বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর কাম্য নয়-অস্থির শেয়ারবাজার
ঢাকার শেয়ারবাজারে দরপতনের প্রতিক্রিয়ায় রাস্তায় যানবাহন ভাঙচুর যেন নিয়মিত একটা বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। যাঁরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নিরীহ সাধারণ মানুষের যানবাহন ভাঙচুর করছেন, তাঁদের বিবেচনাবোধ আমাদের বিস্মিত করে। প্রশ্ন জাগে, তাঁরা কি স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলছেন?
শেয়ারবাজারে দরপতনের সঙ্গে ভাঙচুরের শিকার নিরীহ সাধারণ মানুষের সম্পর্ক কী?
এটা সত্য যে শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক দরপতনের ফলে অনেক বিনিয়োগকারী ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একজন বিনিয়োগকারী যেমন বলেছেন ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে’, আরেকজন বিনিয়োগকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ‘চোখের সামনে টাকা কাগজ হয়ে যাচ্ছে অথচ সরকার নীরব!’ সবই মানা যায়, কিন্তু এসবের জন্য নিরীহ মানুষের যানবাহনের ওপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
গত বুধবার মতিঝিলে একদল বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারী শুধু যানবাহন ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত হননি, তাঁরা গাড়ির চালকদের ওপরও হামলা করেছেন। একটি প্রাইভেট কারের একজন নারী চালককে গাড়ি থেকে টেনে নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে—এমন একটি ছবিও বৃহস্পতিবারের একাধিক দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এটি কেবল বিক্ষোভ প্রকাশের বিষয় নয়, অন্য নাগরিকের সম্পদ ও শরীরের ওপর বল প্রয়োগ ও ক্ষতিসাধন করার মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের উচিত, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। যাঁরা যানবাহন ভাঙচুর করেছেন, যানবাহনের চালকদের (নারীসহ) ওপর চড়াও হয়েছেন, তাঁদের ছবি বা ভিডিও ফুটেজ থেকে থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেগুলো ব্যবহার করে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারে। সাধারণ নাগরিকদের চলাফেরায় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে হলে এসব জবরদস্তিমূলক অপরাধের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক আচরণ ফিরিয়ে আনতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সে জন্য শেয়ারবাজারকে নিয়মিত ও নিজ গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। কৃত্রিমভাবে বাজারকে বাড়ানো-কমানো উচিত নয়। আর বিনিয়োগকারীদের হুজুগ পরিহার করতে হবে। হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার ঢল নামলে শেয়ারের ব্যাপক দরপতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিতে হবে সুচিন্তিতভাবে, বাজারের মৌল ভিত্তির ওপর নির্ভর করে। এবং দরপতন ঘটলেই বিক্ষোভের নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে।
এটা সত্য যে শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক দরপতনের ফলে অনেক বিনিয়োগকারী ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একজন বিনিয়োগকারী যেমন বলেছেন ‘আমার সব শেষ হয়ে গেছে’, আরেকজন বিনিয়োগকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ‘চোখের সামনে টাকা কাগজ হয়ে যাচ্ছে অথচ সরকার নীরব!’ সবই মানা যায়, কিন্তু এসবের জন্য নিরীহ মানুষের যানবাহনের ওপর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
গত বুধবার মতিঝিলে একদল বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারী শুধু যানবাহন ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত হননি, তাঁরা গাড়ির চালকদের ওপরও হামলা করেছেন। একটি প্রাইভেট কারের একজন নারী চালককে গাড়ি থেকে টেনে নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে—এমন একটি ছবিও বৃহস্পতিবারের একাধিক দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। এটি কেবল বিক্ষোভ প্রকাশের বিষয় নয়, অন্য নাগরিকের সম্পদ ও শরীরের ওপর বল প্রয়োগ ও ক্ষতিসাধন করার মতো গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের উচিত, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া। যাঁরা যানবাহন ভাঙচুর করেছেন, যানবাহনের চালকদের (নারীসহ) ওপর চড়াও হয়েছেন, তাঁদের ছবি বা ভিডিও ফুটেজ থেকে থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেগুলো ব্যবহার করে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারে। সাধারণ নাগরিকদের চলাফেরায় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে হলে এসব জবরদস্তিমূলক অপরাধের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেয়ারবাজারের স্বাভাবিক আচরণ ফিরিয়ে আনতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সে জন্য শেয়ারবাজারকে নিয়মিত ও নিজ গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। কৃত্রিমভাবে বাজারকে বাড়ানো-কমানো উচিত নয়। আর বিনিয়োগকারীদের হুজুগ পরিহার করতে হবে। হঠাৎ আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার ঢল নামলে শেয়ারের ব্যাপক দরপতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। বিনিয়োগের সিদ্ধান্তও নিতে হবে সুচিন্তিতভাবে, বাজারের মৌল ভিত্তির ওপর নির্ভর করে। এবং দরপতন ঘটলেই বিক্ষোভের নামে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে।
No comments