হঠাৎ সংঘর্ষ, আতঙ্কে ছোটাছুটি by মিঠুন চৌধুরী
‘তিনটার সময় বাসা থেকে বাইর হইছি। কাজীর দেউড়ি আইসা মাইরের মধ্যে আটকে গেছি। মনে হয় মায়ের আর বাড়ি যাওয়া হইবো না। এখন বাসায় যাওয়ার উপায়ও দেখি না।’ গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নগরের এনায়েত বাজার মোড়ে কথা হয় রিকশা-চালক মোহাম্মদ রুবেলের সঙ্গে।
রিকশায় বসা ছিলেন রুবেলের মা। তখনো এনায়েত বাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ চলছে।
রুবেল জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে। নগরের বাংলাবাজার এলাকায় মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে থাকেন। কদমতলি বাস স্টেশন থেকে মাকে গাড়িতে তুলে দিতেই বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। পথচারীদের কেউ কেউ গোয়ালপাড়ার ভেতর দিয়ে কদমতলি যাওয়ার পরামর্শ দেন রুবেলকে। কিন্তু কিছুতেই ঝুঁকি নিতে রাজি হননি রুবেল। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর রুবেল মায়ের উদ্দেশে বলেন, ‘মা চলো, বাসায় যাই গা।’
গত রোববার বিকেলে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে চরম ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। স্কুল-কলেজ ফেরত শিক্ষার্থী, অফিস ফেরত কর্মজীবী নারী-পুরুষের অনেকেই সংঘর্ষের কথা জানতেন না। কেউ কেউ এসে পড়েছিলেন সংঘর্ষস্থলের ভেতর। হঠাৎ সংঘর্ষে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আতঙ্কে ছোটাছুটি করেন লোকজন। দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকে বাসায় ফেরেন হেঁটে।
আসকার দীঘির উত্তর পার এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে আনতে ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাচ্ছিলেন তিনি। গত রোববার বিকেল পাঁচটায় কাজীর দেউড়ি মোড়ে পৌঁছে দেখেন রণক্ষেত্র। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মারামারির কথা আমি জানতাম না। বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি চারদিকে ভাঙচুর চলছে। কোনো গাড়ি চলে না। ভয়ে ভয়ে হেঁটে জিইসি মোড় পর্যন্ত যাই। আতঙ্কে ছিলাম। কখন আহত হয়ে যাই।’
সংঘর্ষ চলাকালে নগরের জুবিলি রোড ধরে তিনপোলের মাথার দিকে যাচ্ছিলেন এক পঞ্চাশোর্ধ্ব লোক। হাতে টিফিন ক্যারিয়ার। হঠাৎ এনায়েত বাজার মোড়ের দিক থেকে পুলিশ বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের ধাওয়া দেন ও লাঠিপেটা করেন। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন তিনি। পরে দৌড়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন।
একইভাবে সংঘর্ষের সময় ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানার শ্রমিক কর্মচারীরা। ছুটির পরও তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় কর্মস্থলে। কেউ কেউ বের হলেও রাস্তায় এসে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েন। নগরের ইপিজেডের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিকেল পাঁচটা থেকে অপেক্ষা করতে থাকেন কর্মস্থলে। ছুটির পর তাঁদের নির্ধারিত বাসগুলো ছাড়েননি।
কাজীর দেউড়ি এলাকার এই সংঘর্ষ ততক্ষণে আগ্রাবাদ, টাইগার পাস ও সংশ্লিষ্ট সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পতেঙ্গা-বহদ্দারহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে ইপিজেড, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন কারখানার কর্মীরা আসতে পারেননি।
রুবেল জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে। নগরের বাংলাবাজার এলাকায় মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে থাকেন। কদমতলি বাস স্টেশন থেকে মাকে গাড়িতে তুলে দিতেই বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন। পথচারীদের কেউ কেউ গোয়ালপাড়ার ভেতর দিয়ে কদমতলি যাওয়ার পরামর্শ দেন রুবেলকে। কিন্তু কিছুতেই ঝুঁকি নিতে রাজি হননি রুবেল। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর রুবেল মায়ের উদ্দেশে বলেন, ‘মা চলো, বাসায় যাই গা।’
গত রোববার বিকেলে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষে চরম ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। স্কুল-কলেজ ফেরত শিক্ষার্থী, অফিস ফেরত কর্মজীবী নারী-পুরুষের অনেকেই সংঘর্ষের কথা জানতেন না। কেউ কেউ এসে পড়েছিলেন সংঘর্ষস্থলের ভেতর। হঠাৎ সংঘর্ষে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আতঙ্কে ছোটাছুটি করেন লোকজন। দীর্ঘক্ষণ বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকে বাসায় ফেরেন হেঁটে।
আসকার দীঘির উত্তর পার এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে আনতে ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে যাচ্ছিলেন তিনি। গত রোববার বিকেল পাঁচটায় কাজীর দেউড়ি মোড়ে পৌঁছে দেখেন রণক্ষেত্র। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মারামারির কথা আমি জানতাম না। বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি চারদিকে ভাঙচুর চলছে। কোনো গাড়ি চলে না। ভয়ে ভয়ে হেঁটে জিইসি মোড় পর্যন্ত যাই। আতঙ্কে ছিলাম। কখন আহত হয়ে যাই।’
সংঘর্ষ চলাকালে নগরের জুবিলি রোড ধরে তিনপোলের মাথার দিকে যাচ্ছিলেন এক পঞ্চাশোর্ধ্ব লোক। হাতে টিফিন ক্যারিয়ার। হঠাৎ এনায়েত বাজার মোড়ের দিক থেকে পুলিশ বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের ধাওয়া দেন ও লাঠিপেটা করেন। এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন তিনি। পরে দৌড়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন।
একইভাবে সংঘর্ষের সময় ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানার শ্রমিক কর্মচারীরা। ছুটির পরও তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় কর্মস্থলে। কেউ কেউ বের হলেও রাস্তায় এসে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েন। নগরের ইপিজেডের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিকেল পাঁচটা থেকে অপেক্ষা করতে থাকেন কর্মস্থলে। ছুটির পর তাঁদের নির্ধারিত বাসগুলো ছাড়েননি।
কাজীর দেউড়ি এলাকার এই সংঘর্ষ ততক্ষণে আগ্রাবাদ, টাইগার পাস ও সংশ্লিষ্ট সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পতেঙ্গা-বহদ্দারহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে ইপিজেড, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন কারখানার কর্মীরা আসতে পারেননি।
No comments