পাহাড়ধস-আর কত মৃত্যু হবে এভাবে
পাহাড়ের কান্নাকে ঝরনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে সুবীর নন্দীর গাওয়া একটি গানে। পাহাড় কি কখনো কাঁদতে পারে? এমন প্রশ্ন সেই গান শুনে যে কারো মনেই আসতে পারে। কিন্তু সেই পাহাড় যে কখন কাকে কাঁদিয়ে বসে তার ঠিক নেই। এ যেন প্রতিবছরই হতে হবে। পাহাড়ের পাশে থাকা মানুষদের কাঁদিয়ে দিয়ে যায় পাহাড়।
তাই বলে এই কান্নার জন্য পাহাড় কখনোই দায়ী হয় না। দায়ী করা যায়ও না। কারণ পাহাড়ের বুকে কোদাল চালিয়ে মানুষই সেই কারণ ঘটিয়ে থাকে। মানুষ তার নিজের প্রয়োজনে পাহাড় কেটে মাটি সরিয়ে নেয়। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারায় পাহাড়। একসময় ঢলে পড়ে যেদিকে পারে সেদিকে। মাটিচাপা পড়ে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী। এমন ঘটনা প্রতিবছরই ঘটছে। কয়েক বছরের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে অনুমান করা যাবে। এর মধ্যে ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ধসে মানুষ মারা যায় ১২৭ জন, ২০০৮ সালে ১১, ২০০৯ সালে ৪৫ ও ২০১০ সালে ৫৩ জন। এই পরিসংখ্যান দেখার পরও আমাদের টনক নড়ে না। আমরা নির্বাক পাহাড়কে বারবার আঘাত করি।
শুধু পাহাড় কাটার কারণেই পাহাড় ধসে যায়, এটাও নয়। অতিবৃষ্টির কারণে স্বাভাবিকভাবেও পাহাড়ধস হতে পারে। যেকোনো কারণেই পাহাড়ধস হোক না কেন, মানুষ সচেতন হলে এ কারণে এত মৃত্যু হতে পারে না। যেমন_গত শুক্রবার ঘটে গেল আরেকটি বিয়োগান্ত ঘটনা। চট্টগ্রাম শহরের বাটালি হিল এলাকায় পাহাড়ধসে ১৭ জনের সমাধি রচিত হলো। অথচ পাহাড়ধস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেখানে নিরাপত্তা দেয়ালও ছিল। কিন্তু সেই দেয়ালের পাশের ২০টি ঘর চাপা পড়েছে বলে মানুষ বলেছে। প্রশ্ন এখানেই। আজ কয়েক দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। এমন বৃষ্টির সময় পাহাড় ধসে যাওয়ার ঘটনা প্রতিবছরই ঘটে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে যদি সিটি করপোরেশন যথাযথ ব্যবস্থা নিত, তাহলে হয়তো এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না। যদিও বিভিন্ন মহল থেকেই বলা হচ্ছে, পাশের একটি স্কুলঘরে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল; কিন্তু অধিবাসীরা সেখানে না থেকে যার যার ঘরে চলে গিয়েছিল। কথা হচ্ছে, পাহাড়-লাগোয়া এসব বাড়ি নির্মাণের সময় কি চট্টগ্রামের কারো চোখে পড়েনি? কিংবা সিটি করপোরেশন থেকে এ ব্যাপারে কোনো সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল কি? টাইগারপাস ও বাটালি হিলের মতো এমন বিপজ্জনক স্থান চট্টগ্রামে আরো রয়েছে। সেসব জায়গা থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা যে নেই, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বর্ষা শুরু হয়েছে মাত্র। এখনো বলা যায় না, এই মৃত্যু-ঘটনাই শেষ কি না। ভবিষ্যতে যাতে আর কাউকে এমন ঘটনার সংবাদ পড়তে না হয়, সেদিকে প্রত্যেকের দৃষ্টি রাখতে হবে।
শুধু পাহাড় কাটার কারণেই পাহাড় ধসে যায়, এটাও নয়। অতিবৃষ্টির কারণে স্বাভাবিকভাবেও পাহাড়ধস হতে পারে। যেকোনো কারণেই পাহাড়ধস হোক না কেন, মানুষ সচেতন হলে এ কারণে এত মৃত্যু হতে পারে না। যেমন_গত শুক্রবার ঘটে গেল আরেকটি বিয়োগান্ত ঘটনা। চট্টগ্রাম শহরের বাটালি হিল এলাকায় পাহাড়ধসে ১৭ জনের সমাধি রচিত হলো। অথচ পাহাড়ধস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সেখানে নিরাপত্তা দেয়ালও ছিল। কিন্তু সেই দেয়ালের পাশের ২০টি ঘর চাপা পড়েছে বলে মানুষ বলেছে। প্রশ্ন এখানেই। আজ কয়েক দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। এমন বৃষ্টির সময় পাহাড় ধসে যাওয়ার ঘটনা প্রতিবছরই ঘটে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে যদি সিটি করপোরেশন যথাযথ ব্যবস্থা নিত, তাহলে হয়তো এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না। যদিও বিভিন্ন মহল থেকেই বলা হচ্ছে, পাশের একটি স্কুলঘরে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল; কিন্তু অধিবাসীরা সেখানে না থেকে যার যার ঘরে চলে গিয়েছিল। কথা হচ্ছে, পাহাড়-লাগোয়া এসব বাড়ি নির্মাণের সময় কি চট্টগ্রামের কারো চোখে পড়েনি? কিংবা সিটি করপোরেশন থেকে এ ব্যাপারে কোনো সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল কি? টাইগারপাস ও বাটালি হিলের মতো এমন বিপজ্জনক স্থান চট্টগ্রামে আরো রয়েছে। সেসব জায়গা থেকে মানুষ সরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা যে নেই, তা সহজেই অনুমান করা যায়। বর্ষা শুরু হয়েছে মাত্র। এখনো বলা যায় না, এই মৃত্যু-ঘটনাই শেষ কি না। ভবিষ্যতে যাতে আর কাউকে এমন ঘটনার সংবাদ পড়তে না হয়, সেদিকে প্রত্যেকের দৃষ্টি রাখতে হবে।
No comments