রং বেরং-প্রত্যক্ষদর্শী

ব্রায়ান লারার অমর দুই কীর্তির বর্ষপূর্তি গেল এই মাসেই। ১৮ বছর হয়ে গেল সেই ‘৩৭৫’-এর। ১৯৯৪ সালের ১৮ এপ্রিল অ্যান্টিগার রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে ভেঙেছিলেন গ্যারি সোবার্সের ৩৬ বছরের পুরোনো রেকর্ড (৩৬৫)। ২০০৪ সালের ১২ এপ্রিল, ওই একই মাঠে লারা টেস্ট ক্রিকেটকে উপহার দিয়েছিলেন প্রথম কোয়াড্রুপল সেঞ্চুরি (৪০০*)।


ম্যাথু হেইডেনের (৩৮০) কাছে খোয়ানো রেকর্ড উদ্ধার করেছিলেন মাত্র ৬ মাসের মধ্যে। টিভির পর্দায় দুটো ইনিংসই দেখা লোকের অভাব নেই। একই মাঠে যেহেতু, গ্যালারিতে বসে দুটো ইনিংসই দেখা লোক খুঁজলে বেশ কিছু পাওয়া যাবে হয়তো। কিন্তু মাঠের ভেতরে থেকে দেখেছেন কজন? একদম সুনির্দিষ্ট উত্তর, মাত্র দুজন! ওই দুই ম্যাচই খেলেছিলেন আর কেবল গ্রাহাম থর্প। প্রতিপক্ষের একজনের এমন ব্যাটিং দু-দুবার দেখাটা তখন নিশ্চয়ই যন্ত্রণাময় ছিল, তবে ইংলিশ ব্যাটসম্যান এখন অন্তত গর্ব করতে পারেন ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে। ড্যারেল হেয়ারের সৌভাগ্য হয়েছিল দুটো ম্যাচেই আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়ানোর। সবচেয়ে কাছ থেকে ইতিহাসের প্রত্যক্ষদর্শী তিনিই। আর অল্পের জন্য মিস করেছেন দুজন, ‘৩৭৫’ ম্যাচে লারার সঙ্গে ২১৯ রানের জুটি গড়েছিলেন শিবনারায়ণ চন্দরপল। কিন্তু ‘৪০০’-এর ম্যাচের আগে হুট করেই দল থেকে বাদ পড়লেন। নাসের হুসেইন আবার খেলেছেন পরেরটায়, ১৯৯৪ সালেও দলে ছিলেন, কিন্তু একাদশে ঢুকতে পারেননি ওই থর্পের কারণেই! আরেকজনের কথাও বলা যায়। ‘৩৭৫’ ম্যাচে লারার হাতে বেদম মার খেয়েছিলেন অ্যাঙ্গাস ফ্রেজার। ইংলিশ পেসার রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে ছিলেন ২০০৪ সালেও, তবে নিরাপদ দূরত্বে। আরামদায়ক প্রেস বক্সে, ম্যাচ কাভার করেছিলেন সাংবাদিক হিসেবে!
 আরিফুল ইসলাম

No comments

Powered by Blogger.