আসল পুলিশ কোথায় গেল?-নকল পুলিশের অত্যাচার থেকে রক্ষা করুন
ডাকাত বা ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাঁচতে আপনি দৌড়ে পুলিশের কাছে গিয়ে আশ্রয় নিলেন। কিন্তু একটু পরই আপনি যদি দেখেন যে ওরাও ডাকাত, পুলিশ সেজে ডাকাতি করছে, তাহলে আপনি কার কাছে যাবেন? দিশেহারা হয়ে নিজেকে তাদের হাতে সমর্পণ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে কি? বৃহস্পতিবারের কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সারা দেশেই পুলিশ সেজে ডাকাতির ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে।
কোথাও কোথাও এদের সঙ্গে এক শ্রেণীর অসৎ পুলিশ সদস্যের যোগাযোগ থাকার অভিযোগও উঠেছে। বছর পাঁচেক আগে বিগত জোট সরকারের আমলেও র্যাব-পুলিশ সেজে ডাকাতির ঘটনা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় তা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। এখন আবার তা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষও নতুন করে আতঙ্কিত
হয়ে পড়ছে।
এমনিতেই দেশের পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা খুব একটা ভালো নয়। পুলিশের কাছে গিয়ে কোনো প্রতিকার তো পাওয়াই যায় না, উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়_এমন ধারণা অনেক মানুষের। অবশ্য এ ধারণাটি নতুন নয় অনেক পুরনো। গত শতকের মাঝামাঝিতে লেখা মনোজ বসুর 'নিশিকুটুম্ব' উপন্যাসটি তা-ই বলে। তাতে দেখানো হয়, একজন দারোগা সৎ থাকতে চাইলেও পারিপাশ্বর্িক অবস্থা তাঁকে সৎ থাকতে দেয় না, সৎ থাকতে গিয়ে উল্টো তিনি নানা নিগ্রহের শিকার হন। তার পরও পুলিশের ভাবমূর্তি কখনোই এতটা খারাপ ছিল না, যা বর্তমান বাংলাদেশে দেখা যায়। নিকট-অতীতে পুলিশের এই ভাবমূর্তির সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তারও কোনো প্রতিফলন পাচ্ছি না। এ জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে যে ধরনের সদিচ্ছার পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন, তাও আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তাই পুলিশ সম্পর্কে আমজনতার নেতিবাচক ধারণা থেকেই যাচ্ছে। শিগগিরই তা বদলাবে_আশান্বিত হওয়ার এমন কোনো কারণও ঘটেনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এমনিতেই মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। তার ওপর পুলিশ সেজে ডাকাতির ঘটনা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতোই। তাই কেউ কেউ পরিহাসের সুরে বলে থাকেন, আসল পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে, নকল পুলিশ তো সক্রিয় হবেই! প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ব্যাংক থেকে ব্যাংকে টাকা নেওয়ার সময় বগুড়ায় প্রাকাশ্য দিনের বেলায় টাকার বস্তা লুট করে নিয়ে গেছে পুলিশরূপী ডাকাত দল। এরা অস্ত্র ও ওয়াকিটকি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ব্যাংক থেকে যারা বেশি টাকা তোলে তাদের পিছু নেয়। তাহলে আসল পুলিশ কোথায় থাকে, কী করে_তা নিয়ে মানুষের মনে তো প্রশ্ন জাগবেই। নকল পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হলে পুলিশ বিভাগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে এবং শৃঙ্খলা বাড়াতে হবে। দলীয়করণ, অনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সরকারদলীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে ভীত থাকলে কিংবা কোনো কর্মকর্তা বিশেষ প্রশ্রয় পেলে তাদের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করা তো সম্ভবই নয়; বরং তাতে বাহিনীগত শৃঙ্খলাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আশা করি, আসল পুলিশকে সক্রিয় ও শক্তিশালী করে নকল পুলিশের অত্যাচার থেকে দেশবাসীকে নিষ্কৃতি দিতে অচিরেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
হয়ে পড়ছে।
এমনিতেই দেশের পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা খুব একটা ভালো নয়। পুলিশের কাছে গিয়ে কোনো প্রতিকার তো পাওয়াই যায় না, উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়_এমন ধারণা অনেক মানুষের। অবশ্য এ ধারণাটি নতুন নয় অনেক পুরনো। গত শতকের মাঝামাঝিতে লেখা মনোজ বসুর 'নিশিকুটুম্ব' উপন্যাসটি তা-ই বলে। তাতে দেখানো হয়, একজন দারোগা সৎ থাকতে চাইলেও পারিপাশ্বর্িক অবস্থা তাঁকে সৎ থাকতে দেয় না, সৎ থাকতে গিয়ে উল্টো তিনি নানা নিগ্রহের শিকার হন। তার পরও পুলিশের ভাবমূর্তি কখনোই এতটা খারাপ ছিল না, যা বর্তমান বাংলাদেশে দেখা যায়। নিকট-অতীতে পুলিশের এই ভাবমূর্তির সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আমাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তারও কোনো প্রতিফলন পাচ্ছি না। এ জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে যে ধরনের সদিচ্ছার পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন, তাও আমরা দেখতে পাচ্ছি না। তাই পুলিশ সম্পর্কে আমজনতার নেতিবাচক ধারণা থেকেই যাচ্ছে। শিগগিরই তা বদলাবে_আশান্বিত হওয়ার এমন কোনো কারণও ঘটেনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এমনিতেই মানুষ দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। তার ওপর পুলিশ সেজে ডাকাতির ঘটনা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতোই। তাই কেউ কেউ পরিহাসের সুরে বলে থাকেন, আসল পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলে, নকল পুলিশ তো সক্রিয় হবেই! প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ব্যাংক থেকে ব্যাংকে টাকা নেওয়ার সময় বগুড়ায় প্রাকাশ্য দিনের বেলায় টাকার বস্তা লুট করে নিয়ে গেছে পুলিশরূপী ডাকাত দল। এরা অস্ত্র ও ওয়াকিটকি হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ব্যাংক থেকে যারা বেশি টাকা তোলে তাদের পিছু নেয়। তাহলে আসল পুলিশ কোথায় থাকে, কী করে_তা নিয়ে মানুষের মনে তো প্রশ্ন জাগবেই। নকল পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হলে পুলিশ বিভাগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে এবং শৃঙ্খলা বাড়াতে হবে। দলীয়করণ, অনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সরকারদলীয় প্রভাবশালীদের ভয়ে ভীত থাকলে কিংবা কোনো কর্মকর্তা বিশেষ প্রশ্রয় পেলে তাদের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজ করা তো সম্ভবই নয়; বরং তাতে বাহিনীগত শৃঙ্খলাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আশা করি, আসল পুলিশকে সক্রিয় ও শক্তিশালী করে নকল পুলিশের অত্যাচার থেকে দেশবাসীকে নিষ্কৃতি দিতে অচিরেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
No comments