পবিত্র কোরআনের আলো-আহলে কিতাবদের তিন খোদার তত্ত্ব থেকে ফিরে আসার আহ্বান
১৭১. ইয়া আহ্লাল কিতাবি লা তাগলূ ফী দীনিকুম ওয়া লা তাক্বূলূ 'আলাল্লাহি ইল্লাল হাক্কা; ইন্নামাল মাছীহু ঈছাব্নু মারইয়ামা রাছূলুল্লাহি ওয়া কালিমাতুহূ; আলক্বা-হা ইলা মারইয়ামা, ওয়ারূহুম্ মিনহু; ফাআ-মিনূ বিল্লাহি ওয়ারুছুলিহি; ওয়া লা তাক্বূলূ ছালাছাতুন; ইনতাহূ খাইরান লাকুম; ইন্নামাল্লা-হু ইলা-হুওঁ ওয়া-হিদুন; ছুবহানাহূ আন ইয়্যাকূনা লাহূ ওয়ালাদুন; লাহূ মা ফিচ্ছামাওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি; ওয়া কাফা বিল্লাহি ওয়াকীলা।
১৭২. লান ইয়্যাছ্তানকিফাল মাছীহু আন ইয়্যাকূনা 'আবদান লিল্লাহি ওয়া লালমালাইকাতুল মুক্বার্রাবূন; ওয়া মান ইয়্যাছ্তানকিফ্ 'আন 'ইবা-দাতিহি ওয়া ইয়াছ্তাকবির্ ফাছাইয়াহ্শুরুহুম ইলাইহি জামী'আ।
[সুরা : আন নিসা, আয়াত : ১৭১-৭২]
অনুবাদ : ১৭১. হে আহলে কিতাব. (ইহুদি ও খ্রিস্টান) তোমরা নিজেদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর বরাত দিয়ে সত্য ছাড়া মিথ্যা বলো না।
(সত্য তো এই যে) মারইয়্যামের পুত্র মাসীহ ছিলেন একজন রাসুল ও তাঁর এমন এক বাণী, যা তিনি মারইয়্যামের কাছে প্রেরণ করেছেন এবং তিনি ছিলেন আল্লাহর কাছ থেকে পাঠানো এক 'আত্মা'। অতএব তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর ইমান আনো, আর এ কথা বলো না যে প্রভু তিনজন। এ মিথ্যা থেকে তোমরা বেঁচে থাকো, তাহলে এটাই হবে তোমাদের জন্য উত্তম। নি:সন্দেহে আল্লাহ তায়ালা এক প্রভু মাত্র। তিনি এই অবস্থা থেকে পবিত্র যে তাঁর সন্তান থাকবে। এই প্রথিবীতে এবং আকাশমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর। আর সেই আল্লাহই একমাত্র অভিভাবক।
১৭২. মাসিহ কখনো নিজেকে আল্লাহর বান্দা পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি, আর আল্লাহর একান্ত ঘনিষ্ঠ ফেরেশতারাও তা করেনি। কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর বন্দিগী করাকে সত্যিই লজ্জার বিষয় মনে করে এবং অহংকার করে (তবে তারা মনে রাখুক) আল্লাহ এদের সবাইকে শাস্তি দানের জন্য একত্রিত করবেন।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোতে আহলে কিতাবের বিশেষ করে খ্রিস্টানদের কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাস খণ্ডন করা হয়েছে। খ্রিস্টানদের কেউ কেউ ঈসা মাসিহকে আল্লাহর পুত্র বলে দাবি করে। আসলে এটা আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করা ছাড়া আর কিছু নয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করা হয়। ঈসা সম্পর্কেও ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তায়ালা এই বিশ্বজাহানের একক মাবুদ, তিনি সন্তানের জন্মদাতা হওয়ার মতো অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। খ্রিস্টান সম্প্রদায় তাদের চিন্তাচেতনা ও বিশ্বাসকে বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যেতে যেতে তিন খোদার তত্ত্বে গিয়ে পেঁৗছে। তারা আল্লাহর সঙ্গে তাঁর রাসুল ঈসাকে তাঁর সন্তান হিসেবে দাঁড় করায়, তৃতীয় খোদা হিসেবে কেউ কেউ জিবরাইল ফেরেশতাকে, আবার কেউ কেউ মাতা মারইয়্যামকে দাঁড় করায়। তারা মারইয়্যামপুত্র ঈসাকে আল্লাহর আসনে বসাতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। এ ভাবেই খ্রিস্টানরা একত্ববাদের শিক্ষাকে বিকৃত করে শিরকে উপনীত হয়েছে। এই আয়াতগুলোতে খ্রিস্টানদের এসব ভ্রান্ত বিশ্বাস পরিহার করে একত্ববাদে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১৭২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, স্বয়ং ঈসা মাসিহ কখনো নিজেকে আল্লাহর পুত্র বলে দাবি করেননি, বরং তিনি সব সময় নিজেকে আল্লাহর বান্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন। আল্লাহর বান্দা বলে পরিচয় দিতে তিনি কখনো কুণ্ঠাবোধ করেননি এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠ ফেরেশতারাও তাঁকে আল্লাহর বান্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন। তাওহিদ হচ্ছে এই আকিদায় বিশ্বাস যে, বিশ্বজগত এক আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে অন্য কারো কোনোরকম হিস্যা নেই। ঈসা মাসিহকে আল্লাহ তায়ালা নবী বানিয়ে পাঠিয়েছিলেন এই একত্ববাদের শিক্ষায় মানুষকে উজ্জীবিত করার জন্যই। অথচ মানুষ নির্বুদ্ধিতাবশত তাঁকেই আল্লাহর সঙ্গে শরিক বানায়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : আন নিসা, আয়াত : ১৭১-৭২]
অনুবাদ : ১৭১. হে আহলে কিতাব. (ইহুদি ও খ্রিস্টান) তোমরা নিজেদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর বরাত দিয়ে সত্য ছাড়া মিথ্যা বলো না।
(সত্য তো এই যে) মারইয়্যামের পুত্র মাসীহ ছিলেন একজন রাসুল ও তাঁর এমন এক বাণী, যা তিনি মারইয়্যামের কাছে প্রেরণ করেছেন এবং তিনি ছিলেন আল্লাহর কাছ থেকে পাঠানো এক 'আত্মা'। অতএব তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর ইমান আনো, আর এ কথা বলো না যে প্রভু তিনজন। এ মিথ্যা থেকে তোমরা বেঁচে থাকো, তাহলে এটাই হবে তোমাদের জন্য উত্তম। নি:সন্দেহে আল্লাহ তায়ালা এক প্রভু মাত্র। তিনি এই অবস্থা থেকে পবিত্র যে তাঁর সন্তান থাকবে। এই প্রথিবীতে এবং আকাশমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তাঁর। আর সেই আল্লাহই একমাত্র অভিভাবক।
১৭২. মাসিহ কখনো নিজেকে আল্লাহর বান্দা পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি, আর আল্লাহর একান্ত ঘনিষ্ঠ ফেরেশতারাও তা করেনি। কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর বন্দিগী করাকে সত্যিই লজ্জার বিষয় মনে করে এবং অহংকার করে (তবে তারা মনে রাখুক) আল্লাহ এদের সবাইকে শাস্তি দানের জন্য একত্রিত করবেন।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোতে আহলে কিতাবের বিশেষ করে খ্রিস্টানদের কিছু ভ্রান্ত বিশ্বাস খণ্ডন করা হয়েছে। খ্রিস্টানদের কেউ কেউ ঈসা মাসিহকে আল্লাহর পুত্র বলে দাবি করে। আসলে এটা আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করা ছাড়া আর কিছু নয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করা হয়। ঈসা সম্পর্কেও ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তায়ালা এই বিশ্বজাহানের একক মাবুদ, তিনি সন্তানের জন্মদাতা হওয়ার মতো অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র। খ্রিস্টান সম্প্রদায় তাদের চিন্তাচেতনা ও বিশ্বাসকে বিভ্রান্তির দিকে নিয়ে যেতে যেতে তিন খোদার তত্ত্বে গিয়ে পেঁৗছে। তারা আল্লাহর সঙ্গে তাঁর রাসুল ঈসাকে তাঁর সন্তান হিসেবে দাঁড় করায়, তৃতীয় খোদা হিসেবে কেউ কেউ জিবরাইল ফেরেশতাকে, আবার কেউ কেউ মাতা মারইয়্যামকে দাঁড় করায়। তারা মারইয়্যামপুত্র ঈসাকে আল্লাহর আসনে বসাতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। এ ভাবেই খ্রিস্টানরা একত্ববাদের শিক্ষাকে বিকৃত করে শিরকে উপনীত হয়েছে। এই আয়াতগুলোতে খ্রিস্টানদের এসব ভ্রান্ত বিশ্বাস পরিহার করে একত্ববাদে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
১৭২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, স্বয়ং ঈসা মাসিহ কখনো নিজেকে আল্লাহর পুত্র বলে দাবি করেননি, বরং তিনি সব সময় নিজেকে আল্লাহর বান্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন। আল্লাহর বান্দা বলে পরিচয় দিতে তিনি কখনো কুণ্ঠাবোধ করেননি এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠ ফেরেশতারাও তাঁকে আল্লাহর বান্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন। তাওহিদ হচ্ছে এই আকিদায় বিশ্বাস যে, বিশ্বজগত এক আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে অন্য কারো কোনোরকম হিস্যা নেই। ঈসা মাসিহকে আল্লাহ তায়ালা নবী বানিয়ে পাঠিয়েছিলেন এই একত্ববাদের শিক্ষায় মানুষকে উজ্জীবিত করার জন্যই। অথচ মানুষ নির্বুদ্ধিতাবশত তাঁকেই আল্লাহর সঙ্গে শরিক বানায়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments