মজিনার আশা দুই দেশের সম্পর্ক দারুণ ঘনিষ্ঠ হবে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের সম্পর্ক দারুণ ঘনিষ্ঠ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাবি্লউ মজিনা। বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের উদ্যোগে গতকাল শনিবার বারিধারা বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে এক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের কাছে এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মজিনা বলেন, 'আপনারা স্মরণ করতে পারেন, আমি ঢাকায় প্রথম এসেই বলেছিলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে বাংলাদেশ সফরে আনা আমার স্বপ্ন। এ স্বপ্নের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। আগামী ৫ মে হিলারি ঢাকায় আসছেন। আমি খুবই খুশি।' তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক ও বৃহৎ পরিসরে সম্পর্ক গড়াই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য।
হিলারির সফরের এজেন্ডা সম্পর্কে জানতে চাইলে মজিনা বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে এজেন্ডা ঠিক করার কাজ চলছে।
রাষ্ট্রদূত মজিনা বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রশংসা করে বলেন, যুবসমাজই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। তিনি আশা করেন তাঁর জীবদ্দশাতেই তরুণদের সহযোগিতায় স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইলেন পররাষ্ট্রসচিব : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের গার্মেন্ট পণ্যসহ অন্য বেশ কিছু পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা নিশ্চয়ই কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস। গতকাল বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ আশার কথা জানান।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, 'মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে তাঁর দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি গার্মেন্ট পণ্যসহ অন্য আরো অনেক পণ্য রপ্তানিতে প্রথম স্থান পাবে। এ প্রেক্ষাপটেই আমি বলতে চাই, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের গার্মেন্ট পণ্যসহ অন্য পণ্যগুলোর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা নিশ্চয়ই কাজ করবেন।'
একটি সম্মিলিত ও ন্যায়সংগত লক্ষ্যপথে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ মনকে পরিচালিত করে সমাজকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে নেতৃত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দেন পররাষ্ট্রসচিব।
এর আগে রাষ্ট্রদূত মজিনা তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের বলেন, 'আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। আর আমি বাংলাদেশের বর্তমানও দেখতে পাচ্ছি। আপনারা শুনেছেন, অনেকেই আপনাদের এই মহান জাতির ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে আপনারা বর্তমানেরও নেতা, আজকের নেতা।'
মজিনা বলেন, আগামী এক কিংবা দুই দশকের মধ্যেই স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশ সত্যিই এক আশীর্বাদপুষ্ট দেশ। তিনি বলেন, 'এ দেশের মাটি উর্বর ও উৎপাদনশীল এবং পানি পর্যাপ্ত। এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য। এখানকার বেসরকারি খাত এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগের চেতনা সব সময়ই স্পন্দনশীল। বেসরকারি খাত এবং উদ্যোক্তারা প্রাণবন্ত।'
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এ দেশের জনগণ উদ্যমী, প্রাণচঞ্চল, সৃষ্টিশীল, উদ্যোগী, সহৃদয় এবং তাদের রয়েছে টিকে থাকার ক্ষমতা। বাংলাদেশ হতে পারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানিকারক দেশ এবং তা হওয়া উচিতও। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ এবং মালবাহী জাহাজ প্রস্তুতকারক হিসেবে, তথ্য প্রযুক্তিতে, ওষুধসামগ্রী প্রস্তুতিতে, চামড়াজাত দ্রব্য তৈরিতে, সমুদ্রজাত খাদ্য রপ্তানিতে, রেশম উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে, ভবিষ্যতে পাট তন্তুর নতুন নতুন ব্যবহারে বিশ্বের অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আবির্ভূত হতে পারে এবং এই তালিকা আরো দীর্ঘ হতে পারে।'
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ক্যামব্রিজ লিডারশিপ অ্যাসোসিয়েটসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. মার্টি লিন্সকি, বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট এজাজ আহমেদ বক্তব্য দেন।
হিলারির সফরের এজেন্ডা সম্পর্কে জানতে চাইলে মজিনা বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে এজেন্ডা ঠিক করার কাজ চলছে।
রাষ্ট্রদূত মজিনা বাংলাদেশের যুবসমাজের প্রশংসা করে বলেন, যুবসমাজই ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দেবে। তিনি আশা করেন তাঁর জীবদ্দশাতেই তরুণদের সহযোগিতায় স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইলেন পররাষ্ট্রসচিব : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের গার্মেন্ট পণ্যসহ অন্য বেশ কিছু পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা নিশ্চয়ই কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস। গতকাল বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ আশার কথা জানান।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, 'মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে তাঁর দেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি গার্মেন্ট পণ্যসহ অন্য আরো অনেক পণ্য রপ্তানিতে প্রথম স্থান পাবে। এ প্রেক্ষাপটেই আমি বলতে চাই, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের গার্মেন্ট পণ্যসহ অন্য পণ্যগুলোর শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা নিশ্চয়ই কাজ করবেন।'
একটি সম্মিলিত ও ন্যায়সংগত লক্ষ্যপথে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ মনকে পরিচালিত করে সমাজকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে নেতৃত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দেন পররাষ্ট্রসচিব।
এর আগে রাষ্ট্রদূত মজিনা তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের বলেন, 'আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। আর আমি বাংলাদেশের বর্তমানও দেখতে পাচ্ছি। আপনারা শুনেছেন, অনেকেই আপনাদের এই মহান জাতির ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তবে আপনারা বর্তমানেরও নেতা, আজকের নেতা।'
মজিনা বলেন, আগামী এক কিংবা দুই দশকের মধ্যেই স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশ সত্যিই এক আশীর্বাদপুষ্ট দেশ। তিনি বলেন, 'এ দেশের মাটি উর্বর ও উৎপাদনশীল এবং পানি পর্যাপ্ত। এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য। এখানকার বেসরকারি খাত এবং ব্যবসায়িক উদ্যোগের চেতনা সব সময়ই স্পন্দনশীল। বেসরকারি খাত এবং উদ্যোক্তারা প্রাণবন্ত।'
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এ দেশের জনগণ উদ্যমী, প্রাণচঞ্চল, সৃষ্টিশীল, উদ্যোগী, সহৃদয় এবং তাদের রয়েছে টিকে থাকার ক্ষমতা। বাংলাদেশ হতে পারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানিকারক দেশ এবং তা হওয়া উচিতও। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ এবং মালবাহী জাহাজ প্রস্তুতকারক হিসেবে, তথ্য প্রযুক্তিতে, ওষুধসামগ্রী প্রস্তুতিতে, চামড়াজাত দ্রব্য তৈরিতে, সমুদ্রজাত খাদ্য রপ্তানিতে, রেশম উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে, ভবিষ্যতে পাট তন্তুর নতুন নতুন ব্যবহারে বিশ্বের অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আবির্ভূত হতে পারে এবং এই তালিকা আরো দীর্ঘ হতে পারে।'
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ক্যামব্রিজ লিডারশিপ অ্যাসোসিয়েটসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. মার্টি লিন্সকি, বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট এজাজ আহমেদ বক্তব্য দেন।
No comments