বাপেক্সের ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ-দুই তেলক্ষেত্রে ৪৫ হাজার কোটি টাকার তেল! by অরুণ কর্মকার
রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স সিলেটের কৈলাসটিলা ও হরিপুরে দুটি তেলক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে। ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে ক্ষেত্র দুটি চিহ্নিত করা হয়। গতকাল বুধবার জরিপের চূড়ান্ত তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন পেট্রোবাংলার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের সূত্র জানায়, কৈলাসটিলা ও হরিপুরে (সিলেট গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত) বিদ্যমান ক্ষেত্র দুটির গ্যাস স্তরের নিচে এই তেলক্ষেত্রের অবস্থান। কৈলাসটিলায় ভূপৃষ্ঠের তিন হাজার ২০০ মিটার থেকে চার হাজার মিটার গভীরতার মধ্যে পাঁচটি স্তরে মোট ১০ কোটি ৯০ লাখ ব্যারেল তেল রয়েছে বলে জরিপে ধারণা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চার কোটি ৪০ লাখ ব্যারেল (মজুদের ৪০ শতাংশ হিসেবে) উত্তোলনযোগ্য।
হরিপুরে ভূপৃষ্ঠের দুই হাজার ৬০০ মিটার নিচে তেলের স্তরের অবস্থান। সেখানে মজুদের পরিমাণ দুই কোটি ৮০ লাখ ব্যারেল বলে ধারণা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক কোটি ১০ লাখ ব্যারেল উত্তোলনযোগ্য। ক্ষেত্র দুটি থেকে উত্তোলনযোগ্য মোট সাড়ে পাঁচ কোটি ব্যারেল তেলের দাম বর্তমান বাজারদরে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া ক্ষেত্র দুটির সন্নিহিত এলাকায় আরও আনুমানিক এক কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল তেল এবং ২২৩ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাসের দুটি আধার চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন কূপ খনন করে এই তেল ও গ্যাসের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য ত্রিমাত্রিক জরিপ দলের প্রতিবেদনে কৈলাসটিলা ও হরিপুর ক্ষেত্রে একটি করে মূল্যায়ন কূপ খননের সুপারিশ করা হয়েছে।
তেলক্ষেত্রের সন্ধান সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক বদরুল ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, ভূতাত্ত্বিক বিবেচনায় হরিপুর ও কৈলাসটিলা দুটি ক্ষেত্রই তেলের জন্য সম্ভাবনাময়। বাপেক্সের জরিপেও এর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে তেলের প্রকৃত মজুদ কত, তা জানার জন্য কূপ খনন করতে হবে।
উল্লেখ্য, আশির দশকে হরিপুর গ্যাসকূপ খনন করতে গিয়ে তেল উঠেছিল। তখন সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ব্যারেল তেল ওঠার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই তেল তোলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ভূগর্ভে পানি পুনর্ভরণ (ইনজেক্ট) করতে হয়, যা হরিপুরে করা হয়নি।
পেট্রোবাংলার ‘রিজার্ভার ম্যানেজমেন্ট সেল’ হরিপুর ক্ষেত্রে নিরীক্ষা চালিয়ে তিন কোটি ব্যারেল তেলের মজুদ আছে বলে ধারণা করেছিল, বাপেক্সের জরিপে যা দুই কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মজুদের ৪০ শতাংশ হারে তেল উত্তোলন করা কঠিন বলে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন। কিন্তু বাপেক্সের পরামর্শক ও ব্রিটিশ ভূবিজ্ঞানী ফিল রোজ বলেছেন, শুরু থেকে পানি পুনর্ভরণ করা হলে ৪০ শতাংশ হারে তেল উত্তোলন সম্ভব হবে।
গ্যাসের মজুদ কমেছে: ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপে কৈলাসটিলা ও হরিপুর দুটি ক্ষেত্রেই আগের হিসাবের চেয়ে গ্যাসের মজুদ কমেছে। আগের হিসাবে কৈলাসটিলায় গ্যাসের উত্তোলনযোগ্য মজুদ ছিল এক হাজার ৯০৪ বিসিএফ। ত্রিমাত্রিক জরিপে নির্ধারিত হয়েছে এক হাজার ২২৪ বিসিএফ। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ৫১৭ বিসিএফ তোলা হয়েছে।
হরিপুর ক্ষেত্রে আগের হিসাবে উত্তোলনযোগ্য মজুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৭৯ বিসিএফ। ত্রিমাত্রিক জরিপে তা ৩১০ বিসিএফ হয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১৯৬ বিসিএফ তোলা হয়েছে।
বাপেক্সের ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ দলটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানির পরিচালিত পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রে কাজ শুরু করেছিল গত বছর। তাদের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ৪৯৮ দিন। কিন্তু তাঁরা ৩১৬ দিনে ছয়টি ক্ষেত্রে (রশিদপুর, কৈলাসটিলা, হরিপুর, তিতাস, বাখরাবাদ ও সালদা নদী) তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করেছে। এর মধ্যে তিনটি ক্ষেত্রের ফলও প্রকাশ করেছে। বাকি তিনটি ক্ষেত্রের ফলও এই বছরের মধ্যে জানা যাবে।
হরিপুরে ভূপৃষ্ঠের দুই হাজার ৬০০ মিটার নিচে তেলের স্তরের অবস্থান। সেখানে মজুদের পরিমাণ দুই কোটি ৮০ লাখ ব্যারেল বলে ধারণা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক কোটি ১০ লাখ ব্যারেল উত্তোলনযোগ্য। ক্ষেত্র দুটি থেকে উত্তোলনযোগ্য মোট সাড়ে পাঁচ কোটি ব্যারেল তেলের দাম বর্তমান বাজারদরে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া ক্ষেত্র দুটির সন্নিহিত এলাকায় আরও আনুমানিক এক কোটি ৬০ লাখ ব্যারেল তেল এবং ২২৩ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাসের দুটি আধার চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন কূপ খনন করে এই তেল ও গ্যাসের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য ত্রিমাত্রিক জরিপ দলের প্রতিবেদনে কৈলাসটিলা ও হরিপুর ক্ষেত্রে একটি করে মূল্যায়ন কূপ খননের সুপারিশ করা হয়েছে।
তেলক্ষেত্রের সন্ধান সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক বদরুল ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, ভূতাত্ত্বিক বিবেচনায় হরিপুর ও কৈলাসটিলা দুটি ক্ষেত্রই তেলের জন্য সম্ভাবনাময়। বাপেক্সের জরিপেও এর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে তেলের প্রকৃত মজুদ কত, তা জানার জন্য কূপ খনন করতে হবে।
উল্লেখ্য, আশির দশকে হরিপুর গ্যাসকূপ খনন করতে গিয়ে তেল উঠেছিল। তখন সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ ব্যারেল তেল ওঠার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, প্রতিটি ক্ষেত্র থেকেই তেল তোলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ভূগর্ভে পানি পুনর্ভরণ (ইনজেক্ট) করতে হয়, যা হরিপুরে করা হয়নি।
পেট্রোবাংলার ‘রিজার্ভার ম্যানেজমেন্ট সেল’ হরিপুর ক্ষেত্রে নিরীক্ষা চালিয়ে তিন কোটি ব্যারেল তেলের মজুদ আছে বলে ধারণা করেছিল, বাপেক্সের জরিপে যা দুই কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মজুদের ৪০ শতাংশ হারে তেল উত্তোলন করা কঠিন বলে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন। কিন্তু বাপেক্সের পরামর্শক ও ব্রিটিশ ভূবিজ্ঞানী ফিল রোজ বলেছেন, শুরু থেকে পানি পুনর্ভরণ করা হলে ৪০ শতাংশ হারে তেল উত্তোলন সম্ভব হবে।
গ্যাসের মজুদ কমেছে: ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপে কৈলাসটিলা ও হরিপুর দুটি ক্ষেত্রেই আগের হিসাবের চেয়ে গ্যাসের মজুদ কমেছে। আগের হিসাবে কৈলাসটিলায় গ্যাসের উত্তোলনযোগ্য মজুদ ছিল এক হাজার ৯০৪ বিসিএফ। ত্রিমাত্রিক জরিপে নির্ধারিত হয়েছে এক হাজার ২২৪ বিসিএফ। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ৫১৭ বিসিএফ তোলা হয়েছে।
হরিপুর ক্ষেত্রে আগের হিসাবে উত্তোলনযোগ্য মজুদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৭৯ বিসিএফ। ত্রিমাত্রিক জরিপে তা ৩১০ বিসিএফ হয়েছে। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১৯৬ বিসিএফ তোলা হয়েছে।
বাপেক্সের ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ দলটি রাষ্ট্রীয় কোম্পানির পরিচালিত পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রে কাজ শুরু করেছিল গত বছর। তাদের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল ৪৯৮ দিন। কিন্তু তাঁরা ৩১৬ দিনে ছয়টি ক্ষেত্রে (রশিদপুর, কৈলাসটিলা, হরিপুর, তিতাস, বাখরাবাদ ও সালদা নদী) তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করেছে। এর মধ্যে তিনটি ক্ষেত্রের ফলও প্রকাশ করেছে। বাকি তিনটি ক্ষেত্রের ফলও এই বছরের মধ্যে জানা যাবে।
No comments