হিলারির সফর ২৫ ঘণ্টার by মেহেদী হাসান

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের আসন্ন ঢাকা সফর হতে পারে ২৫ ঘণ্টার। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, আগামী শনিবার দুপুর ১টায় তিনি ঢাকায় পেঁৗছাবেন। ঢাকা ছাড়বেন পরদিন দুপুর ২টায়। হিলারির সফরের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত শুক্রবার রাতে নিশ্চিত করেছে।


তবে নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে সফরসূচি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কেউ মুখ খুলছেন না। জানা গেছে, ৫ মে ঢাকায় বিমানবন্দরে হিলারি ক্লিনটনকে স্বাগত জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। হিলারি ক্লিনটন বিমানবন্দর থেকে যাবেন গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে। তিনি এই হোটেলে রাত যাপন করবেন বলে জানা গেছে। ওই দিন বিকেল ৫টায় হিলারি ক্লিনটন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অথবা গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের পর ওই হোটেলেই হিলারির সম্মানে নৈশ ভোজের আয়োজন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আমন্ত্রণ জানানোর কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ৬ মে হিলারি তাঁর সফরের দ্বিতীয় দিনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারেন। এ ছাড়া বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হতে পারে সেদিন।
সূত্র আরো জানায়, হিলারির সফরের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিগুলো তাঁর ব্যক্তিগত। আগামী রবিবার দুপুর ২টায় তিনি ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের ঢাকা সফর এটিই প্রথম। এর আগে ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। ওই সময় হিলারি উঠেছিলেন সোনারগাঁও হোটেলে। ২০১০ সালে হিলারির ঢাকা সফরের সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে সোনারগাঁও হোটেলের আবাসন ব্যবস্থার খোঁজ নিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে ওই সফর হয়নি।
এবার সোনারগাঁও হোটেলের বদলে ওয়েস্টিন হোটেলকে বেছে নেওয়ার কারণ খোঁজ করে জানা গেছে, সোনারগাঁও হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটটি আগে থেকেই বরাদ্দ রাখা হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির জন্য। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই পাঁচতারা অন্য হোটেলের খোঁজ করতে হয়েছে। ওয়েস্টিনের পাশাপাশি বিকল্প আবাসন ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী 'অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি' (ভিআইপি) হিসেবে মর্যাদা পাবেন।

No comments

Powered by Blogger.