পবিত্র কোরআনের আলো-কোরআনের আলোকিত শিক্ষা যারা মজবুতভাবে আঁকড়ে থাকবে, তারাই সফল
১৭৩. ফাআম্মা ল্লাযীনা আ-মানূ ওয়াআ'মিলু চ্ছা-লিহা-তি ফাইউওয়াফ্ফীহিম উজূরাহুম ওয়াইয়াযীদুহুম্ মিন্ ফাদ্বলিহী; ওয়াআম্মা-ল্লাযীনাছ্ তানকাফূ ওয়াছতাকবারূ ফাইউআ'য্যিবুহুম আ'যা-বান আ'লীমা-; ওয়ালাইয়াজিদূনা লাহুম্ মিন্ দূনি ল্লা-হি ওয়ালিইয়্যাওঁ ওয়ালা-নাসীরা-।
১৭৪. ইয়া-আইয়্যুহা ন্না-ছু ক্বাদ জা-আকুম বুরহানুম্ মির্ রাবি্বকুম ওয়াআনযালনা-ইলাইকুম নূরাম্ মুবীনা-।
১৭৫. ফাআম্মা ল্লাযীনা আ-মানূ বিল্লা-হি ওয়া'তাসিমূ বিহী ফাছাইউদ্খিলুহুম ফী রাহ্মাতিম্ মিনহু ওয়াফাদ্বলিওঁয়াইয়াহ্দীহিম ইলাইহি সিরা-ত্বাম্ মুছতাক্বীমা-।
[সুরা : আন নিসা, আয়াত : ১৭৩-৭৫]
অনুবাদ : ১৭৩. অতঃপর যেসব মানুষ ইমান এনেছে এবং ভালো কাজ করেছে, তাদের প্রতিদান আল্লাহতায়ালা পুরোপুরি দেবেন। তিনি তাঁর অনুগ্রহের মাধ্যমে তা আরো বাড়িয়ে দেবেন। অন্যদিকে, যারা আল্লাহর বিধান মেনে নিতে কুণ্ঠাবোধ করল এবং অহংকার করল, তাদের তিনি কঠোর শাস্তি দেবেন। তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো অভিভাবক পাবে না, সাহায্যকারীও পাবে না।
১৭৪. হে মানব জাতি, তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে তোমাদের কাছে (রাসুল মুহাম্মদ) একটি স্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে এসেছে এবং আমি তোমাদের কাছে (তাঁর মাধ্যমে) একটি উজ্জ্বল আলো অবতীর্ণ করেছি (সেটা হলো কোরআন মজিদ)।
১৭৫. অতঃপর যারা আল্লাহর ওপর ইমান আনল এবং এই কোরআনের শিক্ষাকে মজবুতভাবে আঁকড়ে থাকল, তাদের আল্লাহ অচিরেই তাঁর অফুরন্ত দয়া ও বৈভবে প্রবেশ করাবেন এবং তাদের তিনি তাঁর সানি্নধ্য লাভের সঠিক পথে পরিচালিত করবেন।
ব্যাখ্যা : ১৭৩ নম্বর আয়াতে মূলত খ্রিস্টানদের উদ্দেশ্য করেই কথা বলা হয়েছে। খ্রিস্টানরা আল্লাহর ইবাদত করত, এ ব্যাপারে মুসলমানদের সঙ্গে কোনো দ্বিমত ছিল না। কিন্তু কার্যত তারা একত্ববাদ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। তারা ঈসা মাসিহকে আল্লাহর পুত্র বানিয়ে নেয়, যা আল্লাহর পবিত্রতার ধারণার পুরোপুরি লঙ্ঘন। তা ছাড়া মাতা মারইয়্যাম সম্পর্কেও তারা বিভ্রান্তিকর ধারণা পোষণ করতে থাকে। এভাবে তারা তিন খোদার তত্ত্ব দাঁড় করায়। এসব বিভ্রান্তি থেকে বের হয়ে আসার পথে তাদের সামনে প্রধান বাধাটা ছিল তারা নিজেদের অহমিকাবশত নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে মেনে নিতে কুণ্ঠাবোধ করত। এটা একদিকে ছিল তাদের অহংকার এবং অন্যদিকে কায়েমি স্বার্থ রক্ষার তাগিদ। নবী মুহাম্মদের নবুয়ত মেনে তাঁর ওপর ইমান আনলে তাদের স্বার্থ নষ্ট হবে, গুরুত্ব কমে যাবে ইত্যাদি ভেবে তারা অহংকার করছিল। তাদের উদ্দেশ্য করেই এ আয়াতে বলা হচ্ছে_জেনেশুনেও যারা সত্যকে অস্বীকার করল এবং সত্য নবীকে মেনে নিতে কুণ্ঠাবোধ করল, তাদের জন্য আল্লাহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
১৭৪-৭৫ নম্বর আয়াতে মানবজাতিকে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে_আল্লাহতায়ালা নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে একটি স্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে পাঠিয়েছেন এবং তাঁর ওপর নাযিলকৃত কোরআন মজিদকে পাঠিয়েছেন একটি উজ্জ্বল আলো হিসেবে। সুতরাং বিভ্রান্তির কবল থেকে মানুষের রক্ষা পাওয়ার একমাত্র পথ হলো এই রাসুল এবং কোরআনকে অনুসরণ করা। যারা কোরআনের শিক্ষাকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে, তারা কখনোই বিভ্রান্ত হবে না, বিপথগামিতায় নিপতিত হবে না, তারা আল্লাহর অফুরন্ত দয়া ও তাঁর বৈভবের ভেতরে প্রবেশ করবে। তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সানি্নধ্য লাভের জন্য সঠিক পথ খুঁজে পাবেই। খ্রিস্টানরা যেসব জায়গায় বিভ্রান্তির কবলে নিপতিত হয়েছে, মুসলমানরাও যাতে সেই বিভ্রান্তির পথে না যায় সে জন্য সতর্ক করা হচ্ছে এ আয়াতে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
১৭৫. ফাআম্মা ল্লাযীনা আ-মানূ বিল্লা-হি ওয়া'তাসিমূ বিহী ফাছাইউদ্খিলুহুম ফী রাহ্মাতিম্ মিনহু ওয়াফাদ্বলিওঁয়াইয়াহ্দীহিম ইলাইহি সিরা-ত্বাম্ মুছতাক্বীমা-।
[সুরা : আন নিসা, আয়াত : ১৭৩-৭৫]
অনুবাদ : ১৭৩. অতঃপর যেসব মানুষ ইমান এনেছে এবং ভালো কাজ করেছে, তাদের প্রতিদান আল্লাহতায়ালা পুরোপুরি দেবেন। তিনি তাঁর অনুগ্রহের মাধ্যমে তা আরো বাড়িয়ে দেবেন। অন্যদিকে, যারা আল্লাহর বিধান মেনে নিতে কুণ্ঠাবোধ করল এবং অহংকার করল, তাদের তিনি কঠোর শাস্তি দেবেন। তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো অভিভাবক পাবে না, সাহায্যকারীও পাবে না।
১৭৪. হে মানব জাতি, তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে তোমাদের কাছে (রাসুল মুহাম্মদ) একটি স্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে এসেছে এবং আমি তোমাদের কাছে (তাঁর মাধ্যমে) একটি উজ্জ্বল আলো অবতীর্ণ করেছি (সেটা হলো কোরআন মজিদ)।
১৭৫. অতঃপর যারা আল্লাহর ওপর ইমান আনল এবং এই কোরআনের শিক্ষাকে মজবুতভাবে আঁকড়ে থাকল, তাদের আল্লাহ অচিরেই তাঁর অফুরন্ত দয়া ও বৈভবে প্রবেশ করাবেন এবং তাদের তিনি তাঁর সানি্নধ্য লাভের সঠিক পথে পরিচালিত করবেন।
ব্যাখ্যা : ১৭৩ নম্বর আয়াতে মূলত খ্রিস্টানদের উদ্দেশ্য করেই কথা বলা হয়েছে। খ্রিস্টানরা আল্লাহর ইবাদত করত, এ ব্যাপারে মুসলমানদের সঙ্গে কোনো দ্বিমত ছিল না। কিন্তু কার্যত তারা একত্ববাদ থেকে বিচ্যুত হয়ে গিয়েছিল। তারা ঈসা মাসিহকে আল্লাহর পুত্র বানিয়ে নেয়, যা আল্লাহর পবিত্রতার ধারণার পুরোপুরি লঙ্ঘন। তা ছাড়া মাতা মারইয়্যাম সম্পর্কেও তারা বিভ্রান্তিকর ধারণা পোষণ করতে থাকে। এভাবে তারা তিন খোদার তত্ত্ব দাঁড় করায়। এসব বিভ্রান্তি থেকে বের হয়ে আসার পথে তাদের সামনে প্রধান বাধাটা ছিল তারা নিজেদের অহমিকাবশত নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে মেনে নিতে কুণ্ঠাবোধ করত। এটা একদিকে ছিল তাদের অহংকার এবং অন্যদিকে কায়েমি স্বার্থ রক্ষার তাগিদ। নবী মুহাম্মদের নবুয়ত মেনে তাঁর ওপর ইমান আনলে তাদের স্বার্থ নষ্ট হবে, গুরুত্ব কমে যাবে ইত্যাদি ভেবে তারা অহংকার করছিল। তাদের উদ্দেশ্য করেই এ আয়াতে বলা হচ্ছে_জেনেশুনেও যারা সত্যকে অস্বীকার করল এবং সত্য নবীকে মেনে নিতে কুণ্ঠাবোধ করল, তাদের জন্য আল্লাহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
১৭৪-৭৫ নম্বর আয়াতে মানবজাতিকে সম্বোধন করে বলা হচ্ছে_আল্লাহতায়ালা নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে একটি স্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে পাঠিয়েছেন এবং তাঁর ওপর নাযিলকৃত কোরআন মজিদকে পাঠিয়েছেন একটি উজ্জ্বল আলো হিসেবে। সুতরাং বিভ্রান্তির কবল থেকে মানুষের রক্ষা পাওয়ার একমাত্র পথ হলো এই রাসুল এবং কোরআনকে অনুসরণ করা। যারা কোরআনের শিক্ষাকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে, তারা কখনোই বিভ্রান্ত হবে না, বিপথগামিতায় নিপতিত হবে না, তারা আল্লাহর অফুরন্ত দয়া ও তাঁর বৈভবের ভেতরে প্রবেশ করবে। তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সানি্নধ্য লাভের জন্য সঠিক পথ খুঁজে পাবেই। খ্রিস্টানরা যেসব জায়গায় বিভ্রান্তির কবলে নিপতিত হয়েছে, মুসলমানরাও যাতে সেই বিভ্রান্তির পথে না যায় সে জন্য সতর্ক করা হচ্ছে এ আয়াতে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments