গোয়েন্দা প্রতিবেদন-তৎপর বগিভিত্তিক সংগঠন, সংঘর্ষের আশঙ্কা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গত বছরের মে মাসে। এরপর কিছুদিন নীরব থেকে এখন আবার তৎপরতা শুরু করেছে সংগঠনগুলো। বগির নিয়ন্ত্রণ নিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন সংগঠনের কর্মীরা।
এর মধ্যে গত ২৮ এপ্রিল সকালে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন চত্বরে বগিভিত্তিক সংগঠন ‘সিক্সটি নাইন’ ও ‘একাকার’-এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ ওই দিন ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বগিভিত্তিক সংগঠনের মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। বগির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৩ মে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত বছরের ২৫ জুন ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়ায় অনেক বগিভিত্তিক সংগঠনের রাজনীতি হাতছাড়া হয়ে পড়ে। আর ওই সব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বগিভিত্তিক কার্যক্রম থেকেও সরে দাঁড়ান। তবে গত ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটিতে প্রায় সব পক্ষের নেতা-কর্মীরা স্থান পান। এখন কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতারা নিজেদের হারানো বগির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক চারটি সংগঠন—ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স), সাম্পান, সিক্সটি নাইন ও একাকার বগির নিয়ন্ত্রণ নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে চাপা উত্তেজনাও চলছে। বগির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ চারটি সংগঠনের মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার এক প্রতিনিধি বলেন, ‘বগিভিত্তিক দুই সংগঠনের সংঘর্ষের পর তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হয়। পর্যবেক্ষণে প্রাপ্ত তথ্য প্রতিবেদন আকারে দপ্তরে জমা দিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আরেক পক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোও এ দুটি পক্ষে বিভক্ত। জানা গেছে, ভিএক্স ও সাম্পানের নেতা-কর্মীরা মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সিক্সটি নাইন ও একাকার আ জ ম নাছির উদ্দিন-সমর্থিত।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক খান তৌহিদ ওসমান বলেন, ‘বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে থাকা ছাত্রদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। নিষিদ্ধঘোষিত বগিভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের ওপর কড়া নজরদারি রয়েছে। কেউ বগিভিত্তিক রাজনীতির নামে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করলে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বগিভিত্তিক সংগঠনের মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। বগির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৩ মে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত বছরের ২৫ জুন ছাত্রলীগের ১৫ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়ায় অনেক বগিভিত্তিক সংগঠনের রাজনীতি হাতছাড়া হয়ে পড়ে। আর ওই সব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বগিভিত্তিক কার্যক্রম থেকেও সরে দাঁড়ান। তবে গত ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটিতে প্রায় সব পক্ষের নেতা-কর্মীরা স্থান পান। এখন কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতারা নিজেদের হারানো বগির নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক চারটি সংগঠন—ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স), সাম্পান, সিক্সটি নাইন ও একাকার বগির নিয়ন্ত্রণ নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে চাপা উত্তেজনাও চলছে। বগির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এ চারটি সংগঠনের মধ্যে যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার এক প্রতিনিধি বলেন, ‘বগিভিত্তিক দুই সংগঠনের সংঘর্ষের পর তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হয়। পর্যবেক্ষণে প্রাপ্ত তথ্য প্রতিবেদন আকারে দপ্তরে জমা দিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আরেক পক্ষ আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোও এ দুটি পক্ষে বিভক্ত। জানা গেছে, ভিএক্স ও সাম্পানের নেতা-কর্মীরা মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সিক্সটি নাইন ও একাকার আ জ ম নাছির উদ্দিন-সমর্থিত।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক খান তৌহিদ ওসমান বলেন, ‘বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে থাকা ছাত্রদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। নিষিদ্ধঘোষিত বগিভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছাত্রদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের ওপর কড়া নজরদারি রয়েছে। কেউ বগিভিত্তিক রাজনীতির নামে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করলে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না।
No comments