সমবায় ব্যাংকিং-জনগণের অর্থের সুরক্ষা চাই
সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন, ২০১২-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। জাতীয় সংসদে অনুমোদিত হওয়ার পর আইনে পরিণত হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি গ্রহণ করেই কেবল সমবায় সমিতি ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাতে পারবে। এটাও বলা হয়েছে যে, সমিতি শুধু তাদের সদস্যদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে।
আইন লঙ্ঘন করা হলে সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রমের রাশ টেনে ধরায় এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা আশা করব, জাতীয় সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের অবহিত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, ২০১১ সালের মার্চ মাসেই আইনের খসড়াটি তৈরি হয়েছে এবং এতদিন তার খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কাজ চলছিল। কয়েক মাস ধরে একটি প্রতিষ্ঠানের অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বলা যায়, মন্ত্রিসভা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় খসড়াটি পর্যালোচনার জন্য কিছুটা বেশি সময় নিয়েছে_ এমন অভিযোগ থেকে রেহাই পাবে না। তবে এখন সময় এসেছে সেটা পুষিয়ে নেওয়ার।
বিদ্যমান আইনে সমবায় সমিতি অবৈধ ব্যাংকিং করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। অবৈধ ব্যাংকিংয়ের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে এ ধরনের নামমাত্র শাস্তির বিধান কীভাবে অনেক বছর ধরে বলবৎ রয়েছে, সে প্রশ্ন স্বাভাবিক। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এক হাজারের মতো 'সমবায় প্রতিষ্ঠান' অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নয়, এমন ভাবা কঠিন। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক এতই বিস্তৃত যে, তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ নিতে অনুসন্ধানী তৎপরতার প্রয়োজন পড়ে না। বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ অনেক সময় ধরেই প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত অফিসগুলোতে অর্থ জমা রাখছে। এ অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত বিপুল অঙ্কের মুনাফা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদানেও গোপনীয়তার বালাই ছিল না। অনেক এলাকায় দেখা গেছে, অবৈধ ব্যাংকিংয়ের কারণে তফসিলি ব্যাংকগুলো আমানতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে শিল্প-বাণিজ্যের বিভিন্ন উদ্যোগে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতেও সমস্যা হচ্ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছেও অভিযোগ জমা পড়ছিল। তারপরও বিষয়টি উপেক্ষা হতে থাকা ছিল দুর্ভাগ্যজনক। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার সক্রিয় হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকিং খাত যেমন উপকৃত হবে, তেমনি জনগণকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার ঘটনাও কমে আসবে। বাংলাদেশে সমবায় ব্যাংকের ধারণা নতুন নয়। ব্রিটিশ আমল থেকেই কো-অপারেটিভ ব্যাংক সক্রিয় ছিল এবং এ ধরনের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান স্বদেশী চেতনা ধারণ করে এগিয়েছে। যেসব সমবায় সমিতিকে নতুন করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে অনুসরণ করা চাই। বিষয়টি এমন যেন না দাঁড়ায় যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়েই অনিয়ম করা হচ্ছে। আইনটি সংশোধিত হওয়ার পর সমবায় অধিদফতরের কাজে অনেক পরিবর্তন আসবে এবং সেটা বিবেচনায় রেখে তাদের জনবল কাঠামো পুনর্বিন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কাজ সময়মতো সম্পন্ন করা চাই। এখন যেসব সমবায় সমিতি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাদের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারি রাখবে বলে আশা করব। জনসাধারণের অর্থ নিয়ে প্রতারণা কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না।
বিদ্যমান আইনে সমবায় সমিতি অবৈধ ব্যাংকিং করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। অবৈধ ব্যাংকিংয়ের মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে এ ধরনের নামমাত্র শাস্তির বিধান কীভাবে অনেক বছর ধরে বলবৎ রয়েছে, সে প্রশ্ন স্বাভাবিক। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এক হাজারের মতো 'সমবায় প্রতিষ্ঠান' অবৈধ ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত নয়, এমন ভাবা কঠিন। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক এতই বিস্তৃত যে, তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ নিতে অনুসন্ধানী তৎপরতার প্রয়োজন পড়ে না। বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ অনেক সময় ধরেই প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত অফিসগুলোতে অর্থ জমা রাখছে। এ অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত বিপুল অঙ্কের মুনাফা প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদানেও গোপনীয়তার বালাই ছিল না। অনেক এলাকায় দেখা গেছে, অবৈধ ব্যাংকিংয়ের কারণে তফসিলি ব্যাংকগুলো আমানতের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে শিল্প-বাণিজ্যের বিভিন্ন উদ্যোগে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান দিতেও সমস্যা হচ্ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছেও অভিযোগ জমা পড়ছিল। তারপরও বিষয়টি উপেক্ষা হতে থাকা ছিল দুর্ভাগ্যজনক। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার সক্রিয় হয়েছে। এর ফলে ব্যাংকিং খাত যেমন উপকৃত হবে, তেমনি জনগণকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার ঘটনাও কমে আসবে। বাংলাদেশে সমবায় ব্যাংকের ধারণা নতুন নয়। ব্রিটিশ আমল থেকেই কো-অপারেটিভ ব্যাংক সক্রিয় ছিল এবং এ ধরনের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান স্বদেশী চেতনা ধারণ করে এগিয়েছে। যেসব সমবায় সমিতিকে নতুন করে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেওয়া হবে, সে ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে অনুসরণ করা চাই। বিষয়টি এমন যেন না দাঁড়ায় যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়েই অনিয়ম করা হচ্ছে। আইনটি সংশোধিত হওয়ার পর সমবায় অধিদফতরের কাজে অনেক পরিবর্তন আসবে এবং সেটা বিবেচনায় রেখে তাদের জনবল কাঠামো পুনর্বিন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কাজ সময়মতো সম্পন্ন করা চাই। এখন যেসব সমবায় সমিতি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাদের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারি রাখবে বলে আশা করব। জনসাধারণের অর্থ নিয়ে প্রতারণা কোনোভাবেই বরদাশত করা যাবে না।
No comments