প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলের মত গুরুত্ব পাক-মনোনয়ন-বাণিজ্য
মনোনয়ন-বাণিজ্য নিয়ে মুখ খোলার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে ধন্যবাদ। এই অপ্রিয় সত্য শুধু ভোটের আগে কিছুটা আলোচনায় এলেও পরে তা হারিয়ে যায়। তিনি বলেছেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশেই অর্থের বিনিময়ে মনোনয়ন বা নেতা নির্বাচন করা হয় না। একমাত্র বাংলাদেশেই এটা সম্ভব হয়।’ এটি এমন একটি সমস্যা, যা কোনো দলের একক সমস্যা নয়।
বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র কার্যকর থাকলেও দলগুলোতে গণতন্ত্র নেই। মনোনয়ন-বাণিজ্যের বিষয়টি জেঁকে বসেছে সে কারণেই।
রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে কম কথা বলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের প্রশ্নে। ক্ষমতার জন্য দলগুলো গত দুই দশকে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য যত শক্তি ও সময় ব্যয় করেছে, তার সিকি ভাগও যদি নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হতো, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত অনেক বেশি মজবুত হতো। সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘ঢাকায় বসে যাঁরা নেতা-নেত্রী হয়েছেন, তাঁরা ছাড়া মাঠপর্যায়ের সদস্যদের আগে তেমন কোনো মূল্যায়ন ছিল না।’ তাঁর এ কথায় মনে হতে পারে, এখন মূল্যায়ন চলছে, সেটাও খুব সত্য নয়। হতে পারে দৃষ্টিভঙ্গির কিছু পরিবর্তন ঘটছে। কিন্তু সেটা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর।
গত জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূল পর্যায়ের ভোটাভুটি বাধ্যতামূলক করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হয়নি। তৃণমূলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও কেউ কেউ দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কী ধরনের প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত উল্টে যেতে পারে, তা দেশবাসীর পক্ষে অনুমান করা কঠিন নয়। সন্দেহ নেই, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়া—মাত্র ছয় বছরের ব্যবধানে দু-দুটি হত্যাকাণ্ডে বিধ্বস্ত ও স্তম্ভিত বাংলাদেশের রাজনীতি শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে বেছে নিয়েছিল।
বিশ্বের বহু দেশে সাংবিধানিকভাবে, কোথাও কনভেনশন করে, শীর্ষ পদের মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এর অর্থ এই নয় যে একাদিক্রমে কেউ দুই মেয়াদ নির্বাচিত হলে পরে তিনি ব্যর্থ কিংবা অকর্মণ্য হয়ে পড়েন। যোগ্যতমকেও নতুনদের জন্য পদ ছেড়ে দিতে হয়, এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু বাংলাদেশে এই নিয়ম শুধু শীর্ষ পদেই আটকে রাখা হয়নি, গণতান্ত্রিকভাবে নেতৃত্বের অদলবদলের দরজা তৃণমূলেও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দুই বড় দলের বহু কমিটির শীর্ষস্থানীয় পদে বহু লোক বছরের পর বছর আঁকড়ে ধরে আছেন। তাই নেতৃত্বের স্বাভাবিক বিকাশও রুদ্ধ। এতে সমাজে যে বিরাট রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়, তার পথ ধরেই আসেন কালোটাকাওয়ালারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাষায় ‘যাঁরা প্রভাবশালী এবং অঢেল অর্থের মালিক, তাঁরা এলাকায় না এসেও অর্থের জোরে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন লাভ করেছেন।’ এখন এই অপসংস্কৃতি রোধে রাজনৈতিক দলগুলোকে সবিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রতিটি দলের সদস্যকে তাঁদের সদস্যপদ নবায়ন করতে হবে। চাঁদা দিতে হবে। তাঁদের আইডি কার্ড থাকবে। দল বদলে একটা লিখিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে সর্বপর্যায়ে প্রার্থী বাছাই নিশ্চিত করা গেলেই গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে কম কথা বলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের প্রশ্নে। ক্ষমতার জন্য দলগুলো গত দুই দশকে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য যত শক্তি ও সময় ব্যয় করেছে, তার সিকি ভাগও যদি নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হতো, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভিত অনেক বেশি মজবুত হতো। সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘ঢাকায় বসে যাঁরা নেতা-নেত্রী হয়েছেন, তাঁরা ছাড়া মাঠপর্যায়ের সদস্যদের আগে তেমন কোনো মূল্যায়ন ছিল না।’ তাঁর এ কথায় মনে হতে পারে, এখন মূল্যায়ন চলছে, সেটাও খুব সত্য নয়। হতে পারে দৃষ্টিভঙ্গির কিছু পরিবর্তন ঘটছে। কিন্তু সেটা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর।
গত জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূল পর্যায়ের ভোটাভুটি বাধ্যতামূলক করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হয়নি। তৃণমূলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েও কেউ কেউ দলীয় মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কী ধরনের প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত উল্টে যেতে পারে, তা দেশবাসীর পক্ষে অনুমান করা কঠিন নয়। সন্দেহ নেই, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়া—মাত্র ছয় বছরের ব্যবধানে দু-দুটি হত্যাকাণ্ডে বিধ্বস্ত ও স্তম্ভিত বাংলাদেশের রাজনীতি শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে বেছে নিয়েছিল।
বিশ্বের বহু দেশে সাংবিধানিকভাবে, কোথাও কনভেনশন করে, শীর্ষ পদের মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এর অর্থ এই নয় যে একাদিক্রমে কেউ দুই মেয়াদ নির্বাচিত হলে পরে তিনি ব্যর্থ কিংবা অকর্মণ্য হয়ে পড়েন। যোগ্যতমকেও নতুনদের জন্য পদ ছেড়ে দিতে হয়, এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু বাংলাদেশে এই নিয়ম শুধু শীর্ষ পদেই আটকে রাখা হয়নি, গণতান্ত্রিকভাবে নেতৃত্বের অদলবদলের দরজা তৃণমূলেও বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দুই বড় দলের বহু কমিটির শীর্ষস্থানীয় পদে বহু লোক বছরের পর বছর আঁকড়ে ধরে আছেন। তাই নেতৃত্বের স্বাভাবিক বিকাশও রুদ্ধ। এতে সমাজে যে বিরাট রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়, তার পথ ধরেই আসেন কালোটাকাওয়ালারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাষায় ‘যাঁরা প্রভাবশালী এবং অঢেল অর্থের মালিক, তাঁরা এলাকায় না এসেও অর্থের জোরে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন লাভ করেছেন।’ এখন এই অপসংস্কৃতি রোধে রাজনৈতিক দলগুলোকে সবিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রতিটি দলের সদস্যকে তাঁদের সদস্যপদ নবায়ন করতে হবে। চাঁদা দিতে হবে। তাঁদের আইডি কার্ড থাকবে। দল বদলে একটা লিখিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে সর্বপর্যায়ে প্রার্থী বাছাই নিশ্চিত করা গেলেই গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হবে।
No comments