এ সুযোগ সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগান-লিবিয়ার শ্রমবাজার
এটি একটি সুসংবাদ যে যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়ায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে শুরু করেছে। স্থায়ী শান্তি ফিরে আসতে আরও কিছু সময় লাগবে, তবে সে জন্য দেশটির যুদ্ধকালের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার কাজ থেমে নেই। গৃহনির্মাণ, তেলক্ষেত্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর জন্য অনেক লোকবলের প্রয়োজন হবে শিগগিরই।
বাংলাদেশের জন্য এটি বিশেষ একটি ভালো খবর। কেননা, যুদ্ধের কারণে যে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশিকে চাকরি হারিয়ে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে, এখন তাঁদের জন্য নতুন করে ওই দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, লিবিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস প্রায় ২০টি কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে তাদের বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে এবং কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ইতিবাচক আশ্বাসও পেয়েছে। যেসব কর্মী ফিরে এসেছেন, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন এবং নতুন করে আরও কর্মী নেওয়ার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। দূতাবাসের উচিত, আরও কী কী খাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়া। অদক্ষ শ্রমিকের পাশাপাশি দক্ষ শ্রমিক এবং চিকিৎসক, শিক্ষক, নার্স ইত্যাদি পেশাজীবীর কর্মসংস্থান আরও বাড়ানো সম্ভব কি না, তাও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
লিবিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে—এমন খবরে এ দেশের অনেক মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হতে পারে। ফলে সেই দেশে যেতে ইচ্ছুক মানুষের সংখ্যা দেশটিতে প্রকৃত কর্মসংস্থানের তুলনায় অনেক বেশি হতে পারে। এ রকম অবস্থার কিছু ঝুঁকি থাকে। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি কর্মীরা আগেই বেতন-ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে সে দেশে না গেলে অনেককে খালি হাতে ফিরতে হতে পারে। আমাদের মনে হয়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে সরকারি নজরদারির যেমন প্রয়োজন, তেমনি লিবিয়ায় যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সচেতনতারও বেশ প্রয়োজন আছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাউকে অবৈধ পন্থায় লিবিয়ায় যেতে দেওয়া হবে না। আমরা আশা করব, এটা নিছক কথার কথা বলে প্রমাণিত হবে না। লিবিয়ায় নতুন করে কর্মসংস্থানের এই সুযোগ সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগানোর চেষ্টা করা দরকার।
বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, লিবিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস প্রায় ২০টি কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে তাদের বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে এবং কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ইতিবাচক আশ্বাসও পেয়েছে। যেসব কর্মী ফিরে এসেছেন, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন এবং নতুন করে আরও কর্মী নেওয়ার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। দূতাবাসের উচিত, আরও কী কী খাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে আরও খোঁজখবর নেওয়া। অদক্ষ শ্রমিকের পাশাপাশি দক্ষ শ্রমিক এবং চিকিৎসক, শিক্ষক, নার্স ইত্যাদি পেশাজীবীর কর্মসংস্থান আরও বাড়ানো সম্ভব কি না, তাও খতিয়ে দেখা যেতে পারে।
লিবিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে—এমন খবরে এ দেশের অনেক মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হতে পারে। ফলে সেই দেশে যেতে ইচ্ছুক মানুষের সংখ্যা দেশটিতে প্রকৃত কর্মসংস্থানের তুলনায় অনেক বেশি হতে পারে। এ রকম অবস্থার কিছু ঝুঁকি থাকে। লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি কর্মীরা আগেই বেতন-ভাতা ও অন্যান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে সে দেশে না গেলে অনেককে খালি হাতে ফিরতে হতে পারে। আমাদের মনে হয়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে সরকারি নজরদারির যেমন প্রয়োজন, তেমনি লিবিয়ায় যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সচেতনতারও বেশ প্রয়োজন আছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাউকে অবৈধ পন্থায় লিবিয়ায় যেতে দেওয়া হবে না। আমরা আশা করব, এটা নিছক কথার কথা বলে প্রমাণিত হবে না। লিবিয়ায় নতুন করে কর্মসংস্থানের এই সুযোগ সর্বোচ্চ মাত্রায় কাজে লাগানোর চেষ্টা করা দরকার।
No comments