সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নিন-গৃহস্থালির গ্যাস-সমস্যা
লোডশেডিং নিয়ে হল্লা-চিল্লার শেষ নেই। সরকারকেও এ নিয়ে নানা দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু রাজধানীবাসী যে দিনের পর দিন গ্যাসের অভাবের মধ্যে সময় পার করছে, তা নিয়ে আওয়াজ শোনা যাচ্ছে কম। গৃহস্থালির গ্যাস-সংকটের প্রধান শিকার মূলত নারীরা, কারণ আমাদের সমাজে রান্নাবান্নার কাজ তাঁরাই করে থাকেন।
নারীদের এই দুর্ভোগের প্রতি মনে হচ্ছে নীতিনির্ধারকদের নজর খুবই কম।
রাজধানীবাসী রান্নাবান্নার জন্য মূলত তিতাসের সরবরাহ করা পাইপলাইনের গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। গ্যাসের চাহিদা যে পরিমাণে বেড়েছে, সে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে দেশে গ্যাসের সংকট তো রয়েছেই, ঢাকার এই গৃহস্থালি গ্যাস-সংকটের পেছনে রয়েছে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের সমস্যা। গ্যাস সরবরাহের জন্য বর্তমানে যে সঞ্চালন লাইন রয়েছে, তা দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তিতাসের লোকজন বলছেন, নতুন সঞ্চালন লাইন করা ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়। এ অবস্থায় আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, ঢাকা শহরের গ্যাসের চাহিদা এক দিনে বাড়েনি। চাহিদা যখন পর্যায়ক্রমে বেড়েছে, তখন বেশি গ্যাস সরবরাহের জন্য নতুন সঞ্চালন লাইন বা এর ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল। কর্তৃপক্ষের এই সাধারণ দূরদৃষ্টি না থাকার কারণে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
শুরুতে দুপুরের দিকে গ্যাস পাওয়া যেত না। এখন এই সময় বেড়েছে। গ্যাস ধরে রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই কখন গ্যাস আসবে, তার ওপর নির্ভর করে গৃহিণীদের রান্নাবান্নার কাজ সারতে হচ্ছে। এলাকাভেদে এই সমস্যা কোথাও কোথাও অসহনীয়। সমস্যাটি কেবল রাজধানীতে সীমাবদ্ধ নয়, চট্টগ্রামের বাসিন্দারাও ঠিকমতো গ্যাস পাচ্ছেন না।
আর সব সমস্যার মতো এই সমস্যারও দ্রুত কোনো সমাধানের সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। ঢাকায় গ্যাস সরবরাহের জন্য বাড়তি ক্ষমতার নতুন লাইন বসানোর কোনো পরিকল্পনার কথা জানা যাচ্ছে না। কম্প্রেশার বসিয়ে সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টায় একটি কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হলেও মামলার কারণে তা পিছিয়ে পড়েছে। গ্যাস-সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাসাবাড়িতে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এখন নতুন সংযোগ দেওয়া শুরু করার দাবি উঠেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যে সঞ্চালন লাইন আছে, তা দিয়ে বর্তমানের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসই সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
সে ক্ষেত্রে ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহের জন্য নতুন গ্যাস সঞ্চালন লাইনের কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টি সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনায় নিতে হবে। অন্যদিকে বর্তমান সঞ্চালন লাইনে কম্প্রেশার বসিয়ে ঘন গ্যাস সরবরাহের যে উদ্যোগ মামলার কারণে পিছিয়ে পড়ছে, সেই বাধা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। সঞ্চালন লাইনের পাশাপাশি নগরের সরবরাহ লাইনেও রয়েছে সমস্যা। এর সঙ্গে আছে গ্যাস চুরির বিষয়টি। সমস্যার এই নানা দিক কর্তৃপক্ষের অজানা নয়। কিন্তু সমস্যা সমাধানে সরকার কতটা দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ নেবে, তার ওপরই নির্ভর করছে সবকিছু।
রাজধানীবাসী রান্নাবান্নার জন্য মূলত তিতাসের সরবরাহ করা পাইপলাইনের গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। গ্যাসের চাহিদা যে পরিমাণে বেড়েছে, সে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে দেশে গ্যাসের সংকট তো রয়েছেই, ঢাকার এই গৃহস্থালি গ্যাস-সংকটের পেছনে রয়েছে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের সমস্যা। গ্যাস সরবরাহের জন্য বর্তমানে যে সঞ্চালন লাইন রয়েছে, তা দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তিতাসের লোকজন বলছেন, নতুন সঞ্চালন লাইন করা ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ সম্ভব নয়। এ অবস্থায় আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, ঢাকা শহরের গ্যাসের চাহিদা এক দিনে বাড়েনি। চাহিদা যখন পর্যায়ক্রমে বেড়েছে, তখন বেশি গ্যাস সরবরাহের জন্য নতুন সঞ্চালন লাইন বা এর ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল। কর্তৃপক্ষের এই সাধারণ দূরদৃষ্টি না থাকার কারণে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
শুরুতে দুপুরের দিকে গ্যাস পাওয়া যেত না। এখন এই সময় বেড়েছে। গ্যাস ধরে রাখার কোনো সুযোগ নেই। তাই কখন গ্যাস আসবে, তার ওপর নির্ভর করে গৃহিণীদের রান্নাবান্নার কাজ সারতে হচ্ছে। এলাকাভেদে এই সমস্যা কোথাও কোথাও অসহনীয়। সমস্যাটি কেবল রাজধানীতে সীমাবদ্ধ নয়, চট্টগ্রামের বাসিন্দারাও ঠিকমতো গ্যাস পাচ্ছেন না।
আর সব সমস্যার মতো এই সমস্যারও দ্রুত কোনো সমাধানের সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। ঢাকায় গ্যাস সরবরাহের জন্য বাড়তি ক্ষমতার নতুন লাইন বসানোর কোনো পরিকল্পনার কথা জানা যাচ্ছে না। কম্প্রেশার বসিয়ে সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টায় একটি কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হলেও মামলার কারণে তা পিছিয়ে পড়েছে। গ্যাস-সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বাসাবাড়িতে গ্যাসের নতুন সংযোগ দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এখন নতুন সংযোগ দেওয়া শুরু করার দাবি উঠেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যে সঞ্চালন লাইন আছে, তা দিয়ে বর্তমানের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসই সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
সে ক্ষেত্রে ঢাকা শহরে গ্যাস সরবরাহের জন্য নতুন গ্যাস সঞ্চালন লাইনের কোনো বিকল্প নেই। বিষয়টি সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনায় নিতে হবে। অন্যদিকে বর্তমান সঞ্চালন লাইনে কম্প্রেশার বসিয়ে ঘন গ্যাস সরবরাহের যে উদ্যোগ মামলার কারণে পিছিয়ে পড়ছে, সেই বাধা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। সঞ্চালন লাইনের পাশাপাশি নগরের সরবরাহ লাইনেও রয়েছে সমস্যা। এর সঙ্গে আছে গ্যাস চুরির বিষয়টি। সমস্যার এই নানা দিক কর্তৃপক্ষের অজানা নয়। কিন্তু সমস্যা সমাধানে সরকার কতটা দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ নেবে, তার ওপরই নির্ভর করছে সবকিছু।
No comments