‘বন্ধ হোক সংঘাত’
দীর্ঘদিন বন্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আবার সচল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস, স্বস্তি। নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখন একটা দাবি, সংঘাতের রাজনীতি বন্ধ হোক। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘স্বার্থের দ্বন্দ্বে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ছাত্রসংগঠনগুলো।
আর তার দায় বহন করতে হয় আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের। কারণ, তাদের সংঘর্ষের কারণে অনির্ধারিতভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। ফলে ব্যাহত হয় শিক্ষাকার্যক্রম।’ ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৫ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে।
‘শ্রেণীকার্যক্রমে সহপাঠীদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ। প্রাণের ক্যাম্পাসে পরিচিত মুখগুলোর সঙ্গে আড্ডাও হচ্ছে নিয়মিত। আমাদের ক্যাম্পাস যেন সব সময় এমনই থাকে।’ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইরফানুল হক। তাঁর সঙ্গে সুর মেলালেন তাঁর বন্ধু রেজাউল করিম ও মেহেদী হাসানও।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন নাফিজা নুজরাত। প্রথম বর্ষের এ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে যেন হোঁচট খেলেন। তিনি বলেন, ‘সবেমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। ক্লাস-টিউটোরিয়ালের ফাঁকে জমিয়ে আড্ডা দেব, মুক্ত বিহঙ্গের মতো ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াব, ভর্তি হওয়ার পর এই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু ক্লাস শুরুর কিছুদিনের মধ্যে দুই ছাত্রসংগঠনের সংঘর্ষের কারণে বন্ধ হয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয়। তাই সব মাটি হয়ে গেল। তবে আশার কথা হচ্ছে এখন পুরোদমে ক্লাস হচ্ছে। ক্যাম্পাসের পরিবেশও স্বাভাবিক। আমরা ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সাংঘর্ষিক রাজনীতির চর্চা দেখতে চাই না।’
এদিকে, সংঘর্ষের কারণে পিছিয়ে যায় অনেক বিভাগের পরীক্ষা। নাট্যকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মামুনুল হক ও জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র একটি পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দুই মাস। দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষের কারণে দীর্ঘ হচ্ছে আমাদের শিক্ষা জীবন।’ আবার অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রসংঘর্ষের সঙ্গে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
‘শ্রেণীকার্যক্রমে সহপাঠীদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ। প্রাণের ক্যাম্পাসে পরিচিত মুখগুলোর সঙ্গে আড্ডাও হচ্ছে নিয়মিত। আমাদের ক্যাম্পাস যেন সব সময় এমনই থাকে।’ উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইরফানুল হক। তাঁর সঙ্গে সুর মেলালেন তাঁর বন্ধু রেজাউল করিম ও মেহেদী হাসানও।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছেন নাফিজা নুজরাত। প্রথম বর্ষের এ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে যেন হোঁচট খেলেন। তিনি বলেন, ‘সবেমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। ক্লাস-টিউটোরিয়ালের ফাঁকে জমিয়ে আড্ডা দেব, মুক্ত বিহঙ্গের মতো ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াব, ভর্তি হওয়ার পর এই ছিল পরিকল্পনা। কিন্তু ক্লাস শুরুর কিছুদিনের মধ্যে দুই ছাত্রসংগঠনের সংঘর্ষের কারণে বন্ধ হয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয়। তাই সব মাটি হয়ে গেল। তবে আশার কথা হচ্ছে এখন পুরোদমে ক্লাস হচ্ছে। ক্যাম্পাসের পরিবেশও স্বাভাবিক। আমরা ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সাংঘর্ষিক রাজনীতির চর্চা দেখতে চাই না।’
এদিকে, সংঘর্ষের কারণে পিছিয়ে যায় অনেক বিভাগের পরীক্ষা। নাট্যকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মামুনুল হক ও জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘মাত্র একটি পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দুই মাস। দুই ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষের কারণে দীর্ঘ হচ্ছে আমাদের শিক্ষা জীবন।’ আবার অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রসংঘর্ষের সঙ্গে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
No comments