শনিবারের সুসংবাদ-অসময়ের কপিতে ভাগ্য বদল by আহমেদ উল হক রানা
সাংসারিক টানাপড়েনে লেখাপড়া তেমন একটা এগোয়নি। এইচএসসি পাসের সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে ক্লান্ত। একপর্যায়ে মনস্থির করলেন_আর ঘোরাঘুরি বা ছোটাছুটি নয়। স্ব-উদ্যোগে কিছু করতে হবে। নিজের ভাগ্য নিজেকেই গড়তে হবে। সেই চিন্তা মাথায় রেখেই এবার সামনে পা বাড়ান আবদুল বারী।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের মোহম্মদ আলী প্রামাণিকের ছেলে আবদুল বারী। কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় তিনি কৃষিকেই বেছে নেন ভাগ্য গড়ার ক্ষেত্র হিসেবে। শুরুতে মাত্র ১০ কাঠা জমিতে আবাদ শুরু করেন। কিন্তু শুরুতে তেমন সফলতা মেলেনি। তবে তিনি হতাশ হননি। বরং প্রচলিত শস্য ধান, পাট বা আখের মতো ফসল আবাদ থেকে সরে আসেন। ঝুঁকে পড়েন সবজি চাষের দিকে। এবার সাফল্য ধরা দেয়।
আবদুল বারী চাষাবাদের পাশাপাশি আস্তে ধীরে বাড়াতে থাকেন জমির পরিধি। বর্তমানে নিজেদের ২০ বিঘা জমির সঙ্গে আরো ৪০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন 'জয়-বৃষ্টি কৃষি খামার'। এ বছর দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে সাত বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপির আবাদ করে আয় করেছেন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
একসময়ের প্রান্ত্রিক চাষি আবদুল বারী আজ ৬০ বিঘা আয়তনের বিশাল খামারের মালিক। তাঁর এই সাফল্য উৎসাহী করে তুলেছে এলাকার অন্যান্য কৃষককে। তাঁরাও ঝুঁকছেন অসময়ের সবজি চাষের দিকে।
আবদুল বারী কালের কণ্ঠকে জানান, বৈশাখের শুরুতে তিনি সাত বিঘা জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ করেন। দুই মাস শেষে আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহেই উৎপাদিত ফুলকপি বিক্রি করে দেন। শীতকালীন এই সবজি গ্রীষ্মে পেয়ে ক্রেতারাও লুফে নেন। ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে তাঁর খামারের ফুলকপি। তিনি জানান, প্রতিটি ফুলকপির ওজন ছিল ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। কপি বিক্রির জন্য বাজারেও যেতে হয়নি। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জমি থেকেই তা কিনে নিয়ে গেছেন।
আবদুল বারী আরো জানান, সার, বীজ, কীটনাশক, শ্রমিক খরচসহ সব মিলিয়ে প্রতিবিঘায় ফুলকপি আবাদে তাঁর খরচ পড়েছে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো। এর বিপরীতে প্রতিবিঘার ফুলকপি বিক্রি করে তিনি পেয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে তাঁর মুনাফা হয়েছে চার লাখ ৯০ হাজার টাকা।
প্রথম চালানে আগাম ফুলকপির আবাদে সফলতা পাওয়ায় খামারি আবদুল বারী আবারও একই সবজি আবাদে মনোযোগী হয়েছেন। জমির সব কপি তুলে ফেলার পর এবার আগাম জাতের ফুলকপির পাশাপাশি বাঁধাকপির চারাও রোপণ করেছেন। বারী জানান, কপি শীতকালের সবজি। তবে শীত মৌসুমে কপি আবাদ করে প্রথম দিকে দাম কিছুটা পাওয়া গেলেও শেষ পর্যায়ে আর ক্রেতা থাকে না। এর বিপরীতে অসময়ে সবজির আবাদ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। দাম না পাওয়ার আশঙ্কা নেই। বরং মুনাফা কতটা বেশি হবে সেটাই থাকে একমাত্র ভাবনা।
নিজের সফলতায় তৃপ্ত আবদুল বারী জানান, কপি আবাদ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি তাঁর খামারে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশজন কৃষি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন নারী ও সাতজন প্রতিবন্ধী শ্রমিকও রয়েছে।
খামারে দাঁড়িয়ে আলাপকালে আবদুল বারী অভিযোগের সুরে বলেন, আবাদ করতে গিয়ে বীজ ও সার সংকটে সমস্যায় পড়তে হয়। বীজ বিক্রেতারা অনেক সময় কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সাত হাজার টাকা কেজির বীজ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করেন। কৃষকদেরও অনেকটা জিম্মি হয়েই বেশি দামে বীজ কিনতে হয়। কৃষকদের আধুনিক আবাদ উপযোগী প্রশিক্ষণ, সার, বীজসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হলে কৃষক উপকৃত হবে। ক্রেতারাও তুলনামূলক কম দামে আগাম জাতের শস্য, সবজি ও ফল কিনতে পারবেন।
আবদুল বারী চাষাবাদের পাশাপাশি আস্তে ধীরে বাড়াতে থাকেন জমির পরিধি। বর্তমানে নিজেদের ২০ বিঘা জমির সঙ্গে আরো ৪০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন 'জয়-বৃষ্টি কৃষি খামার'। এ বছর দুই ভাইকে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে সাত বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপির আবাদ করে আয় করেছেন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
একসময়ের প্রান্ত্রিক চাষি আবদুল বারী আজ ৬০ বিঘা আয়তনের বিশাল খামারের মালিক। তাঁর এই সাফল্য উৎসাহী করে তুলেছে এলাকার অন্যান্য কৃষককে। তাঁরাও ঝুঁকছেন অসময়ের সবজি চাষের দিকে।
আবদুল বারী কালের কণ্ঠকে জানান, বৈশাখের শুরুতে তিনি সাত বিঘা জমিতে ফুলকপির চারা রোপণ করেন। দুই মাস শেষে আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহেই উৎপাদিত ফুলকপি বিক্রি করে দেন। শীতকালীন এই সবজি গ্রীষ্মে পেয়ে ক্রেতারাও লুফে নেন। ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে তাঁর খামারের ফুলকপি। তিনি জানান, প্রতিটি ফুলকপির ওজন ছিল ৫৫০ থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। কপি বিক্রির জন্য বাজারেও যেতে হয়নি। ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জমি থেকেই তা কিনে নিয়ে গেছেন।
আবদুল বারী আরো জানান, সার, বীজ, কীটনাশক, শ্রমিক খরচসহ সব মিলিয়ে প্রতিবিঘায় ফুলকপি আবাদে তাঁর খরচ পড়েছে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকার মতো। এর বিপরীতে প্রতিবিঘার ফুলকপি বিক্রি করে তিনি পেয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে তাঁর মুনাফা হয়েছে চার লাখ ৯০ হাজার টাকা।
প্রথম চালানে আগাম ফুলকপির আবাদে সফলতা পাওয়ায় খামারি আবদুল বারী আবারও একই সবজি আবাদে মনোযোগী হয়েছেন। জমির সব কপি তুলে ফেলার পর এবার আগাম জাতের ফুলকপির পাশাপাশি বাঁধাকপির চারাও রোপণ করেছেন। বারী জানান, কপি শীতকালের সবজি। তবে শীত মৌসুমে কপি আবাদ করে প্রথম দিকে দাম কিছুটা পাওয়া গেলেও শেষ পর্যায়ে আর ক্রেতা থাকে না। এর বিপরীতে অসময়ে সবজির আবাদ অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত। দাম না পাওয়ার আশঙ্কা নেই। বরং মুনাফা কতটা বেশি হবে সেটাই থাকে একমাত্র ভাবনা।
নিজের সফলতায় তৃপ্ত আবদুল বারী জানান, কপি আবাদ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের পাশাপাশি তাঁর খামারে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশজন কৃষি শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জন নারী ও সাতজন প্রতিবন্ধী শ্রমিকও রয়েছে।
খামারে দাঁড়িয়ে আলাপকালে আবদুল বারী অভিযোগের সুরে বলেন, আবাদ করতে গিয়ে বীজ ও সার সংকটে সমস্যায় পড়তে হয়। বীজ বিক্রেতারা অনেক সময় কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সাত হাজার টাকা কেজির বীজ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করেন। কৃষকদেরও অনেকটা জিম্মি হয়েই বেশি দামে বীজ কিনতে হয়। কৃষকদের আধুনিক আবাদ উপযোগী প্রশিক্ষণ, সার, বীজসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হলে কৃষক উপকৃত হবে। ক্রেতারাও তুলনামূলক কম দামে আগাম জাতের শস্য, সবজি ও ফল কিনতে পারবেন।
No comments