দর নির্ধারণে সরকারি ঔদাসীন্য দুর্ভাগ্যজনক-চামড়াশিল্পে সংকট
চামড়ার দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোন যুক্তিতে এবার ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করা হলো না, তা স্পষ্ট নয়। তবে বাজার তদারকিতে সরকারের যে ঔদাসীন্য, তা এই ঘটনায় আবারও প্রমাণ মিলল।
শুধু পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে আমরা দেখেছি যে, দর নির্ধারণ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা চামড়াশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ট্যানারি মালিক, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকারী ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা গত ৩১ অক্টোবর দর নির্ধারণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, এত বড় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারপক্ষ কোথায় ছিল?
সরকার তো ভালোই জানে, বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে চামড়া প্রক্রিয়াজাতের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বা অবকাঠামো বোধগম্য কারণেই কাজে লাগানো সম্ভব নয়। সে কারণেই কাঁচা চামড়ার মতো একটি পচনশীল রপ্তানিমুখী পণ্যের দেখভাল করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মনোযোগ দাবি করে। এমনও নয় যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই দর নির্ধারণ না করার বিষয়ে জোট বেঁধেছিলেন। বিসিকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জালাল উদ্দিন গত ২৫ অক্টোবর ঈদের আগেই দর নির্দিষ্ট করতে সুপারিশ রেখেছিলেন। কিন্তু স্পষ্টতই সরকার তা গায়ে মাখেনি।
সরকারের কাছে এ হিসাব রয়েছে যে ৬০ লাখের বেশি গবাদিপশু এবার জবাই করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে সম্ভবত খবর ছিল না যে চামড়াশিল্পের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, চামড়ার দর নির্ধারণ না করার মাশুল চড়া হতে পারে। কারণ, খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি বর্গফুট চামড়া ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় কিনলেও এখন ট্যানারি মালিকেরা বলছেন, এটা পতনমুখী আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সুতরাং এই দামে তারা চামড়া সংগ্রহ বন্ধ রেখেছেন। এটা ঠিক যে আন্তর্জাতিক বাজারের মেজাজ-মর্জি তো আমাদের বিবেচনায় নিতেই হবে। কিন্তু সেই বাজার স্থবির নয়, বরং ভীষণ গতিশীলও। গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ শতাংশ রপ্তানি কম হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আমরা কোনো দর নির্ধারণেই অক্ষম থাকব।
গত ৭ মার্চে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ বিশ্ব মন্দা কাটিয়ে গরুর চামড়ার বিশাল চাহিদার বিষয়ে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক খবর ছেপেছিল। এখন একদিকে যেমন চামড়া পাচারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তেমনি অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে এই সম্পদ বিনষ্টের ব্যাপারে তৃণমূলের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। আগাম উদ্যোগ থাকলে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো যেত। বিলম্বে হলেও এখন সরকারের উচিত হবে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ প্রশমন করা। রাষ্ট্রের দিকনির্দেশনা ছাড়া এমন একটি শিল্প চলতে পারে না।
সরকার তো ভালোই জানে, বিদ্যুৎ-সংকটের কারণে চামড়া প্রক্রিয়াজাতের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বা অবকাঠামো বোধগম্য কারণেই কাজে লাগানো সম্ভব নয়। সে কারণেই কাঁচা চামড়ার মতো একটি পচনশীল রপ্তানিমুখী পণ্যের দেখভাল করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মনোযোগ দাবি করে। এমনও নয় যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই দর নির্ধারণ না করার বিষয়ে জোট বেঁধেছিলেন। বিসিকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জালাল উদ্দিন গত ২৫ অক্টোবর ঈদের আগেই দর নির্দিষ্ট করতে সুপারিশ রেখেছিলেন। কিন্তু স্পষ্টতই সরকার তা গায়ে মাখেনি।
সরকারের কাছে এ হিসাব রয়েছে যে ৬০ লাখের বেশি গবাদিপশু এবার জবাই করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে সম্ভবত খবর ছিল না যে চামড়াশিল্পের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, চামড়ার দর নির্ধারণ না করার মাশুল চড়া হতে পারে। কারণ, খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি বর্গফুট চামড়া ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় কিনলেও এখন ট্যানারি মালিকেরা বলছেন, এটা পতনমুখী আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সুতরাং এই দামে তারা চামড়া সংগ্রহ বন্ধ রেখেছেন। এটা ঠিক যে আন্তর্জাতিক বাজারের মেজাজ-মর্জি তো আমাদের বিবেচনায় নিতেই হবে। কিন্তু সেই বাজার স্থবির নয়, বরং ভীষণ গতিশীলও। গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ শতাংশ রপ্তানি কম হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে আমরা কোনো দর নির্ধারণেই অক্ষম থাকব।
গত ৭ মার্চে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ বিশ্ব মন্দা কাটিয়ে গরুর চামড়ার বিশাল চাহিদার বিষয়ে অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক খবর ছেপেছিল। এখন একদিকে যেমন চামড়া পাচারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তেমনি অব্যবস্থাপনাজনিত কারণে এই সম্পদ বিনষ্টের ব্যাপারে তৃণমূলের ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। আগাম উদ্যোগ থাকলে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানো যেত। বিলম্বে হলেও এখন সরকারের উচিত হবে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে তাঁদের উদ্বেগ প্রশমন করা। রাষ্ট্রের দিকনির্দেশনা ছাড়া এমন একটি শিল্প চলতে পারে না।
No comments