নতুন আশা ও স্বপ্ন-স্বাগত ২০১০
আজ ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম দিন। একুশ শতকের প্রথম দশকের শেষ বছরে পা রাখল বিশ্ববাসী। বাংলাদেশ পদার্পণ করল স্বাধীনতা অর্জনের ৩৯তম বছরে। নতুন বছরের এই নতুন প্রভাতে আমাদের অগণিত পাঠক, লেখক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীর প্রতি রইল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
এটি আমাদের সামনের দিকে তাকানোর মুহূর্ত; নতুন আশা ও স্বপ্নে উজ্জীবিত হয়ে নতুন নতুন সম্ভাবনা আবিষ্কারে মনকে প্রস্তুত করার মুহূর্ত। একই সঙ্গে পেছনে তাকানোর মুহূর্তও বটে। কেননা, পেছনে ফেলে আসা পথরেখা থেকেই আমরা দেখতে পাব সম্মুখের পথ। পেছনের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ব্যর্থতাগুলো কাটিয়ে উঠে সাফল্যের পথে যাত্রার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা শুরু করব নতুন বছর।
এক বছর আগে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয়লাভ করে। সরকার গঠনেরও এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে ৬ জানুয়ারি। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দুই বছরের জরুরি অবস্থাকালীন এক বিশেষ ধরনের শাসনব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরেছে। এরপর একটি বছর কেটে গেল; খুব মসৃণ ছিল না দিনগুলো। গত বছরের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর জওয়ানদের বিদ্রোহে দেশজুড়ে হূদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সরকার মোটের ওপর শাসনকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে; তবে আমলাতন্ত্রে ব্যাপক রদবদলের ফলে অস্থিরতা বিরাজমান। আইলার মতো প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকানো, জবরদখল করা খাল-নদী পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর পুনঃ পুনঃ নির্দেশ তেমন কার্যকর ফলাফল এখনো দেয়নি; তবে প্রয়াস অব্যাহত আছে। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর তত্পরতা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, যদিও তাদের তার-হুমকি ও গোপন তত্পরতা এখনো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়নি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম প্রত্যাশিত মাত্রায় কমেনি, তবে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের শেষের দিকের দুর্বিষহ অবস্থা কিছুটা কেটেছে।
সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেনি; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তুলনায় একটু খারাপ হয়েছে। সরকারদলীয় লোকজনের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি খোদ সরকারকেই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। নবম সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর বিরোধী দল আর সে-মুখো হয়নি। অসহযোগিতা ও দোষারোপের রাজনীতি আগের মতোই চলছে। অবশ্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, প্রধান দুটি দল নিজ নিজ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান করেছে; যদিও এতে দলীয় পর্যায়ে গণতান্ত্রিক অনুশীলনের চিত্র দেখা যায়নি। শীর্ষ নেতৃত্ব অপরিবর্তিত, পরের ধাপের নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের একক সিদ্ধান্তে।
এ মুহূর্তে দেশজুড়ে প্রচুরসংখ্যক মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। গত কয়েক দিনে উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় শীতজনিত কারণে কিছু মানুষের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
এই সব বাস্তবতা সঙ্গে নিয়েই আমরা পা রাখছি নতুন বছরে। বাংলাদেশের মানুষ সব সময় আশাবাদী। তারা স্বপ্ন দেখে সামনের দিনগুলো সুন্দর হবে। নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা, সরকার সাধারণ মানুষের জীবনের সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগী হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দুর্নীতি দমনসহ জনজীবনের সমস্যাগুলো পূরণে সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে।
এক বছর আগে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয়লাভ করে। সরকার গঠনেরও এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে ৬ জানুয়ারি। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দুই বছরের জরুরি অবস্থাকালীন এক বিশেষ ধরনের শাসনব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরেছে। এরপর একটি বছর কেটে গেল; খুব মসৃণ ছিল না দিনগুলো। গত বছরের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর জওয়ানদের বিদ্রোহে দেশজুড়ে হূদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সরকার মোটের ওপর শাসনকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে; তবে আমলাতন্ত্রে ব্যাপক রদবদলের ফলে অস্থিরতা বিরাজমান। আইলার মতো প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকানো, জবরদখল করা খাল-নদী পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর পুনঃ পুনঃ নির্দেশ তেমন কার্যকর ফলাফল এখনো দেয়নি; তবে প্রয়াস অব্যাহত আছে। জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর তত্পরতা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, যদিও তাদের তার-হুমকি ও গোপন তত্পরতা এখনো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়নি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম প্রত্যাশিত মাত্রায় কমেনি, তবে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের শেষের দিকের দুর্বিষহ অবস্থা কিছুটা কেটেছে।
সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেনি; আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তুলনায় একটু খারাপ হয়েছে। সরকারদলীয় লোকজনের চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি খোদ সরকারকেই বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। নবম সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর বিরোধী দল আর সে-মুখো হয়নি। অসহযোগিতা ও দোষারোপের রাজনীতি আগের মতোই চলছে। অবশ্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী, প্রধান দুটি দল নিজ নিজ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান করেছে; যদিও এতে দলীয় পর্যায়ে গণতান্ত্রিক অনুশীলনের চিত্র দেখা যায়নি। শীর্ষ নেতৃত্ব অপরিবর্তিত, পরের ধাপের নেতৃত্ব নির্ধারিত হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের একক সিদ্ধান্তে।
এ মুহূর্তে দেশজুড়ে প্রচুরসংখ্যক মানুষ শীতে কষ্ট পাচ্ছে। গত কয়েক দিনে উত্তরাঞ্চলসহ কয়েকটি জেলায় শীতজনিত কারণে কিছু মানুষের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
এই সব বাস্তবতা সঙ্গে নিয়েই আমরা পা রাখছি নতুন বছরে। বাংলাদেশের মানুষ সব সময় আশাবাদী। তারা স্বপ্ন দেখে সামনের দিনগুলো সুন্দর হবে। নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা, সরকার সাধারণ মানুষের জীবনের সমস্যাগুলো সমাধানে উদ্যোগী হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দুর্নীতি দমনসহ জনজীবনের সমস্যাগুলো পূরণে সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে।
No comments