* দিনার-জুনেদের খোঁজ মেলেনি ২৫ দিনেও * শহীদ মিনারে স্বজনদের অবস্থান কর্মসূচি-মোবাইল ফোন হঠাৎ সচল অন্য প্রান্ত থেকে ধমক
২৫ দিনেও খোঁজ পাওয়া যায়নি সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ দিনার ও ছাত্রদলকর্মী জুনেদ আহমদের। তাঁরা বেঁচে আছেন কি না, তাও জানে না তাঁদের পরিবার। শুক্রবার গভীর রাতে জুনেদের মোবাইল হঠাৎ করে খোলা পাওয়া গেলেও অন্য প্রান্ত থেকে ধমক দিয়ে ফোন কেটে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনরা। অন্যদিকে দিনারের সন্ধান চেয়ে গতকাল শনিবার শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁর স্বজনরা। নিখোঁজ দিনারকে ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে স্বজনরা বলেছেন, অন্যথায় তাঁরা আমরণ অনশন করবেন।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দিনারের পরিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এতে দিনারের পরিবারের সদস্য ছাড়াও তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষিরা অংশ নেন।
সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ দিনার এবং ছাত্রদলকর্মী জুনেদ আহমদ গত ৩ এপ্রিল বিকেলে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দিনারের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, ২৫ দিন পার হলেও দিনারের কোনো খোঁজ দিতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। দিনারকে জীবিত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন দিনারের বাবা ডা. মঈন উদ্দিন আহমদ, মা গওহর পারভিন, শ্বশুর ও বিএনপি নেতা আবদুল গাফফার, শাশুড়ী খুশনূর গাফফার, স্ত্রী প্রিন্সিলা পারভিন পিংকি, মেয়ে মায়িশা, ছেলে রাইয়ান, দিনারের ছোট ভাই ইসফাক আহমদ, ইসমাম আহমদ, বোন তাহসিন শারমিন তামান্না, হাবিবা হান্নান তাহমিনা তুষি, নানা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল হক, নানী হামিদা খানমসহ স্বজনরা।
কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। নিখোঁজ দিনারকে ফিরে পেতে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দুপুর ১টায় তিন ঘণ্টার এ অবস্থান কর্মসূচি শেষ হয়।
জুনেদের মোবাইল হঠাৎ সচল : গত ৩ এপ্রিল বিকেলে ঢাকার উত্তরা থেকে দিনারের সঙ্গে জুনেদ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। প্রতিদিনই পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ফোনে কল দেওয়া হতো। কিন্তু সব সময়ই বন্ধ পাওয়া গেছে। কিন্তু শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই তাঁর মোবাইল সচল পাওয়া গেছে।
জুনেদের ছোট ভাই হাসান মঈনউদ্দীন আহমদ মঈনুল দাবি করছেন, জুনেদের মোবাইল ফোন সচল করা হয়েছে এবং কেউ একজন তা ব্যবহার করছেন।
গতকাল মঈনুল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তিনি ধরবেনা_এই আশা নিয়ে প্রতিনিয়ত তাঁর মোবাইল ফোনে কল করছি। গত শুক্রবার রাতে সেটা সচল পাই।' তিনি জানান, বার বার চেষ্টার পর অন্যপ্রান্ত থেকে রাত ১টা ৫৫ মিনিটের সময় কল রিসিভ করা হয়। ওপাশের ব্যক্তিটি এত রাতে বার বার ফোন করার জন্য তাঁকে ধমক দিয়ে ফোন রেখে দেন।
মঈনুল জানান, বিষয়টি তিনি উত্তরা থানার জিডি তদন্ত কর্মকর্তাকে অবগত করা ছাড়াও গতকাল সিলেট শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নম্বর-৯৯৩। তিনি মনে করেন, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালালে তাঁর ভাইয়ের সন্ধান পাওয়া হয়তো সম্ভব হবে।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দিনারের পরিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এতে দিনারের পরিবারের সদস্য ছাড়াও তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষিরা অংশ নেন।
সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ দিনার এবং ছাত্রদলকর্মী জুনেদ আহমদ গত ৩ এপ্রিল বিকেলে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দিনারের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, ২৫ দিন পার হলেও দিনারের কোনো খোঁজ দিতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। দিনারকে জীবিত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন দিনারের বাবা ডা. মঈন উদ্দিন আহমদ, মা গওহর পারভিন, শ্বশুর ও বিএনপি নেতা আবদুল গাফফার, শাশুড়ী খুশনূর গাফফার, স্ত্রী প্রিন্সিলা পারভিন পিংকি, মেয়ে মায়িশা, ছেলে রাইয়ান, দিনারের ছোট ভাই ইসফাক আহমদ, ইসমাম আহমদ, বোন তাহসিন শারমিন তামান্না, হাবিবা হান্নান তাহমিনা তুষি, নানা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল হক, নানী হামিদা খানমসহ স্বজনরা।
কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা। নিখোঁজ দিনারকে ফিরে পেতে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দুপুর ১টায় তিন ঘণ্টার এ অবস্থান কর্মসূচি শেষ হয়।
জুনেদের মোবাইল হঠাৎ সচল : গত ৩ এপ্রিল বিকেলে ঢাকার উত্তরা থেকে দিনারের সঙ্গে জুনেদ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। প্রতিদিনই পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ফোনে কল দেওয়া হতো। কিন্তু সব সময়ই বন্ধ পাওয়া গেছে। কিন্তু শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই তাঁর মোবাইল সচল পাওয়া গেছে।
জুনেদের ছোট ভাই হাসান মঈনউদ্দীন আহমদ মঈনুল দাবি করছেন, জুনেদের মোবাইল ফোন সচল করা হয়েছে এবং কেউ একজন তা ব্যবহার করছেন।
গতকাল মঈনুল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে তিনি ধরবেনা_এই আশা নিয়ে প্রতিনিয়ত তাঁর মোবাইল ফোনে কল করছি। গত শুক্রবার রাতে সেটা সচল পাই।' তিনি জানান, বার বার চেষ্টার পর অন্যপ্রান্ত থেকে রাত ১টা ৫৫ মিনিটের সময় কল রিসিভ করা হয়। ওপাশের ব্যক্তিটি এত রাতে বার বার ফোন করার জন্য তাঁকে ধমক দিয়ে ফোন রেখে দেন।
মঈনুল জানান, বিষয়টি তিনি উত্তরা থানার জিডি তদন্ত কর্মকর্তাকে অবগত করা ছাড়াও গতকাল সিলেট শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নম্বর-৯৯৩। তিনি মনে করেন, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালালে তাঁর ভাইয়ের সন্ধান পাওয়া হয়তো সম্ভব হবে।
No comments