পেঁয়াজ নিয়ে প্রার্থনা byআসিফ আহমেদ
বাংলাদেশে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে যাদের মধ্যে ফটকাবাজির ঝোঁক রয়েছে তারা ভারতের রফতানি নীতি নির্ধারকদের হাজারবার সালাম জানাতেই পারে। তাদের এক সিদ্ধান্তে কয়েক দিনের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ তারা আমাদের ক্রেতাদের পকেট থেকে প্রায় বিনা শ্রমে ও মূলধনে কেটে নিতে পেরেছেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা একটু হিন্দি স্টাইলে বলেই ফেলুন না, 'বেঁচে থাক বাছারা!'
ভারতীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা স্থানীয় বাজারের প্রতি নজর রাখেন তাদের হঠাৎ করেই মনে হলো, শিগগির পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দেবে এবং এর প্রভাবে বাজারে দর বাড়বে। ক্রেতারা শাপান্ত করবে। অতএব, সিদ্ধান্ত_ পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দাও। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এ খবর আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেনি। কোনো রকমে খবরটি জানতে পেরেই বাজার চড়ে যেতে থাকল। রান্না সুস্বাদু করার অপরিহার্য এ পণ্যের দাম হুহু করে বেড়ে গেল। দেখতে না দেখতেই দাম দ্বিগুণ বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হতে থাকল ৪০-৪৫ টাকায়। সর্বত্র পেঁয়াজের ঝাঁঝ। যাদের গুদামে দেশীয় ও আমদানি করা পেঁয়াজের যত বেশি মজুদ ছিল, তাদের লাভের অঙ্ক তত বেশি হলো। সরকারের ভেতরে যারা বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে, তারা মনে করতে থাকলেন, আমাদের আর কী করার আছে! আন্তর্জাতিক বাজার তো আর আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না।
কিন্তু একটু খোঁজখবর করলেই তাদের কাছে আসতে পারত প্রকৃত চিত্র। ভারতে পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফল হয় মারাত্মক। সরকারের শঙ্কা ছিল_ বাজারে যাতে জোগানে ঘাটতি না পড়ে সেটা নিশ্চিত করা। সে জন্য রফতানি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভারতে প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। এ কারণে রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের প্রাচুর্য দেখা যায় এবং তার প্রভাবে দাম রাতারাতি পড়ে যায়। অনেক এলাকায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭-৮ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতে থাকে। চাষিরা সরকারের কাছে রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানায় এবং নিজেদের অবস্থান জোরালো করার জন্য কয়েকটি বড় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রাখা হয়। তাদের চাপে সরকার যদি পেঁয়াজ রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তাহলে তো বাংলাদেশে যেসব ব্যবসায়ী চিনি-তেলের মতো ফটকা খেলার আরেকটি পণ্য হাতে পেয়ে গিয়েছিল, তাদের মাথায় হাত পড়বে। এখন তাদের দোয়া-দরুদ পড়ার সময়_ কোনোভাবেই যেন ভারত সরকার রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়। তা হলে যে ২০ টাকার পণ্য ৪৫ টাকায় বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে দাম বাড়ার কারণে দেশীয় বাজারে কোটি কোটি ক্রেতার পকেট কাটা যাচ্ছে। তাদের বাজার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ভারত সরকার এ ধরনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ পেতেই পারে। এ ধরনের ফাও ব্যবসায় কোনো বিনিয়োগ দরকার পড়েনি। কোনো ব্যবসায়ী ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি করেনি। তারা নিজেদের মজুদ থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করে ফায়দা লুটছিল। যতদিন এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে ততই সুবিধা। ভারতের কৃষকদের চাপে যদি ভারত সরকার রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, সেটা বড়ই অবিবেচকের কাজ হবে। এভাবে পেটে লাথি মারার কোনো যুক্তি নেই। বেশ তো পকেটে ভালো পরিমাণ অর্থ আসছিল। কেন তাতে বাগড়া দেওয়া? কী দরকার, কৃষকদের কথা ভাবার? তার চেয়ে বাংলাদেশের ফটকা ব্যবসায়ীদের দিকে একটু তাকানোই ভালো নয় কি?
কিন্তু একটু খোঁজখবর করলেই তাদের কাছে আসতে পারত প্রকৃত চিত্র। ভারতে পেঁয়াজ রফতানির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফল হয় মারাত্মক। সরকারের শঙ্কা ছিল_ বাজারে যাতে জোগানে ঘাটতি না পড়ে সেটা নিশ্চিত করা। সে জন্য রফতানি বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভারতে প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। এ কারণে রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পেঁয়াজের প্রাচুর্য দেখা যায় এবং তার প্রভাবে দাম রাতারাতি পড়ে যায়। অনেক এলাকায় বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭-৮ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হতে থাকে। চাষিরা সরকারের কাছে রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের জোর দাবি জানায় এবং নিজেদের অবস্থান জোরালো করার জন্য কয়েকটি বড় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রাখা হয়। তাদের চাপে সরকার যদি পেঁয়াজ রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তাহলে তো বাংলাদেশে যেসব ব্যবসায়ী চিনি-তেলের মতো ফটকা খেলার আরেকটি পণ্য হাতে পেয়ে গিয়েছিল, তাদের মাথায় হাত পড়বে। এখন তাদের দোয়া-দরুদ পড়ার সময়_ কোনোভাবেই যেন ভারত সরকার রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়। তা হলে যে ২০ টাকার পণ্য ৪৫ টাকায় বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে দাম বাড়ার কারণে দেশীয় বাজারে কোটি কোটি ক্রেতার পকেট কাটা যাচ্ছে। তাদের বাজার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ভারত সরকার এ ধরনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ পেতেই পারে। এ ধরনের ফাও ব্যবসায় কোনো বিনিয়োগ দরকার পড়েনি। কোনো ব্যবসায়ী ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি করেনি। তারা নিজেদের মজুদ থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করে ফায়দা লুটছিল। যতদিন এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে ততই সুবিধা। ভারতের কৃষকদের চাপে যদি ভারত সরকার রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, সেটা বড়ই অবিবেচকের কাজ হবে। এভাবে পেটে লাথি মারার কোনো যুক্তি নেই। বেশ তো পকেটে ভালো পরিমাণ অর্থ আসছিল। কেন তাতে বাগড়া দেওয়া? কী দরকার, কৃষকদের কথা ভাবার? তার চেয়ে বাংলাদেশের ফটকা ব্যবসায়ীদের দিকে একটু তাকানোই ভালো নয় কি?
No comments