রেলওয়ে ও মহাসড়কের প্রতি দৃষ্টি দিন-যেতে-আসতে যাত্রীদের বিড়ম্বনা
এবারে যে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঈদুল আজহা উদ্যাপন করতে ঢাকার বাইরে গিয়েছিল, তাদের বেশির ভাগই অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়। প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী দুই ঘণ্টার পথ পার হতে লেগে গিয়েছিল নয় ঘণ্টা কিংবা আরও বেশি। বলা যায়, ঈদের আগে পুরো যোগাযোগব্যবস্থাই ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল।
বাড়ি থেকে আবার ঢাকায় ফিরতেও অনেকে একই সমস্যায় পড়েছে। এ ব্যাপারে সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কি কিছুই করার ছিল না বা নেই?
কোনো ঈদ বা পার্বণে স্বাভাবিকের চেয়ে যাত্রীসংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হলে পরিবহনের ওপর বাড়তি চাপ পড়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সেবাপ্রতিষ্ঠান সজাগ থাকলে জনদুর্ভোগ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বলেছেন, এবারে রাস্তাঘাট ভালো থাকায় মানুষ ভালোভাবে ঈদ করতে পেরেছে। যানবাহন চলাচল উপযোগী থাকলেই রাস্তাঘাটের অবস্থা ভালো, তা বলা যায় না। ঈদের আগে প্রথম আলোয় সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কের দুরবস্থার যে চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, তাতে কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে বলে মনে হয় না।
গত ঈদে সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হওয়ার কারণে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের ঘুম ভেঙেছিল বলেই যানজট প্রকট রূপ নেয়নি। কিন্তু এবারে বেহাল সড়কের পাশাপাশি রেলওয়ের সময়সূচি মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নরসিংদীতে অবরোধ ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগের কারণে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এই অঘটনও এড়ানো যেত। তা ছাড়া নরসিংদীর ঘটনায় উত্তরবঙ্গের ট্রেনের সময়সূচিতে বিপর্যয় ঘটার কোনো যুক্তি নেই। দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের ইঞ্জিন-সংকট থাকা সত্ত্বেও তা পূরণের উদ্যোগ না নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। দক্ষিণাঞ্চলে সড়কপথে যানজটের কারণ ফেরির অপ্রতুলতা বলা হলেও উত্তরাঞ্চলে সেই অজুহাত খাটে না।
আসলে পুরো বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছে। এত দিন যোগাযোগ খাতে বড় বড় প্রকল্পের গল্প শোনানো হলেও সেসব বাস্তবায়নের লক্ষণ নেই। সুষ্ঠু পরিবহনের অভাবে ঘরমুখী মানুষই কেবল দুর্ভোগে পড়েনি, কোরবানির হাটেও তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। ঈদের আগের দিন ঢাকা শহরের পশুর হাটগুলো প্রায় ফাঁকা ছিল। ক্রেতাদের অনেক বেশি দামে পশু কিনতে হয়েছে। এতে খামারিরা লাভবান হয়নি, মাঝখানে দাও মেরেছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
বেহাল সড়ক, প্রয়োজনীয় ফেরি ও রেলইঞ্জিন না থাকার কারণে বাড়ি যেতে যেমন মানুষকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে, তেমনি ঢাকায় ফিরতেও। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এই ব্যাধি পুরোনো। দুটি ঘাটে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফেরির ব্যবস্থা করা কিংবা রেলওয়েতে কয়েকটি ইঞ্জিন যোগ করা কি একেবারেই অসম্ভব?
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যা-ই বলুন না কেন, দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক চলছে জোড়াতালি দিয়ে। যে কারণে ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষ যানজটে নাকাল হয়। যাত্রী ও পণ্যের সুষ্ঠু পরিবহন নিশ্চিত করতে হলে বেহাল সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ফেরি ও রেলইঞ্জিন জোগানের বিকল্প নেই।
কোনো ঈদ বা পার্বণে স্বাভাবিকের চেয়ে যাত্রীসংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হলে পরিবহনের ওপর বাড়তি চাপ পড়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সেবাপ্রতিষ্ঠান সজাগ থাকলে জনদুর্ভোগ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বলেছেন, এবারে রাস্তাঘাট ভালো থাকায় মানুষ ভালোভাবে ঈদ করতে পেরেছে। যানবাহন চলাচল উপযোগী থাকলেই রাস্তাঘাটের অবস্থা ভালো, তা বলা যায় না। ঈদের আগে প্রথম আলোয় সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কের দুরবস্থার যে চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, তাতে কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে বলে মনে হয় না।
গত ঈদে সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হওয়ার কারণে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের ঘুম ভেঙেছিল বলেই যানজট প্রকট রূপ নেয়নি। কিন্তু এবারে বেহাল সড়কের পাশাপাশি রেলওয়ের সময়সূচি মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নরসিংদীতে অবরোধ ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগের কারণে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এই অঘটনও এড়ানো যেত। তা ছাড়া নরসিংদীর ঘটনায় উত্তরবঙ্গের ট্রেনের সময়সূচিতে বিপর্যয় ঘটার কোনো যুক্তি নেই। দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের ইঞ্জিন-সংকট থাকা সত্ত্বেও তা পূরণের উদ্যোগ না নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। দক্ষিণাঞ্চলে সড়কপথে যানজটের কারণ ফেরির অপ্রতুলতা বলা হলেও উত্তরাঞ্চলে সেই অজুহাত খাটে না।
আসলে পুরো বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত অযোগ্যতা ও অদক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছে। এত দিন যোগাযোগ খাতে বড় বড় প্রকল্পের গল্প শোনানো হলেও সেসব বাস্তবায়নের লক্ষণ নেই। সুষ্ঠু পরিবহনের অভাবে ঘরমুখী মানুষই কেবল দুর্ভোগে পড়েনি, কোরবানির হাটেও তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। ঈদের আগের দিন ঢাকা শহরের পশুর হাটগুলো প্রায় ফাঁকা ছিল। ক্রেতাদের অনেক বেশি দামে পশু কিনতে হয়েছে। এতে খামারিরা লাভবান হয়নি, মাঝখানে দাও মেরেছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।
বেহাল সড়ক, প্রয়োজনীয় ফেরি ও রেলইঞ্জিন না থাকার কারণে বাড়ি যেতে যেমন মানুষকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে, তেমনি ঢাকায় ফিরতেও। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এই ব্যাধি পুরোনো। দুটি ঘাটে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ফেরির ব্যবস্থা করা কিংবা রেলওয়েতে কয়েকটি ইঞ্জিন যোগ করা কি একেবারেই অসম্ভব?
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা যা-ই বলুন না কেন, দেশের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক চলছে জোড়াতালি দিয়ে। যে কারণে ঘন ঘন দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষ যানজটে নাকাল হয়। যাত্রী ও পণ্যের সুষ্ঠু পরিবহন নিশ্চিত করতে হলে বেহাল সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ফেরি ও রেলইঞ্জিন জোগানের বিকল্প নেই।
No comments