হিযবুত তাহ্রীরের মিছিল-জঙ্গিবাদের পুনরুত্থান ঠেকাতেই হবে
সম্প্রতি নিষিদ্ধ জঙ্গিবাদী সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে দেশে আবার সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে যাচ্ছে। এদের কয়েক শ কর্মী গত শনিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন এলাকায় মিছিল করেছে। এর সপ্তাহখানেক আগে তারা প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে মিছিল করেছে। চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরেও তারা এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সম্প্রতি র্যাব ও পুলিশের হাতে 'জিহাদি' বই, লিফলেট, পোস্টারসহ হিজবুত তাহরিরের বেশ কিছু কর্মী আটক হয়েছে এবং এদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এ থেকে বোঝা যায়, নিষিদ্ধ করা হলেও এদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকেনি, বরং এরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। এখন পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূল মনে করায় তারা মাঠে নামার চেষ্টা করছে।
সরকার মুখে যত কথাই বলুক না কেন, অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো জঙ্গিবাদ মোকাবিলায়ও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তা না হলে দুই দিন আগে নীলক্ষেতে বিলি করা লিফলেটের ঘোষণা মোতাবেক কয়েক শ কর্মী রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে মিছিল বের করলেও পুলিশ ঘণ্টাখানেক পর তাদের গতিরোধ করে কেন? কার্যত দেখা গেল, পকেটের চিন্তায় মশগুল গোয়েন্দা পুলিশ এদের কোনো তথ্যই রাখে না। যেখানে কয়েক শ কর্মীর মিছিল করার আগাম তথ্য গোয়েন্দা পুলিশ রাখতে পারে না, সেখানে কয়েকজন কর্মীর বোমা হামলার পরিকল্পনার কথা তারা আগাম জানবে কী করে? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষে তা জানার প্রশ্নই ওঠে না। এ ক্ষেত্রে পুলিশেরই একটি অংশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব কিছুটা হলেও তাদের সক্রিয়তার প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। তারা গত শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও জিগাতলা থেকে হিযবুত তাহ্রীরের চার কর্মীকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে লিফলেট, পোস্টার, জিহাদি বইসহ বেশ কিছু মালামাল জব্দ করেছে। কিন্তু কেবল তাদের পক্ষে জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকিয়ে রাখা কি সম্ভব? দেশে যখন সুশাসনের অভাব হয়, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন সংঘাতময় হয়ে ওঠে, তখনই অন্ধকারের শক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বর্তমান সরকার কিংবা সরকারি দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে এই বোধটি ঠিকভাবে কাজ করে না। ফলে রাজনীতি তার সুস্থতা হারাচ্ছে, সংঘাতের পথে পা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিই অন্ধকারের শক্তিকে বেপরোয়া হয়ে ওঠার, প্রকাশ্যে আসার পথ করে দেবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বিগত জোট সরকারের আমলে দেশে জঙ্গিবাদের নামে যে ভয়াবহ অবস্থা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পাকিস্তানে এখনো জঙ্গিবাদের কারণ যেসব হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে চলেছে, বাংলাদেশে সেই ভয়ংকর দিনগুলোর পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে চাই না। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা আন্দাজ করে জঙ্গিবাদের পুনরুত্থান রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। এর পাশাপাশি, আমরা চাই, দেশে রাজনীতির সুস্থ পরিবেশ বিরাজ করুক।
সরকার মুখে যত কথাই বলুক না কেন, অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো জঙ্গিবাদ মোকাবিলায়ও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। তা না হলে দুই দিন আগে নীলক্ষেতে বিলি করা লিফলেটের ঘোষণা মোতাবেক কয়েক শ কর্মী রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে মিছিল বের করলেও পুলিশ ঘণ্টাখানেক পর তাদের গতিরোধ করে কেন? কার্যত দেখা গেল, পকেটের চিন্তায় মশগুল গোয়েন্দা পুলিশ এদের কোনো তথ্যই রাখে না। যেখানে কয়েক শ কর্মীর মিছিল করার আগাম তথ্য গোয়েন্দা পুলিশ রাখতে পারে না, সেখানে কয়েকজন কর্মীর বোমা হামলার পরিকল্পনার কথা তারা আগাম জানবে কী করে? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষে তা জানার প্রশ্নই ওঠে না। এ ক্ষেত্রে পুলিশেরই একটি অংশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাব কিছুটা হলেও তাদের সক্রিয়তার প্রমাণ রেখে যাচ্ছে। তারা গত শনিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও জিগাতলা থেকে হিযবুত তাহ্রীরের চার কর্মীকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে লিফলেট, পোস্টার, জিহাদি বইসহ বেশ কিছু মালামাল জব্দ করেছে। কিন্তু কেবল তাদের পক্ষে জঙ্গিবাদের উত্থান ঠেকিয়ে রাখা কি সম্ভব? দেশে যখন সুশাসনের অভাব হয়, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন সংঘাতময় হয়ে ওঠে, তখনই অন্ধকারের শক্তিরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বর্তমান সরকার কিংবা সরকারি দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে এই বোধটি ঠিকভাবে কাজ করে না। ফলে রাজনীতি তার সুস্থতা হারাচ্ছে, সংঘাতের পথে পা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিই অন্ধকারের শক্তিকে বেপরোয়া হয়ে ওঠার, প্রকাশ্যে আসার পথ করে দেবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
বিগত জোট সরকারের আমলে দেশে জঙ্গিবাদের নামে যে ভয়াবহ অবস্থা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পাকিস্তানে এখনো জঙ্গিবাদের কারণ যেসব হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে চলেছে, বাংলাদেশে সেই ভয়ংকর দিনগুলোর পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে চাই না। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা আন্দাজ করে জঙ্গিবাদের পুনরুত্থান রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। এর পাশাপাশি, আমরা চাই, দেশে রাজনীতির সুস্থ পরিবেশ বিরাজ করুক।
No comments