চট্টগ্রামে উড়াল সড়কের গার্ডার ভেঙে পড়ল
অল্পের জন্য আরেকটি 'ট্র্যাজেডি' থেকে রক্ষা পেল চট্টগ্রাম! গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নগরীর বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন উড়াল সড়কের গার্ডার ধসে পড়ে। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।মাত্র তিন দিন আগে মঙ্গলবার প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড় ও দেয়াল ধসে ২৯ জনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ধসে পড়া উড়াল সড়কের পাশের ফার্নিচার দোকানের মালিক আবদুল হাকিম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ঘড়ির কাঁটায় তখন ১টা ২৫ মিনিট। আমি দোকান বন্ধ করে পাশের মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য যাচ্ছিলাম। ঠিক তখন বিকট শব্দ ও ভূমিকম্পের মতো কম্পন অনুভব হয়। পেছনে তাকিয়ে দেখি ফ্লাইওভারের অংশবিশেষ ধসে পড়েছে। এ সময় ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে যাওয়া একটি রিকশার চালক লাফ দিয়ে সরে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।'
এক মিনিট আগে ধসে পড়লে এস আলম সার্ভিসের একটি বাস চাপা পড়ত জানিয়ে মসজিদের ছাদ থেকে ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কাউছার আলম জানান, ১৩০ ফুট দীর্ঘ ও সাত ফুট চওড়া উড়াল সড়কের গার্ডারটির মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ছে দেখে এস আলম সার্ভিসের বাসটি দ্রুত সরে পড়ে এবং একজন রিকশাচালক লাফ দিয়ে সরে পড়েন। অন্যথায় বহু লোকের হতাহতের ঘটনা ঘটত।
সরেজমিনে দেখা যায়, উড়াল সড়কের ২১ ও ২২ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী কয়েক শ টন ওজনের গার্ডারটি প্রায় ৩০ ফুট ওপর থেকে নিচে পড়ে চুরমার হয়ে গেছে। কংক্রিট ও সিমেন্টের গাঁথুনি ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। কিন্তু গার্ডারটির সঙ্গে কোনো টানা দেখা যায়নি।
রিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি দুজন যাত্রী নিয়ে কালামিয়া বাজার থেকে বহদ্দারহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। উড়াল সড়কের নিচে আসার পর বিকট শব্দ শুনে তিনি ডান দিকে ও যাত্রী দুজন বাম দিকে লাফ দেন। এতে তিনি ডানহাতে আঘাত পেয়েছেন।
এদিকে উড়াল সড়কের অংশ ধসে পড়ায় বহদ্দারহাট হয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে অন্য পাশের রাস্তা পরিষ্কার করে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বলেন, গার্ডারটি যেভাবে সড়কের ওপর পড়েছে, তা ভাঙা ছাড়া রাস্তা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাই পাশের দিকের জায়গা খালি করে জনদুর্ভোগ কমাতে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিকেল ৩টা পর্যন্ত উড়াল সড়কের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলী বা প্রকল্প পরিচালকদের কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। বিকেল ৩টার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। ভারী কোনো যানবাহনের কম্পন বা গার্ডারটি পিলারের সঙ্গে টানা না থাকায় ভারসাম্য রাখতে পারেনি বলে সম্ভবত পড়ে গেছে। তবে আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া, নিচে কোনো যানবাহন ও মানুষ ছিল না।' তিনি আরো বলেন, 'ভেঙে পড়ার প্রকৃত কারণ জানতে প্রকল্প পরিচালক এ এম এন হাবিবুর রহমান ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি নিয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামীকাল (আজ শনিবার) প্রাথমিক রিপোর্ট দিলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এ দুর্ঘটনার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।'
উড়াল সড়কটির নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হলো মীর আকতার ও পারিশা। এ বিষয়ে পারিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমকর্তা মশিউর রহমান কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ঢাকায় থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাক ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন সব জানেন। কিন্তু ওই দুই ব্যক্তির কাউকে ঘটনাস্থলে কিংবা মোবাইলে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়াল সড়কটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চট্টগ্রামের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৪ ফুট চওড়া এই উড়াল সড়কটির নির্মাণে বাজেট ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। সিডিএর অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির কাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এক মিনিট আগে ধসে পড়লে এস আলম সার্ভিসের একটি বাস চাপা পড়ত জানিয়ে মসজিদের ছাদ থেকে ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কাউছার আলম জানান, ১৩০ ফুট দীর্ঘ ও সাত ফুট চওড়া উড়াল সড়কের গার্ডারটির মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ছে দেখে এস আলম সার্ভিসের বাসটি দ্রুত সরে পড়ে এবং একজন রিকশাচালক লাফ দিয়ে সরে পড়েন। অন্যথায় বহু লোকের হতাহতের ঘটনা ঘটত।
সরেজমিনে দেখা যায়, উড়াল সড়কের ২১ ও ২২ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী কয়েক শ টন ওজনের গার্ডারটি প্রায় ৩০ ফুট ওপর থেকে নিচে পড়ে চুরমার হয়ে গেছে। কংক্রিট ও সিমেন্টের গাঁথুনি ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। কিন্তু গার্ডারটির সঙ্গে কোনো টানা দেখা যায়নি।
রিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি দুজন যাত্রী নিয়ে কালামিয়া বাজার থেকে বহদ্দারহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। উড়াল সড়কের নিচে আসার পর বিকট শব্দ শুনে তিনি ডান দিকে ও যাত্রী দুজন বাম দিকে লাফ দেন। এতে তিনি ডানহাতে আঘাত পেয়েছেন।
এদিকে উড়াল সড়কের অংশ ধসে পড়ায় বহদ্দারহাট হয়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে অন্য পাশের রাস্তা পরিষ্কার করে একমুখী চলাচল নিশ্চিত করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের বলেন, গার্ডারটি যেভাবে সড়কের ওপর পড়েছে, তা ভাঙা ছাড়া রাস্তা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তাই পাশের দিকের জায়গা খালি করে জনদুর্ভোগ কমাতে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিকেল ৩টা পর্যন্ত উড়াল সড়কের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলী বা প্রকল্প পরিচালকদের কেউ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হননি। বিকেল ৩টার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'এটি নিছক একটি দুর্ঘটনা। ভারী কোনো যানবাহনের কম্পন বা গার্ডারটি পিলারের সঙ্গে টানা না থাকায় ভারসাম্য রাখতে পারেনি বলে সম্ভবত পড়ে গেছে। তবে আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া, নিচে কোনো যানবাহন ও মানুষ ছিল না।' তিনি আরো বলেন, 'ভেঙে পড়ার প্রকৃত কারণ জানতে প্রকল্প পরিচালক এ এম এন হাবিবুর রহমান ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি নিয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ওই কমিটি আগামীকাল (আজ শনিবার) প্রাথমিক রিপোর্ট দিলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এ দুর্ঘটনার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের।'
উড়াল সড়কটির নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হলো মীর আকতার ও পারিশা। এ বিষয়ে পারিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমকর্তা মশিউর রহমান কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ঢাকায় থাকা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাক ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন সব জানেন। কিন্তু ওই দুই ব্যক্তির কাউকে ঘটনাস্থলে কিংবা মোবাইলে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়াল সড়কটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। চট্টগ্রামের যানজট নিরসনের লক্ষ্যে প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৪ ফুট চওড়া এই উড়াল সড়কটির নির্মাণে বাজেট ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। সিডিএর অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির কাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
No comments