অস্থিতিশীল উচ্চশিক্ষাঙ্গন-শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসুক
দেশের বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। একের পর এক সৃষ্টি হওয়া অস্থিতিশীলতা দেখে মনে হয় নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই। সংগত কারণেই আশঙ্কা জন্মায় উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরের পর বছর শিক্ষার পরিবেশ বিঘি্নত হয়ে চলেছে কখনো শিক্ষার্থীদের কারণে, কখনো শিক্ষক ও প্রশাসনের কারণে।
সেখানকার কিছু ঘটনা রীতিমতো ন্যক্কারজনকও বটে। ধর্ষণের মতো ঘটনাও একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটতে পারে, এর বড় উদাহরণ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি সেখানে শিক্ষকদের একটি অংশ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। সেই আন্দোলনের পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি যে আচরণ করেছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে এমন বিষয়কে কেন্দ্র করে, যা আমাদের ভাবিয়ে তোলে। সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনাকেও স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষকরা আন্দোলনে গেছেন। তিন সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে আছে। কবে নাগাদ ক্লাস শুরু হবে, তা কেউ বলতে পারছে না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটির অবস্থা উপাচার্যদের অনুকূলে নয়। চুয়েটেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
শিক্ষার পরিবেশের জন্য বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার প্রয়োজনে ভিসি প্যানেল তৈরি অপরিহার্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন সেই সত্যটিও ভুলে গেছে। এই সুযোগে সেখানে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে চরম অরাজকতা দেখা দেবে। একসময় ছাত্র রাজনীতিকে দোষারোপ করা হতো শিক্ষার পরিবেশ বিঘি্নত হওয়ার জন্য। এখন ছাত্র রাজনীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় শিক্ষক রাজনীতি তাদের জায়গা দখল করে নিতে শুরু করেছে। এ অবস্থার পেছনে নেপথ্য অপশক্তির কালো হাত কাজ করতে পারে বলেও বিশ্লেষকদের ধারণা। এ অবস্থার জন্য একটি গোষ্ঠী ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশকে দায়ী করতে শুরু করেছে। অধ্যাদেশটি যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য যে পরিবর্তন করা প্রয়োজন এ কথা মেনেও বলা দরকার, দায়বদ্ধতার অভাবেই বেশির ভাগ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। শিক্ষকদের রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করার মানসিকতা শিক্ষা পরিবেশকে মারাত্মক ক্ষতি করে। আবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলীয়করণের অভিযোগটিও অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু দলীয়করণের কারণে বিভাজন হচ্ছে শক্তিশালী। এ জন্য দুর্নীতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তাই আজকে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে একজন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করছেন কি না, তার পরই আইন কিংবা নীতিমালার প্রসঙ্গ আসতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। আন্দোলনকারীদেরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করতে হবে।
শিক্ষার পরিবেশের জন্য বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার প্রয়োজনে ভিসি প্যানেল তৈরি অপরিহার্য, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন সেই সত্যটিও ভুলে গেছে। এই সুযোগে সেখানে শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে চরম অরাজকতা দেখা দেবে। একসময় ছাত্র রাজনীতিকে দোষারোপ করা হতো শিক্ষার পরিবেশ বিঘি্নত হওয়ার জন্য। এখন ছাত্র রাজনীতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় শিক্ষক রাজনীতি তাদের জায়গা দখল করে নিতে শুরু করেছে। এ অবস্থার পেছনে নেপথ্য অপশক্তির কালো হাত কাজ করতে পারে বলেও বিশ্লেষকদের ধারণা। এ অবস্থার জন্য একটি গোষ্ঠী ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশকে দায়ী করতে শুরু করেছে। অধ্যাদেশটি যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য যে পরিবর্তন করা প্রয়োজন এ কথা মেনেও বলা দরকার, দায়বদ্ধতার অভাবেই বেশির ভাগ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। শিক্ষকদের রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করার মানসিকতা শিক্ষা পরিবেশকে মারাত্মক ক্ষতি করে। আবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলীয়করণের অভিযোগটিও অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু দলীয়করণের কারণে বিভাজন হচ্ছে শক্তিশালী। এ জন্য দুর্নীতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তাই আজকে আত্মজিজ্ঞাসা করতে হবে একজন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করছেন কি না, তার পরই আইন কিংবা নীতিমালার প্রসঙ্গ আসতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। আন্দোলনকারীদেরও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করতে হবে।
No comments