স্বচ্ছতার লড়াই-কর ফাঁকিবাজ ও টাকা পাচারকারীরা সাবধান! by মশিউল আলম

গত সোমবার লন্ডনের ফ্রন্টলাইন ক্লাবে বসেছিল এক ব্যতিক্রমী সংবাদ সম্মেলন। রুডলফ এলমার নামের একজন সাবেক ব্যাংকার ছিলেন সংবাদ সম্মেলনটির উদ্যোক্তা। কিন্তু সেখানে হাজির হয়েছিলেন হাটে-হাঁড়ি-ভাঙা ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রধান সম্পাদক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, যিনি যৌন অসদাচরণ-সংক্রান্ত এক মামলার আসামি হিসেবে


জামিনে মুক্ত, কিন্তু প্রায়-নজরবন্দী জীবন যাপন করছেন লন্ডনেই তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে। ১৬ ডিসেম্বর জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর অ্যাসাঞ্জ এই প্রথম জনসমক্ষে হাজির হলেন।
কিন্তু এই লেখা ঠিক অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে নয়, বরং রুডলফ এলমার নামের আরেকজন হুইসেল ব্লোয়ারকে নিয়ে, যিনি ব্র্যাডলি ম্যানিং নামের মার্কিন তরুণ সেনার মতোই বিশ্ববাসীকে সব অন্যায়-অবিচারের কথা জানাতে চান। ম্যানিংয়ের সঙ্গে এই ভদ্রলোকের পার্থক্য পেশায় ও বয়সে: ইনি তরুণ নন, মধ্যবয়সী; সেনা নন, একজন ব্যাংকার। সুইজারল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংকিং গ্রুপ জুলিয়াস বায়েরে (২০০৯ সাল পর্যন্ত যার মোট গ্রাহক সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৬০.৪ বিলিয়ন ইউরো) চাকরি করেছেন প্রায় দুই দশক। ২০০২ সালে দেশটির কেইম্যান আইল্যান্ডসে ওই ব্যাংকের শাখা অফিসে চিফ অপারেটিং অফিসার পদে কর্মরত অবস্থায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় গোপন নথি চুরি করার অভিযোগে। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করা ও নথি চুরি করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ১৯ জানুয়ারি এক সুইস আদালতে মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে যাওয়ার দুই দিন আগে লন্ডনের ফ্রন্টলাইন ক্লাবে তিনি ডেকেছিলেন ওই সংবাদ সম্মেলন, যেখানে হাজির হয়েছিলেন উইকিলিকসের জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। অ্যাসাঞ্জ সেখানে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রুডলফ এলমার তাঁকে দুটি কমপ্যাক্ট ডিস্ক (সিডি) হস্তান্তর করেছেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুই হাজারের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনসম্পর্কিত তথ্য রয়েছে, যে তথ্যগুলো এলমার পেয়েছেন প্রধানত জুলিয়াস বায়ের ব্যাংকের তথ্যভান্ডার থেকে।
রুডলফ এলমার বলেন, অ্যাসাঞ্জকে দেওয়া সিডি দুটি প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে কী ব্যাপক মাত্রার মানি লন্ডারিং চলছে, বিভিন্ন দেশ কী বিরাট অঙ্কের কর ও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তা সম্পর্কে সবাই জানতে পারবেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রথমে তিনি সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তথ্যগুলো দেওয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি। তিনি সুইজারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন, তাদের তথ্যগুলো সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সুইস সংবাদমাধ্যমের লোকজন নাকি তাঁর প্রস্তাব এই বলে উড়িয়ে দিয়েছেন যে তিনি মানসিকভাবে একজন অসুস্থ লোক। সংবাদ সম্মেলনে এলমার বলেন, ‘আমি হাল ছেড়েই দিতে যাচ্ছিলাম, তখন এক বন্ধু বলল, তুমি এগুলো উইকিলিকসকে দিয়ে দাও। অবশেষে উইকিলিকসের শরণাপন্ন হলাম। আর্থিক খাতে কী কারবার চলছে, তা সমাজকে জানানোর শেষ ভরসা এই উইকিলিকস।’ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের হাতে তিনি দুটি সিডি তুলে দিয়েছেন, এ কথা জানিয়ে এলমার বলেন, ‘অন্যায় হচ্ছে দেখতে পেলে একজন ব্যাংকার হিসেবে আমার অধিকার রয়েছে সেসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর। আমি এই অর্থব্যবস্থার বিরুদ্ধে। আমি জানি কীভাবে এই ব্যবস্থা কাজ করে, প্রতিদিনের কাজকর্ম কীভাবে সম্পাদিত হয়। আমি চেয়েছি সমাজের সবাই জানুক কীভাবে এই ব্যবস্থা কাজ করে, এটা সবার জানা দরকার, কারণ এভাবে সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।’
বিশ্বজুড়ে যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, কোথাও কোথাও রীতিমতো ধস নেমেছে, তখন আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনার পক্ষে আন্দোলন দানা বাঁধছে। এই আন্দোলনের নেতারা প্রশ্ন তুলছেন, সরকারগুলো যখন অভ্যন্তরীণ করব্যবস্থাকে আরও দক্ষতাপূর্ণ ও গতিশীল করার কথা বলছে, তখন ব্যাংকিং গোপনীয়তা-সংক্রান্ত আইনকানুনের সুরক্ষা দিয়ে কিছুসংখ্যক ধনাঢ্য নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকি ও বিশাল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার করার সুযোগ জিইয়ে রাখা হচ্ছে কেন। যুক্তরাজ্যে এ রকম আন্দোলন চালাচ্ছে ‘ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্ক’ নামের একটি নাগরিক সংগঠন। তারা বলে, অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুবিধা নিয়ে ধনী লোকেরা বিপুল অঙ্কের টাকা বাইরে পাচার করে দিচ্ছেন, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ পুঁজি পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর দেশগুলোর অর্থনৈতিক মন্দার চাপ সামলাতে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে গরিব করদাতাদের। অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাত্রা ও চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে এলমার বলেন, ‘প্রথমে আমার মনে হয়েছিল, অফশোর ব্যাংকিংয়ের পরিমাণ এতই সামান্য যে ওটাকে ইঁদুরের লেজ বলা যায়। কিন্তু সেই ইঁদুরের লেজটাই আমি নেড়েচেড়ে দেখা শুরু করলাম এবং শেষে যা দেখতে পেলাম, তা হলো বিশাল এক ড্রাগন, বহু মাথাওয়ালা আগুনমুখো বিরাটকায় এক ড্রাগন!’
বলা যেতে পারে, ফ্রন্টলাইন ক্লাবের ওই সংবাদ সম্মেলনটি ছিল ব্যাংক হুইসেল ব্লোয়ার ও করব্যবস্থায় স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার পক্ষে আন্দোলনকারীদের একটা সমাবেশ। ব্যাংক হুইসেল ব্লোয়াররা সেদিনের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছেন, রুডলফ এলমারই শেষ নন, সামনে আরও লোকজন আসছেন মানি লন্ডারার ও কর জালিয়াতদের সব গোমর ফাঁস করে দিতে। বড় বড় ব্যাংকে নাকি এ ধরনের কিছু কর্মী আছেন, তাঁদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগও রয়েছে।
ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত বিভিন্ন নাগরিক গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে সেদিন এলমারের সঙ্গে ছিলেন ব্রিটেনের ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্কের নেতা জন ক্রিসটেনসেন, অফশোর ট্যাক্স অ্যাবিউজ স্পেশালিস্ট ও আমেরিকান আইনজীবী জ্যাক ব্লুম, মার্টিন উডস নামের এলমারের একজন বন্ধু, যিনি নিজের পরিচয় দেন হুইসেল ব্লোয়ারদের একটি সমর্থক নেটওয়ার্কের সদস্য বলে। তিনি একসময় ‘ওয়াচোভিয়া’ নামের এক আমেরিকান ব্যাংকে কমপ্লায়েন্স অফিসার হিসেবে কাজ করেছেন (২০০৮ সালে ব্যাংকটি কিনে নেয় ‘ওয়ালস ফারগো’ নামের আরেকটি আমেরিকান ব্যাংক)। তিনি বলেন, মেক্সিকোর মাদক চোরাকারবারিদের মানি লন্ডারিংয়ের টাকা ওই ব্যাংকে রাখা হচ্ছে, এ ব্যাপারে তিনি ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ২০০৯ সালে তিনি মার্কিন এক আদালতে এ বিষয়ে জবানবন্দি দেন, আদালত ওই ব্যাংককে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে ১৬০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে আদেশ দেয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক লুসি কমিসার। অফশোর ব্যাংকিং, করপোরেট গোপনীয়তা, আন্তর্জাতিক মানি লন্ডারিং, করপোরেট জালিয়াতি, স্বৈরশাসকদের দুর্নীতি ও তহবিল তছরুপ, সন্ত্রাসবাদ অর্থায়ন ইত্যাদি বিষয়ে তিনি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লেখেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা, দুর্নীতিসংক্রান্ত একাধিক অনুসন্ধানী গ্রন্থের লেখক এবং অ্যাকটিভিস্ট। মূলধারার সংবাদমাধ্যমের ওপর আস্থা হারিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘দি কমিসার স্কুপ’ নামের নিজস্ব ওয়েবসাইট। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রুডলফ এলমার উইকিলিকসকে তথ্যগুলো দিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন, কারণ উইকিলিকসের কারণেই মূলধারার সংবাদমাধ্যমসহ সবাই এসব খবরের প্রতি আকৃষ্ট হবে। ওই তারিখের ‘দি কমিসার স্কুপ’-এ তিনি লিখেছেন, দুই বছর আগে তিনি রুডলফ এলমারের দেওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন, তাতে তিনি দেখিয়েছেন, নিউইয়র্কে বায়ের ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও লন্ডনে জেবিআইএম নামের দুটি কোম্পানি যাতে মার্কিন ও ব্রিটিশ সরকারকে বিশাল অঙ্কের কর ফাঁকি দিতে পারে, তার পরিকল্পনা করেছিল জুলিয়াস বায়ের গ্রুপ এবং কর ফাঁকি দিতে তাদের আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়েছিল। কিন্তু সে সময় ওই প্রতিবেদনটির প্রতি মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যম আগ্রহ দেখায়নি। তিনি একজন সাবেক রক-শিল্পীর বিপুল অঙ্কের কর ফাঁকি দেওয়া সম্পর্কে আরেকটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছিলেন, সেটিও মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেনি বলে তিনি নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন। (দেখুন তাঁর ওয়েবসাইট: http://thekomisarscoop.com)
লুসি কমিসার শেষে মন্তব্য করেছেন, রুডলফ এলমার যেসব তথ্য উইকিলিকসকে দিলেন, সেগুলো যদি এখন মূলধারার সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পায়, তবে তার মধ্য দিয়ে তথ্য বিপণনে (ইনফরমেশন মার্কেটিং) উইকিলিকসের শক্তিমত্তা ও প্রভাব প্রমাণিত হবে এবং দায়িত্বপূর্ণ জনমুখী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মূলধারার সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলোর ব্যর্থতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ গত ১৬ ডিসেম্বর জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে হাজির হলেন। সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, যে দুটি সিডি তাঁকে দেওয়া হলো, তা তিনি কবে নাগাদ উইকিলিকসে প্রকাশ করবেন। অ্যাসাঞ্জ বলেন, প্রথমে তিনি তথ্যগুলো ‘সিরিয়াস ফ্রড অফিস’কে (যুক্তরাজ্য সরকারের একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, যা গুরুতর ও জটিল জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেয়) পাঠাবেন; তথ্যসূত্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেবেন, তারপর, খুব সম্ভব দুই সপ্তাহ পর, উইকিলিকসে সম্পূর্ণটা প্রকাশ করবেন। অ্যাসাঞ্জ তাঁর মামলা বা উইকিলিকসের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তেমন কিছু বলেননি, কারণ, তাঁর মতে সংবাদ সম্মেলনটি তাঁর নয়, রুডলফ এলমারের। তবে তিনি এটুকু জানিয়েছেন যে উইকিলিকস স্বল্প পরিসরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং গোপনে আরও নথিপত্র পাচ্ছে, কিন্তু সেগুলো যাচাই-বাছাই করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার মতো পর্যাপ্ত লোকবল বা ম্যাকানিজম উইকিলিকসের এ মুহূর্তে নেই।
উইকিলিকসে দেওয়া এলমারের সিডি দুটিতে যে দুই সহস্রাধিক ধনী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর ফাঁকি, মানি লন্ডারিং ইত্যাদি অনিয়মের তথ্য রয়েছে, এলমার বা অ্যাসাঞ্জ তাদের কারও নাম প্রকাশ করেননি। তবে লন্ডনের অবজারভার পত্রিকা এলমারের বরাত দিয়ে লিখেছে, ওই তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ৪০ জন রাজনীতিবিদ আছেন, যাঁরা বেশ পরিচিত। আর্থিক লেনদেনগুলো হয়েছে ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করেছে অবজারভার। বাংলাদেশের ক্ষমতাধর রাজনীতিকদের কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংসহ নানা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনেক শোনা যায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরনের একটি মামলা বিচারাধীন। এখন সুইজারল্যান্ডের জুলিয়াস বায়ের ব্যাংকে এ দেশের রাজনীতিক বা ব্যবসায়ীদের কারও অ্যাকাউন্ট ছিল বা আছে কি না, তা জানার জন্য, অ্যাসাঞ্জের আশ্বাস সত্য হলে, আমাদের দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
মশিউল আলম: সাংবাদিক।
mashiul.alam@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.