাণিত হয়নি। এবার যে হবে তার প্রমাণ কি? প্রমাণ হয়তো কারো কাছে নেই, কিন্তু লক্ষণগুলো বলে দিচ্ছে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে যাচ্ছে। ভারতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর ব্যক্তিগত সততা ও যোগ্যতার জন্য শত্রু-মিত্র সবার প্রশংসা অর্জন করতে পারলেও তাঁর সরকার দেশ শাসনে গুড পারফরম্যান্সের পরিচয় দিতে পারেনি। দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য, সন্ত্রাস তাঁর সরকারের সুনাম গ্রাস করে ফেলেছে। ফলে বিব্রত মনমোহন মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটাতে বাধ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশেও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সততা, যোগ্যতা এখন সর্বজনবিদিত। এমনকি বিদেশেও তাঁর খ্যাতি তুঙ্গে। কিন্তু তাঁর সরকার দেশ পরিচালনায় অনেক ভালো ভালো কাজ করা সত্ত্বেও গুড পারফরম্যান্সের পরিচয় দেখাতে পারছে না। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির সমস্যা তো আছেই। সেই সঙ্গে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস দমন, খাদ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, শেয়ারবাজারে ভয়ংকর ধসের দ্রুত প্রতিকার সাধনে অক্ষমতা ইত্যাদি তো আছেই। গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো আছে ছাত্রলীগের এক শ্রেণীর নেতা-কর্মীর অব্যাহত সন্ত্রাস।
অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে বিব্রত। তাঁর সাম্প্রতিক লন্ডন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের মুখ থেকেই শুনেছি, তিনি মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথাটি সিরিয়াসলি ভাবছেন। হয়তো দেশে ফিরেই এই রদবদলের কাজে হাত দেবেন। ডেইলি স্টার তো এখন খবরই ছেপে দিয়েছে, এই রদবদল ঘটতে যাচ্ছে। যদি ঘটে তাহলে দেশের জন্য ভালো, সরকারের জন্য ভালো, ক্ষমতাসীন দলের জন্যও ভালো। যদি না ঘটে, খবরটি আগের মতোই গুজব বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে এই দুর্ভাগা দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ আছে বৈকি।
মন্ত্রিসভায় রদবদল হলেই দেশের সব সমস্যার রাতারাতি সমাধান হয়ে যাবে তা নয়, কিন্তু যোগ্য ও দক্ষ হাতে যদি সমস্যা সমাধানের ভার দেওয়া হয়, তাহলে সমস্যাপীড়িত জনগণ ভরসা পায় এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা সমস্যার সমাধানটিও দ্রুত হয়। এ জন্য কোনো যুদ্ধের সময়েও বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ভ্যাটার্নদের ডাক পড়ে পরামর্শ ও সহযোগিতাদানের জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশে হাসিনা সরকার বিপজ্জনক না হলেও বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় বসার মাত্র দুই বছর না যেতেই বিএনপি নেত্রী সাহস দেখাচ্ছেন এই সরকারের ক্ষমতা ত্যাগের দাবি জানানোর। আর বিএনপি দলটি খালেদা-পুত্রদের দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার এবং সাকা চৌধুরীর মতো দুর্বৃত্তকে নিয়ে সংসদে যাওয়ার দাবিতে হরতাল ডাকার নির্লজ্জতা প্রকাশ্যেই দেখাতে পারছে।
৭ ফেব্রুয়ারি সোমবারের হরতাল সফল হয়নি। কিন্তু হরতালের আগের দিনের সন্ধ্যায় বিএনপির দুর্বৃত্তরা দশ-বারোটি গাড়ি অগি্নসংযোগ দ্বারা ধ্বংস করে (যার অধিকাংশই ছিল পাবলিক প্রোপার্টি) দেশে অরাজকতা সৃষ্টির রাজনীতিতে ফিরে যাওয়ার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। সরকার দেশে আবার এই অপরাজনীতির মাথা তোলার মুখে কি করবেন? কেবল পুরনো আমলের দমননীতি বা পুলিশের সাহায্যে এই সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত দুর্বৃত্তপনা মোকাবিলা করতে কি পারবে? নাকি অতীতে কোনো সরকার তা পেরেছে?
গণতান্ত্রিক রাজনীতির মুখোশ পরা এই অশুভ অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা ও প্রতিহত করা সম্ভব। কিন্তু সে জন্য অভিজ্ঞ ও দক্ষ রাজনৈতিক সরকার এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক দল দরকার। বাংলাদেশের বর্তমান হাসিনা সরকারে দক্ষ ও অভিজ্ঞ মন্ত্রী নেই, তা আমি বলব না। কিন্তু সামগ্রিকভাবে মন্ত্রিসভায় অদক্ষ ও অযোগ্য মন্ত্রীদের সংখ্যা বেশি এবং সমস্যা মোকাবিলা করার ব্যাপারে তাঁদের অনেকের নানা ধরনের অসুবিধা, দুর্বলতা ও অক্ষমতাও আছে। কারো কারো এই দুর্বলতা ও অক্ষমতা কাটিয়ে ওঠার সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতা থাকলেও কথা ছিল না।
শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা গঠনের প্রথম দিনই তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমার কলামে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলাম, নির্বাচনে বিশাল জয়লাভই কোনো সরকারকে সাফল্য অর্জন ও জনপ্রিয়তা ধরে রাখার গ্যারান্টি দেয় না। দেয় একটি অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী সরকারের কর্মদক্ষতা। এ ধরনের একটি শক্তিশালী ও দক্ষ সরকার গঠন করতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে অভিজ্ঞতা অর্জনে ইচ্ছুক নতুন মুখের সঙ্গে অভিজ্ঞ প্রবীণ মুখের সম্মিলন ঘটাতে হবে তাঁর মন্ত্রিসভায়। নইলে তিনি নিজে যত দক্ষ মাঝিই হোন, অদক্ষ-অযোগ্য দাঁড়িমাল্লাদের জন্য তাঁর নৌকা চরায় আটকে যেতে পারে। সেদিন আমরা যারা প্রধানমন্ত্রীকে এ ধরনের আগাম হুঁশিয়ারি জানিয়েছিলাম তাদের প্রতি তিনি হয়তো প্রসন্ন হননি; কিন্তু আজ দেশ পরিচালনার দুই বছর পর তিনি ঠেকে নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন, দেশ এবং তাঁর সরকারের বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী তাঁর সরকারের আন্তরিকতার অভাব নয়, দায়ী এই সরকারের কিছু মন্ত্রীর অদক্ষতা ও অকর্মণ্যতা। সরকারের অনেক ভালো ভালো কাজ এই অকর্মণ্যদের দৌরাত্ম্যে সুনাম অর্জন করতে পারেনি। সরকারের জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করতে হলে বর্তমান মন্ত্রিসভায় রদবদল জরুরি আবশ্যক। প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত সেই পদক্ষেপই নিতে যাচ্ছেন।
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সহসা যে মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটাতে পারছেন না তার কারণ, এই রদবদল সম্পর্কে তাঁর ওপর তাঁর পরিবারের কোনো কোনো সদস্যের প্রচণ্ড চাপ। তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠজনের চাপও এর সঙ্গে যুক্ত আছে। তাঁরা সবাই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদে রদবদল এবং নিজেরা তাতে স্থলাভিষিক্ত হতে চান। প্রধানমন্ত্রীকে এ ক্ষেত্রে প্রচণ্ডভাবে কঠোর হতে হবে। তাঁর কাছে নিশ্চয়ই পরিবারের চেয়ে দেশ বড়। এর প্রমাণ তাঁকে আরেকবার দিতে হবে।
দেশ এখন আবার এক সর্বনাশা পরিস্থিতির সম্মুখীন। গণতন্ত্রে ক্ষমতার হাতবদল আছে। ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক পন্থায় তা হোক তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু ক্ষমতার হাতবদলের গণতান্ত্রিক পন্থার ফাঁক-ফোকরের মধ্যদিয়ে যদি স্বাধীনতার শত্রু এবং একাত্তরের পরাজিত চক্রগুলো আবার ক্ষমতা দখলের সুযোগ পায় তা হবে অতীতের সব বিপর্যয়ের চেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয়। এই বিপর্যয় ঘটানোর সম্মিলিত ষড়যন্ত্র এখন আবার মাথা তুলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর এখন এক মহাদায়িত্ব অর্পিত। আর সব কিছু ভুলে, সব ধরনের চাপ এড়িয়ে তাঁকে এ বিপর্যয় রোধে দ্বিধাহীনভাবে সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়াতে হবে। তাঁর সরকারকে এবং দলকেও পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করতে হবে।
ইংরেজি দৈনিকটি গত রবিবারে মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদলের খবরের সম্ভাব্য মন্ত্রী হিসেবে কয়েকজন ব্যক্তির নাম দিয়েছে, যাঁরা রাজনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির অঙ্গনে খুবই পরিচিত মুখ। কিন্তু কেবল পরিচিতিই যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে নতুন মন্ত্রী বাছাইয়ের মাপকাঠি না হয়। অতীতে এঁরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে কতটা গুড পারফরম্যান্সের পরিচয় দিয়েছেন তার ভিত্তিতেই মন্ত্রিসভায় বা উপদেষ্টা পরিষদে তাঁদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। সে বিবেচনায় যদি তাঁরা না টেকেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে নতুন অথচ কর্মদক্ষতার সুনাম আছে এমন ব্যক্তি খুঁজে আনতে হবে।
বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠনের সময়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রীদের এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন, 'তাঁদের মন্ত্রিত্ব কত দিন স্থায়ী হবে তা নির্ভর করে তাঁদের পারফরম্যান্সের ওপর।' ছয় মাস পরেই মন্ত্রীদের অভিজ্ঞতা অর্জন, যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রদর্শনের ব্যাপারটি বিবেচনা করার কথা ছিল। তার পর দুই বছর কেটে গেছে। এই নাতিদীর্ঘ সময়ের মধ্যেও যেসব মন্ত্রী অকর্মর্ণ্যতা ও বালখিল্যতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি, প্রধানমন্ত্রীর তাঁদের প্রতি সদয় থাকার কোনো কারণ নেই। ব্যক্তিগত আনুগত্য যেন এবার মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্য রদবদলের ক্ষেত্রে বিবেচনা না পায়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তা আমার একান্ত আবেদন।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সম্ভাব্য রদবদলের সময় হয় নতুন কয়েকটি মন্ত্রী দপ্তর সৃষ্টি করা হবে, নইলে বড় বড় মন্ত্রকগুলো বিভক্ত করা হবে। যেমন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রক, তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রক, শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রক, খাদ্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসম্পর্কিত মন্ত্রক ইত্যাদি। স্বরাষ্ট্র, বাণিজ্য, যোগাযোগ, পানি সম্পদ, শিল্প, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রকও নাকি পুনর্গঠন করা হবে। আমার মতে মন্ত্রক কেবল বাড়ালে, বিভক্ত ও পুনর্গঠন করলেই সমস্যার সমাধান হবে না। প্রতিটি নতুন-পুরনো মন্ত্রিদপ্তরে কর্মদক্ষ ও যোগ্য মন্ত্রী চাই, নইলে সব রদবদল, পুনর্গঠন ব্যর্থ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী অন্তত তথ্য, স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র, শিল্প ও বাণিজ্য ইত্যাদি কয়েকটি দপ্তরে অবিলম্বে রদবদল ঘটিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু করতে পারেন।
শুধু মন্ত্রিসভায় রদবদল নয়, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা হ্রাস এবং পরিষদের কর্তৃত্ব ও এখতিয়ারের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। নির্বাচিত মন্ত্রীদের ওপর উপদেষ্টাদের খবরদারির কর্তৃত্ব হ্রাস এবং কেবল প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শদানের মধ্যেই তাঁদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ করা প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে বর্তমান উপদেষ্টাদের মধ্যে যাঁরা কর্মদক্ষতা দেখিয়েছেন, তাঁদের টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রীও করা যেতে পারে। তাতে মন্ত্রিসভার দক্ষতা বাড়বে। কিন্তু দেশকে সুশাসন উপহার দেওয়ার স্বার্থেই বর্তমান দ্বৈত শাসনের অবসান হওয়া প্রয়োজন।
সবশেষে প্রধানমন্ত্রীকে, যিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলেরও সভাপতি, অনুরোধ জানাই, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে কেবল সরকারকে নয়, দলকেও পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করা দরকার। গণতান্ত্রিক পদ্ধতির শাসনে সরকারের কার্যকারিতা নির্ভর করে একটি শক্তিশালী দলের ওপর। প্রধানমন্ত্রী দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের হাল ধরতে গিয়ে দলের দিকে নজর দিতে পারছেন না। ফলে দলের এখন বেহাল অবস্থা। পৌরসভাগুলোর নির্বাচনেও তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনেও তার প্রতিভাস পাওয়া যেতে পারে। সভানেত্রী, আল্লাহরওয়াস্তে দলকে তৃণমূল পর্যায় থেকে পুনর্গঠিত ও শক্তিশালী করুন। দলের জন্য অবিলম্বে একজন অভিজ্ঞ, সাধারণ নেতা-কর্মীদের কাছে প্রিয় ও পরিচিত সার্বক্ষণিক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করুন। যাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য দলের সাধারণ নেতা-কর্মীদের দিনের চবি্বশ ঘণ্টার মধ্যে আঠারো ঘণ্টা তাঁর বাড়ি বা অফিসের সামনে গিয়ে বসে থাকতে হবে না। জননেত্রী, সময় থাকতে সতর্ক হোন।

লন্ডন ৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ২০১১

No comments

Powered by Blogger.