মানুষ হত্যাকারী চালকদের ফাঁসি দেওয়ার আইনের পক্ষে অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় যেসব চালক মানুষ হত্যা করবে, প্রয়োজনে সেসব চালককেও হত্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়ার আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। অতি সম্প্রতি ট্রাফিক আইন-সম্পর্কিত এক সভায় আমি এ ধরনের সুপারিশ করেছি।
এ আইন করা যায় কি না, তা ভাবা হচ্ছে।’ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে এক নাগরিক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় সদ্যপ্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইফতেখার হোসেন শামীমের মৃত্যুতে সিলেট সিটি করপোরেশন এ শোকসভার আয়োজন করে। সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
অর্থমন্ত্রী বক্তব্যে আরও বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ে মহাসড়কগুলো সংস্কারের সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা জনগণকে আশ্বাস দিতে চাই, দেশের মহাসড়কগুলো সংস্কার ও মেরামত করা হবে। দুই লেনের সড়ক চার লেন করা হবে এবং চার লেনের সড়ক ছয় লেনে রূপান্তর করা হবে।’ এ ছাড়া সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাংসদ এম এ মান্নান, শফিকুর রহমান চৌধুরী, মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. সালেহ উদ্দিন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শহীদুল্লাহ তালুকদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, প্রয়াত ইফতেখারের বড় ছেলে ইন্তেখাব হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সিলেটবাসীর জন্য এখন ক্রান্তিকাল চলছে। জননেতা আবদুস সামাদ আজাদ, দেওয়ান ফরিদ গাজী, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, এম সাইফুর রহমান থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতা শামীমকে আমরা হারিয়েছি। সামপ্রতিক সময়ে এম ইলিয়াস আলী গুম হয়েছেন। রাজনীতিতে একটা শূন্যতার জায়গা তৈরি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান নিয়ে ঠান্ডা মাথায় আমাদের ভাবতে হবে। এ গুমের পেছনে মহাজোটের কোনো স্বার্থ নেই। যেহেতু আমরা সরকারে আছি, তাই জবাবদিহি আমাদের প্রয়োজন, এটা সত্য। আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, ইলিয়াস আলীর ঘটনায় আমরা সকলে সমভাবে ব্যথিত, দুঃখিত। আমরা চাই, ইলিয়াস আলী ফিরে আসুক। কিন্তু এই গুম ঘটিয়েছে সেই চক্র, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় গুম-হত্যা চালিয়েছিল। এ চক্র দেশকে অস্থিতিশীল ও বিশ্ববাসীর কাছে অকার্যকর করতেই একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে।’ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের হদিস আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এটি সুপরিকল্পিতভাবে করা নিখুঁত হত্যাকাণ্ড। মধ্যপ্রাচ্যের এক কূটনীতিককে হত্যা করা হয়েছে, এটিরও রহস্য উন্মোচিত হয়নি। এটিও একই চক্রের কাজ। আরেকটি কালো হাত এগিয়ে এসে দুই জোটের মধ্যে অবিশ্বাস ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চাইছে।’
সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের মেয়র নগরের কোর্ট চত্বরকে ‘ইফতেখার হোসেন শামীম পয়েন্ট’ নামকরণের ঘোষণা দেন। এর আগে বক্তারা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তর, যাত্রীবাহী গাড়ি ও ট্রাকের জন্য আলাদা রাস্তা নির্মাণ, ঘাতক চালকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য কঠোর আইন প্রণয়নসহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন দাবিদাওয়া সম্পর্কিত বক্তব্য দেন।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় সদ্যপ্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইফতেখার হোসেন শামীমের মৃত্যুতে সিলেট সিটি করপোরেশন এ শোকসভার আয়োজন করে। সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
অর্থমন্ত্রী বক্তব্যে আরও বলেন, ‘সরকারের উচ্চপর্যায়ে মহাসড়কগুলো সংস্কারের সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমরা জনগণকে আশ্বাস দিতে চাই, দেশের মহাসড়কগুলো সংস্কার ও মেরামত করা হবে। দুই লেনের সড়ক চার লেন করা হবে এবং চার লেনের সড়ক ছয় লেনে রূপান্তর করা হবে।’ এ ছাড়া সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাংসদ এম এ মান্নান, শফিকুর রহমান চৌধুরী, মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. সালেহ উদ্দিন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শহীদুল্লাহ তালুকদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, প্রয়াত ইফতেখারের বড় ছেলে ইন্তেখাব হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সিলেটবাসীর জন্য এখন ক্রান্তিকাল চলছে। জননেতা আবদুস সামাদ আজাদ, দেওয়ান ফরিদ গাজী, শাহ এ এম এস কিবরিয়া, এম সাইফুর রহমান থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ নেতা শামীমকে আমরা হারিয়েছি। সামপ্রতিক সময়ে এম ইলিয়াস আলী গুম হয়েছেন। রাজনীতিতে একটা শূন্যতার জায়গা তৈরি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধান নিয়ে ঠান্ডা মাথায় আমাদের ভাবতে হবে। এ গুমের পেছনে মহাজোটের কোনো স্বার্থ নেই। যেহেতু আমরা সরকারে আছি, তাই জবাবদিহি আমাদের প্রয়োজন, এটা সত্য। আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, ইলিয়াস আলীর ঘটনায় আমরা সকলে সমভাবে ব্যথিত, দুঃখিত। আমরা চাই, ইলিয়াস আলী ফিরে আসুক। কিন্তু এই গুম ঘটিয়েছে সেই চক্র, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় গুম-হত্যা চালিয়েছিল। এ চক্র দেশকে অস্থিতিশীল ও বিশ্ববাসীর কাছে অকার্যকর করতেই একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে।’ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আরও বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের হদিস আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এটি সুপরিকল্পিতভাবে করা নিখুঁত হত্যাকাণ্ড। মধ্যপ্রাচ্যের এক কূটনীতিককে হত্যা করা হয়েছে, এটিরও রহস্য উন্মোচিত হয়নি। এটিও একই চক্রের কাজ। আরেকটি কালো হাত এগিয়ে এসে দুই জোটের মধ্যে অবিশ্বাস ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চাইছে।’
সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের মেয়র নগরের কোর্ট চত্বরকে ‘ইফতেখার হোসেন শামীম পয়েন্ট’ নামকরণের ঘোষণা দেন। এর আগে বক্তারা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ককে চার লেনে রূপান্তর, যাত্রীবাহী গাড়ি ও ট্রাকের জন্য আলাদা রাস্তা নির্মাণ, ঘাতক চালকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য কঠোর আইন প্রণয়নসহ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিভিন্ন দাবিদাওয়া সম্পর্কিত বক্তব্য দেন।
No comments