পবিত্র কোরআনের আলো-সত্যের পথরেখা মেনে চলাই মানবজাতির জন্য কল্যাণকর
১৬৮. ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ ওয়া যালামূ লাম ইয়াকুনিল্লা-হু লিইয়াগ্ফিরা লাহুম ওয়ালা লিইয়াহ্দিইয়াহুম ত্বারীক্বা।
১৬৯. ইল্লা ত্বারীক্বা জাহান্নামা খালিদীনা ফীহা আবাদা; ওয়া কা-না যা-লিকা 'আলাল্লাহি ইয়াছীরা। ১৭০. ইয়া-আইয়্যুহান না-ছু ক্বাদ জা-আকুমুর্ রাসূলু বিলহাকি্ব মির্ রাবি্বকুম ফাআ-মিনূ খাইরান লাকুম; ওয়া ইন তাকফুরূ ফাইন্না লিল্লাহি মা ফিচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি; ওয়া কা-নাল্লাহু 'আলীমান হাকীমা।
১৬৯. ইল্লা ত্বারীক্বা জাহান্নামা খালিদীনা ফীহা আবাদা; ওয়া কা-না যা-লিকা 'আলাল্লাহি ইয়াছীরা। ১৭০. ইয়া-আইয়্যুহান না-ছু ক্বাদ জা-আকুমুর্ রাসূলু বিলহাকি্ব মির্ রাবি্বকুম ফাআ-মিনূ খাইরান লাকুম; ওয়া ইন তাকফুরূ ফাইন্না লিল্লাহি মা ফিচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি; ওয়া কা-নাল্লাহু 'আলীমান হাকীমা।
[সুরা : আন নিসা, আয়াত : ১৬৮-১৭০]
অনুবাদ
১৬৮. নিশ্চয়ই যারা সত্য পথের অবাধ্য হলো এবং অত্যাচারে লিপ্ত হলো আল্লাহ তায়ালার প্রকৃতি এটা নয় যে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেবেন, আর তিনি তাদের সঠিক পথও দেখাবেন না।
১৬৯. তাদের পথ হচ্ছে জাহান্নামের পথ; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ কাজ আল্লাহর জন্য খুবই সহজ।
১৭০. হে মানবজাতি, তোমাদের কাছে রাসুল এসেছেন তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে সত্য পথের পথরেখা নিয়ে, সুতরাং তোমরা এর ওপর দৃঢ়বিশ্বাস স্থাপন করো; এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে। তোমরা যদি তা মেনে না নিয়ে অবাধ্য হও, তবে জেনে রেখো, এই আকাশমণ্ডল, এই পৃথিবী সবই আল্লাহর। আর আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়।
ব্যাখ্যা
এ আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায়ই এসেছে। নবী-রাসুলরা আল্লাহর কাছ থেকে সত্যপথের পথরেখা নিয়ে এসেছেন, যারা এ পথকে অস্বীকার করে বা অবাধ্য হয় এবং মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচারে লিপ্ত হয় তারা ক্ষমা পাবে না; আল্লাহ তায়ালা তার প্রকৃতিতেই এই অমোঘ বিধান জারি করে রেখেছেন। আর আল্লাহ তায়ালা এদের মুক্তির পথও দেখাবেন না। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা সত্য ও মিথ্যার পথ পৃথক করেই রেখেছেন। যারা সত্য পথে চলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মিথ্যার দিকে ধাবিত হবে, তারা নিজেদের কর্মফল হিসেবেই বিভ্রান্তির পথে যাবে। আল্লাহ তায়ালা তাদের সঠিক পথ দেখাবেন না। এর মানে এই নয়, আল্লাহ তাদের পথ দেখাতে চান না। আল্লাহ সব মানুষকেই সঠিক পথ দেখাতে চান। কিন্তু জেনেশুনেও যারা সত্য পথকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর অবাধ্য হয় তারা পথ খুঁজে পাবে না। তারা যে পথে চলছে সে পথ হচ্ছে জাহান্নামের পথ, সেটা অনুশোচনার পথ। এই অনুশোচনার পথে তারা চিরকাল থাকবে।
১৭০ নম্বর আয়াতে মানবজাতির প্রতি এই আহ্বানটা আরো স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, মানুষ যেন আল্লাহর রাসুলের নির্দেশিত সত্য ও ন্যায়ের পথে চলে আসে। কারণ এটাই মানুষের কল্যাণের পথ। আল্লাহ যে মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আনতে চান এটাও মানুষের জন্যই। আল্লাহ সব প্রয়োজনের ঊধর্ে্ব। আল্লাহর প্রয়োজনে মানুষকে কিছুই করতে হবে না। আল্লাহ তায়ালা মানুষের কাছে রাসুল পাঠিয়েছেন মানুষের কল্যাণের জন্য। বিভ্রান্ত মানুষ কুফরির মাধ্যমে আল্লাহর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, তারা ক্ষতি করছে নিজেদেরই। মানুষ যদি আল্লাহর রাসুলের ডাকে সাড়া দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে আসে তবে তারাই যে কল্যাণের পথে ফিরে আসবে, এ কথাটাই এ আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ আয়াতে কাফেরদের সতর্ক করা হয়েছে এই বলে, এ পৃথিবী ও আকাশমণ্ডল সব কিছুর মালিকানা আল্লাহর। সুতরাং তারা অবাধ্য হয়ে আল্লাহর ক্ষমতার বাইরে যেতে পারবে না। মানুষের চেতনাকে জাগ্রত করার জন্য এখানে আল্লাহর অস্তিত্ব ও ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবাধ্যরা নিজেদের যতই বুদ্ধিমান ও ক্ষমতাবান মনে করুক আল্লাহর কাছে তাদের জবাবদিহি করতেই হবে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ
১৬৮. নিশ্চয়ই যারা সত্য পথের অবাধ্য হলো এবং অত্যাচারে লিপ্ত হলো আল্লাহ তায়ালার প্রকৃতি এটা নয় যে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেবেন, আর তিনি তাদের সঠিক পথও দেখাবেন না।
১৬৯. তাদের পথ হচ্ছে জাহান্নামের পথ; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ কাজ আল্লাহর জন্য খুবই সহজ।
১৭০. হে মানবজাতি, তোমাদের কাছে রাসুল এসেছেন তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে সত্য পথের পথরেখা নিয়ে, সুতরাং তোমরা এর ওপর দৃঢ়বিশ্বাস স্থাপন করো; এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে। তোমরা যদি তা মেনে না নিয়ে অবাধ্য হও, তবে জেনে রেখো, এই আকাশমণ্ডল, এই পৃথিবী সবই আল্লাহর। আর আল্লাহ তায়ালা সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়।
ব্যাখ্যা
এ আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায়ই এসেছে। নবী-রাসুলরা আল্লাহর কাছ থেকে সত্যপথের পথরেখা নিয়ে এসেছেন, যারা এ পথকে অস্বীকার করে বা অবাধ্য হয় এবং মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচারে লিপ্ত হয় তারা ক্ষমা পাবে না; আল্লাহ তায়ালা তার প্রকৃতিতেই এই অমোঘ বিধান জারি করে রেখেছেন। আর আল্লাহ তায়ালা এদের মুক্তির পথও দেখাবেন না। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা সত্য ও মিথ্যার পথ পৃথক করেই রেখেছেন। যারা সত্য পথে চলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মিথ্যার দিকে ধাবিত হবে, তারা নিজেদের কর্মফল হিসেবেই বিভ্রান্তির পথে যাবে। আল্লাহ তায়ালা তাদের সঠিক পথ দেখাবেন না। এর মানে এই নয়, আল্লাহ তাদের পথ দেখাতে চান না। আল্লাহ সব মানুষকেই সঠিক পথ দেখাতে চান। কিন্তু জেনেশুনেও যারা সত্য পথকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর অবাধ্য হয় তারা পথ খুঁজে পাবে না। তারা যে পথে চলছে সে পথ হচ্ছে জাহান্নামের পথ, সেটা অনুশোচনার পথ। এই অনুশোচনার পথে তারা চিরকাল থাকবে।
১৭০ নম্বর আয়াতে মানবজাতির প্রতি এই আহ্বানটা আরো স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, মানুষ যেন আল্লাহর রাসুলের নির্দেশিত সত্য ও ন্যায়ের পথে চলে আসে। কারণ এটাই মানুষের কল্যাণের পথ। আল্লাহ যে মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথে আনতে চান এটাও মানুষের জন্যই। আল্লাহ সব প্রয়োজনের ঊধর্ে্ব। আল্লাহর প্রয়োজনে মানুষকে কিছুই করতে হবে না। আল্লাহ তায়ালা মানুষের কাছে রাসুল পাঠিয়েছেন মানুষের কল্যাণের জন্য। বিভ্রান্ত মানুষ কুফরির মাধ্যমে আল্লাহর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না, তারা ক্ষতি করছে নিজেদেরই। মানুষ যদি আল্লাহর রাসুলের ডাকে সাড়া দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে আসে তবে তারাই যে কল্যাণের পথে ফিরে আসবে, এ কথাটাই এ আয়াতের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ আয়াতে কাফেরদের সতর্ক করা হয়েছে এই বলে, এ পৃথিবী ও আকাশমণ্ডল সব কিছুর মালিকানা আল্লাহর। সুতরাং তারা অবাধ্য হয়ে আল্লাহর ক্ষমতার বাইরে যেতে পারবে না। মানুষের চেতনাকে জাগ্রত করার জন্য এখানে আল্লাহর অস্তিত্ব ও ক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবাধ্যরা নিজেদের যতই বুদ্ধিমান ও ক্ষমতাবান মনে করুক আল্লাহর কাছে তাদের জবাবদিহি করতেই হবে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments