সাংসদ আসলামের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ-তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাকা-১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হকের সরকারি বাঙলা কলেজের ভূমি দখলের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ভূমি জরিপ ও নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রধান করে ওই কমিটিতে আইনসচিব মনোনীত একজন উপসচিবকে রাখতে বলা হয়। কমিটিকে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করে ১৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওই দিন বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ, সাংসদ আসলামুল হক এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদককে আসতে বলা হয়েছে।
৫ মে একটি দৈনিকে ‘বাঙলা কলেজের চার বিঘা জমি এমপি আসলামের দখলে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৯ মে আদালত সাংসদ আসলামুল হককে হাজির হতে নির্দেশ ও রুল জারি করেন।
এ নির্দেশ অনুসারে গতকাল সকালে আদালতে হাজির হন সরকারদলীয় সাংসদ আসলাম। পরে ১২টার দিকে শুনানি শুরু হয়। আদালতে আসলাম বক্তব্য দেন। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু, নুরুল ইসলাম ও ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।
শুনানি: শুরুতে আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু বলেন, বাঙলা কলেজের জায়গায় আসলামের কোনো জমি পাওয়া যায়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ বা গভর্নিং বডি বলেনি, আসলামুল হক জায়গা দখল করেছেন। সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলামুল হক বাঙলা কলেজের কোনো জমি দখল করেননি। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, জেলা প্রশাসকের ঘাড়ে মাথা একটা। ক্ষমতাসীন দলের একজন সাংসদের বিরুদ্ধে কীভাবে রিপোর্ট দেবেন?
আইনজীবী নুরুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতিনিধিদের হেয় করার ষড়যন্ত্র চলছে। পত্রিকার সব খবর সত্যি নয়, এটাও বিবেচনায় নিতে হবে। আদালত বলেন, ‘আমরা পত্রিকার বিশ্বাসযোগ্যতা বিবেচনা করি।’
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সম্পত্তি যদি কেউ আত্মসাৎ করে থাকে, সেটা রক্ষার জন্যই আমরা আদালতে এসেছি। এই কথা বলতে আসেনি যে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেন। বিষয়টি তদন্ত হোক। সাংসদ আসলাম যার কাছ থেকে জমি কিনেছেন, তিনি জমি বিক্রি করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নন। রেকর্ড অনুযায়ী ওই ব্যক্তির ওই জমিতে কোনো মালিকানা নেই।’ আদালত বলেন, সাংসদ আসলাম তো কিনেছেন, তাঁর এখন কী হবে? জবাবে মনজিল মোরসেদ বলেন, তিনি হয়তো প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ জন্য প্রতারণার মামলা করতে পারেন।
আসলামের বক্তব্য: এর আগে শুনানিতে আসলামুল হক বলেন, ‘ঢাকা-১৪ আসনের কোনো ব্যক্তি যদি বলতে পারে আমি ১ শতাংশ জায়গাও দখল করেছি, তাহলে আমি রাজনীতি করব না। সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেব বলে অঙ্গীকার করে যেতে চাই। এ ঘটনায় আমার ২৬ বছরের সম্মান ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘আপনার সম্মান নষ্ট হবে না। তদন্তে আপনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে সম্মান অটুট থাকবে।’ এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সাংসদ বলেন, ‘প্রয়োজনে তদন্তকালে আমি দেশেও থাকব না।’
রাজনীতি ছাড়া আর কী করেন—আদালত জানতে চাইলে আসলাম বলেন, ব্যবসা করি। পারিবারিকভাবে বহু সম্পত্তি রয়েছে।
৫ মে একটি দৈনিকে ‘বাঙলা কলেজের চার বিঘা জমি এমপি আসলামের দখলে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠনের পক্ষে রিট আবেদন করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৯ মে আদালত সাংসদ আসলামুল হককে হাজির হতে নির্দেশ ও রুল জারি করেন।
এ নির্দেশ অনুসারে গতকাল সকালে আদালতে হাজির হন সরকারদলীয় সাংসদ আসলাম। পরে ১২টার দিকে শুনানি শুরু হয়। আদালতে আসলাম বক্তব্য দেন। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু, নুরুল ইসলাম ও ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আলতাফ হোসেন।
শুনানি: শুরুতে আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু বলেন, বাঙলা কলেজের জায়গায় আসলামের কোনো জমি পাওয়া যায়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ বা গভর্নিং বডি বলেনি, আসলামুল হক জায়গা দখল করেছেন। সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত জেলা প্রশাসকের তদন্ত প্রতিবেদন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলামুল হক বাঙলা কলেজের কোনো জমি দখল করেননি। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, জেলা প্রশাসকের ঘাড়ে মাথা একটা। ক্ষমতাসীন দলের একজন সাংসদের বিরুদ্ধে কীভাবে রিপোর্ট দেবেন?
আইনজীবী নুরুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতিনিধিদের হেয় করার ষড়যন্ত্র চলছে। পত্রিকার সব খবর সত্যি নয়, এটাও বিবেচনায় নিতে হবে। আদালত বলেন, ‘আমরা পত্রিকার বিশ্বাসযোগ্যতা বিবেচনা করি।’
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সম্পত্তি যদি কেউ আত্মসাৎ করে থাকে, সেটা রক্ষার জন্যই আমরা আদালতে এসেছি। এই কথা বলতে আসেনি যে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেন। বিষয়টি তদন্ত হোক। সাংসদ আসলাম যার কাছ থেকে জমি কিনেছেন, তিনি জমি বিক্রি করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি নন। রেকর্ড অনুযায়ী ওই ব্যক্তির ওই জমিতে কোনো মালিকানা নেই।’ আদালত বলেন, সাংসদ আসলাম তো কিনেছেন, তাঁর এখন কী হবে? জবাবে মনজিল মোরসেদ বলেন, তিনি হয়তো প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ জন্য প্রতারণার মামলা করতে পারেন।
আসলামের বক্তব্য: এর আগে শুনানিতে আসলামুল হক বলেন, ‘ঢাকা-১৪ আসনের কোনো ব্যক্তি যদি বলতে পারে আমি ১ শতাংশ জায়গাও দখল করেছি, তাহলে আমি রাজনীতি করব না। সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেব বলে অঙ্গীকার করে যেতে চাই। এ ঘটনায় আমার ২৬ বছরের সম্মান ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘আপনার সম্মান নষ্ট হবে না। তদন্তে আপনি নির্দোষ প্রমাণিত হলে সম্মান অটুট থাকবে।’ এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে সাংসদ বলেন, ‘প্রয়োজনে তদন্তকালে আমি দেশেও থাকব না।’
রাজনীতি ছাড়া আর কী করেন—আদালত জানতে চাইলে আসলাম বলেন, ব্যবসা করি। পারিবারিকভাবে বহু সম্পত্তি রয়েছে।
No comments