মোবাইল সিম চালু হবে তথ্য যাচাইয়ের পর by কাজী হাফিজ
মোবাইল ফোনের সিম কিনেই সঙ্গে সঙ্গে চালু করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে আগে গ্রাহকের পরিচয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে। ৭২ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে গ্রাহকের দেওয়া তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তথ্য সঠিক হলে তবেই সিম চালু করা যাবে।
অর্থাৎ উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেও 'পোস্ট অ্যাক্টিভেটেড' সিম বিক্রির ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, এ ব্যবস্থায় গ্রাহকরা ভুয়া পরিচয়ে সিম সংগ্রহে অনুৎসাহিত হবে। সিম বিক্রেতারাও গ্রাহকদের কাছ থেকে তাদের পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে যত্নশীল হবেন এবং এর ফলে মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি, উত্ত্যক্ত করার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডসহ মোবাইল ফোনের নানামুখী অপব্যবহার কমবে।
বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে মোবাইল অপারেটর ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক চলমান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে সর্বশেষ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মোবাইল অপারেটর ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ছাড়াও র্যাব ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, মোবাইল অপারেটররা পোস্ট অ্যাক্টিভেটেড সিম চালু করার বিষয়ে আরো কয়েক মাস সময় চায়। তাদের যুক্তি, ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে প্রচুর পরিমাণে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলোর ব্যবস্থা হওয়া দরকার। প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম থেকেই সরকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। সে বিষয়টিরও একটি গ্রহণযোগ্য ফয়সালা হওয়া দরকার। এ ছাড়া কারিগরি কিছু সমস্যাও রয়েছে। তবে মোবাইল অপারেটররা পোস্ট অ্যাক্টিভেটেড সিম চালুর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একমত। এর সার্বিক সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে আগামী সপ্তাহেই তাদের সংগঠন অ্যামটব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিটিআরসিকে জানানো হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মোবাইল ফোনসেবায় শৃঙ্খলা আনতে যথোপযুক্তভাবে গ্রাহক নিবন্ধনও জরুরি হয়ে পড়েছে। পোস্ট অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রির ব্যবস্থা বিষয়টিকে সহযোগিতা করবে। তিনি জানান, যথাযথভাবে গ্রাহক নিবন্ধন না হওয়ায় এবং প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রির ব্যবস্থা থাকায় ভিওআইপির অবৈধ কারবারেও তা ব্যবহৃত হচ্ছে। বিটিআরসি ও র্যাবের অভিযানে সম্প্রতি একটি মোবাইল অপারেটরের প্যাকেট প্যাকেট সিম পাওয়া গেছে। এসব সিম ভিওআইপি কারবারিদের স্থাপনাতে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, 'এতে আমাদের ধারণা, গ্রাহক নিবন্ধনের কোনো রকম তোয়াক্কা না করেই ভিওআইপির অবৈধ কারবারিদের মোবাইল ফোনের সিম দেওয়া হচ্ছে।'
আশা করা হচ্ছে, এ ব্যবস্থায় গ্রাহকরা ভুয়া পরিচয়ে সিম সংগ্রহে অনুৎসাহিত হবে। সিম বিক্রেতারাও গ্রাহকদের কাছ থেকে তাদের পরিচয় সম্পর্কিত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে যত্নশীল হবেন এবং এর ফলে মোবাইল ফোনে চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি, উত্ত্যক্ত করার মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডসহ মোবাইল ফোনের নানামুখী অপব্যবহার কমবে।
বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে মোবাইল অপারেটর ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক চলমান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে সর্বশেষ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে মোবাইল অপারেটর ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ছাড়াও র্যাব ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, মোবাইল অপারেটররা পোস্ট অ্যাক্টিভেটেড সিম চালু করার বিষয়ে আরো কয়েক মাস সময় চায়। তাদের যুক্তি, ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে প্রচুর পরিমাণে প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। সেগুলোর ব্যবস্থা হওয়া দরকার। প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম থেকেই সরকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। সে বিষয়টিরও একটি গ্রহণযোগ্য ফয়সালা হওয়া দরকার। এ ছাড়া কারিগরি কিছু সমস্যাও রয়েছে। তবে মোবাইল অপারেটররা পোস্ট অ্যাক্টিভেটেড সিম চালুর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একমত। এর সার্বিক সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে আগামী সপ্তাহেই তাদের সংগঠন অ্যামটব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিটিআরসিকে জানানো হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মোবাইল ফোনসেবায় শৃঙ্খলা আনতে যথোপযুক্তভাবে গ্রাহক নিবন্ধনও জরুরি হয়ে পড়েছে। পোস্ট অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রির ব্যবস্থা বিষয়টিকে সহযোগিতা করবে। তিনি জানান, যথাযথভাবে গ্রাহক নিবন্ধন না হওয়ায় এবং প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রির ব্যবস্থা থাকায় ভিওআইপির অবৈধ কারবারেও তা ব্যবহৃত হচ্ছে। বিটিআরসি ও র্যাবের অভিযানে সম্প্রতি একটি মোবাইল অপারেটরের প্যাকেট প্যাকেট সিম পাওয়া গেছে। এসব সিম ভিওআইপি কারবারিদের স্থাপনাতে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, 'এতে আমাদের ধারণা, গ্রাহক নিবন্ধনের কোনো রকম তোয়াক্কা না করেই ভিওআইপির অবৈধ কারবারিদের মোবাইল ফোনের সিম দেওয়া হচ্ছে।'
No comments