গ্রেনেড হামলা মামলা-জঘন্য হত্যাকাণ্ডের যথার্থ বিচারই কাম্য
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার জনসভায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম গ্রেনেড ও বোমা হামলা পরিচালিত হয়েছিল। হামলায় বর্তমান রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ও আওয়ামী লীগনেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং দুই শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
দীর্ঘ সাত বছর পর গত ৩ জুলাই সেই মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এতে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদসহ ৩০ জনকে নতুন করে আসামি করা হয়েছে। বর্তমান প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগপত্রকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হয়েছে।
আইনের শাসনে বিশ্বাসী যেকোনো নাগরিক এই জঘন্য হামলা ও হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচারের পক্ষে। এখানে কোনো ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যেমন কাম্য নয়, তেমনি বিচার কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে_এমন কোনো অবান্তর উক্তি উচ্চারণ বা দোষারোপও কাম্য নয়। আমরা দেখেছি, ২০০৪ সালে হত্যাকাণ্ডের পর পরই জামায়াত-বিএনপির কিছু নেতা-নেত্রী এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছিলেন। তারপর ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য 'জজ মিয়া নাটক' সৃষ্টির মাধ্যমে ঘটনার মূল হোতাদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। মানুষ সে সময় স্তম্ভিত হয়ে দেখেছিল তৎকালীন জোট সরকারের অপচেষ্টাগুলো। তারপর ২০০৮ সালে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জোট সরকারের উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করে সিআইডির পক্ষ থেকে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে গ্রেনেডের উৎস, হামলার পরিকল্পনা এবং আরো কিছু বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আবার দীর্ঘ তদন্তের পর সিআইডির পক্ষ থেকে নতুন করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এখন বিষয়টি বিচারাধীন আছে। আদালতই নির্ধারণ করবেন, কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা। আমরা চাই, এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হোক এবং এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
আইন ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এবং বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা যেন এ দেশে একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। সরকারি দল যেমন ক্ষমতার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়াকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে, তেমনি বিরোধী দলও সত্যকে মেনে নিতে পারে না। নিজ দলের কেউ অভিযুক্ত হলেই তাকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে আখ্যায়িত করে। আদালতের রায় অনুকূলে না গেলে তারা আদালত সম্পর্কে কটূক্তি করতেও দ্বিধা করে না। আইনের শাসনে বিশ্বাসী দেশের কোনো নাগরিকেরই এটা কাম্য নয়, কাম্য হতেও পারে না। কারণ অন্যায়ের বিচার না হলে কোনো দেশ, কোনো সমাজ টিকে থাকতে পারে না। সেদিক থেকে সাধারণ মানুষের শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে বিচার বিভাগ। তাই সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া হোক, আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন থেকে বিরত থাকা হোক।
আইনের শাসনে বিশ্বাসী যেকোনো নাগরিক এই জঘন্য হামলা ও হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচারের পক্ষে। এখানে কোনো ধরনের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যেমন কাম্য নয়, তেমনি বিচার কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে_এমন কোনো অবান্তর উক্তি উচ্চারণ বা দোষারোপও কাম্য নয়। আমরা দেখেছি, ২০০৪ সালে হত্যাকাণ্ডের পর পরই জামায়াত-বিএনপির কিছু নেতা-নেত্রী এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকেই দায়ী করে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছিলেন। তারপর ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য 'জজ মিয়া নাটক' সৃষ্টির মাধ্যমে ঘটনার মূল হোতাদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল। মানুষ সে সময় স্তম্ভিত হয়ে দেখেছিল তৎকালীন জোট সরকারের অপচেষ্টাগুলো। তারপর ২০০৮ সালে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জোট সরকারের উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২২ জনকে আসামি করে সিআইডির পক্ষ থেকে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে গ্রেনেডের উৎস, হামলার পরিকল্পনা এবং আরো কিছু বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় আদালত অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আবার দীর্ঘ তদন্তের পর সিআইডির পক্ষ থেকে নতুন করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এখন বিষয়টি বিচারাধীন আছে। আদালতই নির্ধারণ করবেন, কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা। আমরা চাই, এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হোক এবং এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
আইন ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ এবং বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা যেন এ দেশে একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। সরকারি দল যেমন ক্ষমতার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে তদন্ত প্রক্রিয়াকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে, তেমনি বিরোধী দলও সত্যকে মেনে নিতে পারে না। নিজ দলের কেউ অভিযুক্ত হলেই তাকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে আখ্যায়িত করে। আদালতের রায় অনুকূলে না গেলে তারা আদালত সম্পর্কে কটূক্তি করতেও দ্বিধা করে না। আইনের শাসনে বিশ্বাসী দেশের কোনো নাগরিকেরই এটা কাম্য নয়, কাম্য হতেও পারে না। কারণ অন্যায়ের বিচার না হলে কোনো দেশ, কোনো সমাজ টিকে থাকতে পারে না। সেদিক থেকে সাধারণ মানুষের শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে বিচার বিভাগ। তাই সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতি আমাদের অনুরোধ, আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া হোক, আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন থেকে বিরত থাকা হোক।
No comments