ক্রিকেটের মেজাজি বিবর্তন by রণজিৎ বিশ্বাস
নিজের বয়স অপ্রয়োজনীয় রকম বেশি বলেই তরুণদের জন্য একটি সাধারণ সম্বোধন স্থির করে রেখেছি। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারও করে চলেছি। ‘বালক’। এটি যদি খেলা হয়, দেশের ক্রিকেটারদেরও আমি বালক ডেকেছি। হাবিবুল থেকে শুরু করে তামিমকে।
সবাই ঢোকেনি এই ডাকের ব্র্যাকেটে। ঢুকেছে তারাই, কেবল যারা সময় সময় বাংলাদেশের ক্রিকেট-অন্তঃপ্রাণ মানুষকে স্বপ্নে ভাসিয়েছে ও স্বপ্নভঙ্গের পাথারে ডুবিয়েছে।
এই ধারার শেষ যোজনা তামিম ইকবাল। এশিয়া কাপ ক্রিকেটের এগারো নম্বর আসরে বাংলাদেশের স্থিতিতে তিনি ব্যাটের কৃতিতে নাম্বার ওয়ান থাকার ওর কাজে, বিশেষত, শতের আধেক প্রাপ্তির উদ্যাপনডৌল নিয়ে কাগজে কাগজে অনেক কথা লিখেছি, মিডিয়ায় মিডিয়ায় অনেক বলা বলেছি। ওঁর উচ্ছ্বাস-সুনামির সঙ্গে ভাঁজবদ্ধ অবস্থায় অহমে, অসংযমে, উল্লাসে জড়াজড়ি এক তূরীয় অবস্থায় বালচাপল্যের দুষ্পাচ্য বিজড়ন দেখেছি। এবং দেখেছি বড় অসময়ে। অরিহননের যেখানে শুরু, বালকের শ্লাঘায় প্রগলভতায় আমরা যেন শেষটা দেখে ফেলেছি। জুড়িয়ে যাওয়ার পর সেটি আজ বলার বিষয় নয়।
আজ বলার বিষয় তামিমের মুখের একটি ভালো কথা। বয়সের ও ভাবমূর্তির খাপ খুলে বেরিয়ে এসে বলা বিজ্ঞজনোচিত পর্যবেক্ষণের কথা। পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে আইপিএল খেলতে গিয়ে দলের ব্যবস্থাপকদের নির্ধারিত অপেক্ষার কালে তিনি ক্রিকইনফোকে বলেছেন, বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ কম পাচ্ছে। দেশটির ক্রিকেটের উন্নতির জন্য টেস্ট ম্যাচে তাদের বর্ধিষ্ণু অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়া উচিত।
এই উক্তির পর ক্রিকেটের একজন মানুষ আমাকে বিবাদে জড়ালেন। কথাটি ভালো হয়নি। অর্বাচীনের উক্তি হয়েছে।
: আপনার কথার জোরটা কোথায় বোঝা দরকার।
: জোর হচ্ছে, চারদিকে যখন শর্টার ভার্সান ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা সেকেন্ডে সেকেন্ডে বাড়ছে, সেখানে টেস্ট ক্রিকেট বেশি খেলে কী হবে!
: আমি আপনাকে বলব না যে টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটভুবনের সর্ববনেদি ও সর্বকুলীন আসর, সকল প্রকরণের সেরা প্রকরণ। এসব সবাই জানে, এগুলো বলার জমানাও শেষ।
: তাহলে টেস্ট ক্রিকেটের সমর্থনে আপনি কী বলবেন?
: আমি বলব, টেস্ট ক্রিকেট এখন আর আগের যুগে ও প্রকোষ্ঠে বন্দী নেই। এর বিবর্তন হয়েছে। এই বিবর্তনের পরশ দিয়েছে ৩০০ বলের ক্রিকেট ও ১২০ বলের ক্রিকেট। ফলে সনাতনী টেস্ট ক্রিকেট এখন যুগের সন্ধিতে অথবা সন্ধিক্ষণটিও ছাড়িয়ে এসেছে। এখন টেস্ট ম্যাচে ওভারে ৪ করে রান কুড়িয়ে দিনে ৩৫০ থেকে ৩২৫ সংগ্রহ করা কিংবা দেড় শ থেকে সোয়া শ বলে সেঞ্চুরি করে ফেলা বড় পরিচিত দৃশ্য। টেস্ট ক্রিকেটের এই আক্রমণাত্মক ও আকর্ষণীয় রূপবিভা একদিনের ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের স্পর্শে পাওয়া।
আবার এর অনুসরণ গোনা বলের লড়াইয়েও এনে দিতে পারে এক ধরনের মেজাজি পরিবর্তন। এই সেদিনও আমরা বিশ্বাস করেছি, গোনা বলের ক্রিকেট একটি ‘ফাস্ট মুভিং ট্রেন’। যখন ধায়, এটি শুধু ধেয়েই চলে এবং ধাওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কিছু বোঝে না। টেস্ট ক্রিকেট এখন ভাবার অবকাশ তৈরি করেছে, বল গোনা ক্রিকেটেও সাংগীতিক আরোহ ও অবরোহের মতো ব্যাপার থাকতে পারে। এখানেও ইনিংসের নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ, আক্রমণ ও অতি-আক্রমণের ব্যাপার থাকে। শুধু পরিকল্পনার ব্যাপার। ঘোর প্রয়োজনের সময় মস্তিষ্কের সর্বোত্তম ব্যবহারের দরকার—এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল আমাদের তা ভালো করেই বুঝিয়ে দিয়েছে।
এই ধারার শেষ যোজনা তামিম ইকবাল। এশিয়া কাপ ক্রিকেটের এগারো নম্বর আসরে বাংলাদেশের স্থিতিতে তিনি ব্যাটের কৃতিতে নাম্বার ওয়ান থাকার ওর কাজে, বিশেষত, শতের আধেক প্রাপ্তির উদ্যাপনডৌল নিয়ে কাগজে কাগজে অনেক কথা লিখেছি, মিডিয়ায় মিডিয়ায় অনেক বলা বলেছি। ওঁর উচ্ছ্বাস-সুনামির সঙ্গে ভাঁজবদ্ধ অবস্থায় অহমে, অসংযমে, উল্লাসে জড়াজড়ি এক তূরীয় অবস্থায় বালচাপল্যের দুষ্পাচ্য বিজড়ন দেখেছি। এবং দেখেছি বড় অসময়ে। অরিহননের যেখানে শুরু, বালকের শ্লাঘায় প্রগলভতায় আমরা যেন শেষটা দেখে ফেলেছি। জুড়িয়ে যাওয়ার পর সেটি আজ বলার বিষয় নয়।
আজ বলার বিষয় তামিমের মুখের একটি ভালো কথা। বয়সের ও ভাবমূর্তির খাপ খুলে বেরিয়ে এসে বলা বিজ্ঞজনোচিত পর্যবেক্ষণের কথা। পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে আইপিএল খেলতে গিয়ে দলের ব্যবস্থাপকদের নির্ধারিত অপেক্ষার কালে তিনি ক্রিকইনফোকে বলেছেন, বাংলাদেশ টেস্ট খেলার সুযোগ কম পাচ্ছে। দেশটির ক্রিকেটের উন্নতির জন্য টেস্ট ম্যাচে তাদের বর্ধিষ্ণু অংশগ্রহণ নিশ্চিত হওয়া উচিত।
এই উক্তির পর ক্রিকেটের একজন মানুষ আমাকে বিবাদে জড়ালেন। কথাটি ভালো হয়নি। অর্বাচীনের উক্তি হয়েছে।
: আপনার কথার জোরটা কোথায় বোঝা দরকার।
: জোর হচ্ছে, চারদিকে যখন শর্টার ভার্সান ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা সেকেন্ডে সেকেন্ডে বাড়ছে, সেখানে টেস্ট ক্রিকেট বেশি খেলে কী হবে!
: আমি আপনাকে বলব না যে টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটভুবনের সর্ববনেদি ও সর্বকুলীন আসর, সকল প্রকরণের সেরা প্রকরণ। এসব সবাই জানে, এগুলো বলার জমানাও শেষ।
: তাহলে টেস্ট ক্রিকেটের সমর্থনে আপনি কী বলবেন?
: আমি বলব, টেস্ট ক্রিকেট এখন আর আগের যুগে ও প্রকোষ্ঠে বন্দী নেই। এর বিবর্তন হয়েছে। এই বিবর্তনের পরশ দিয়েছে ৩০০ বলের ক্রিকেট ও ১২০ বলের ক্রিকেট। ফলে সনাতনী টেস্ট ক্রিকেট এখন যুগের সন্ধিতে অথবা সন্ধিক্ষণটিও ছাড়িয়ে এসেছে। এখন টেস্ট ম্যাচে ওভারে ৪ করে রান কুড়িয়ে দিনে ৩৫০ থেকে ৩২৫ সংগ্রহ করা কিংবা দেড় শ থেকে সোয়া শ বলে সেঞ্চুরি করে ফেলা বড় পরিচিত দৃশ্য। টেস্ট ক্রিকেটের এই আক্রমণাত্মক ও আকর্ষণীয় রূপবিভা একদিনের ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের স্পর্শে পাওয়া।
আবার এর অনুসরণ গোনা বলের লড়াইয়েও এনে দিতে পারে এক ধরনের মেজাজি পরিবর্তন। এই সেদিনও আমরা বিশ্বাস করেছি, গোনা বলের ক্রিকেট একটি ‘ফাস্ট মুভিং ট্রেন’। যখন ধায়, এটি শুধু ধেয়েই চলে এবং ধাওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কিছু বোঝে না। টেস্ট ক্রিকেট এখন ভাবার অবকাশ তৈরি করেছে, বল গোনা ক্রিকেটেও সাংগীতিক আরোহ ও অবরোহের মতো ব্যাপার থাকতে পারে। এখানেও ইনিংসের নির্মাণ, পুনর্নির্মাণ, আক্রমণ ও অতি-আক্রমণের ব্যাপার থাকে। শুধু পরিকল্পনার ব্যাপার। ঘোর প্রয়োজনের সময় মস্তিষ্কের সর্বোত্তম ব্যবহারের দরকার—এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল আমাদের তা ভালো করেই বুঝিয়ে দিয়েছে।
No comments