দোষীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে-শিশুশিক্ষায় লুটপাট
প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ও শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের কাছ থেকে বিদ্যালয়প্রতি পাঁচ লাখ টাকা করে নিয়ে উধাও ৪৬ এনজিওর বিরুদ্ধে সরকার নামকাওয়াস্তে ব্যবস্থা নেওয়ার খবরটি উদ্বেগজনক। কেন তাদের গুরুপাপে লঘুদণ্ড হবে?
আওয়ামী লীগের বিগত সরকার শিশুশিক্ষা প্রসারে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু স্কুল পরিচালনায় এনজিও বাছাইয়ে তারা রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। যেন পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেই এনজিও গজিয়ে ওঠে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের বিলি করে যাওয়া টাকা উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দেশের বহু এনজিও প্রকৃতপক্ষে সমাজ ও মানুষের প্রতি দায় অনুভবের চেয়ে নিজেদের পকেট ভারী করতে ব্যগ্র থাকে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। গত ১৪ বছর তাদের খোঁজখবর নেওয়া হয়নি।
২০৩টি ‘স্কুলে’র মধ্যে ১১৮টি বন্ধ থাকার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি সরকারের টনক নড়ে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা হয়নি। সরকার শুধু ৪৬টি এনজিও কালো তালিকাভুক্ত ও তাদের নিবন্ধন বাতিলের কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর মদদ না পেলে এসব এনজিও টাকা লুটের সাহস দেখাত না। এখন কালো তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন বাতিল লোকদেখানো ও মুখরক্ষার পদক্ষেপ বলেই আমাদের ধারণা।
প্রধানত রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাছাই বুমেরাং হয়েছে। অবিলম্বে স্কুলসংশ্লিষ্ট এনজিও বাছাই ও তদারকিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। যারা লুটপাট করেছে, তারা ভিন্ন কোনো গ্রহ থেকে আসেনি এবং অনেকেই এই সমাজে দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছে। আবার তারা নতুন করে সক্রিয় হতে পারে। কারণ, সরকার স্কুলগুলো সরকারি অর্থায়নে চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে সরকারের কাছ থেকে টাকাপয়সা পাওয়া এবং স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগের অপব্যবহার ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিহাস বন্ধ হোক। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তছরুপ হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই।
২০৩টি ‘স্কুলে’র মধ্যে ১১৮টি বন্ধ থাকার প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি সরকারের টনক নড়ে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা হয়নি। সরকার শুধু ৪৬টি এনজিও কালো তালিকাভুক্ত ও তাদের নিবন্ধন বাতিলের কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর মদদ না পেলে এসব এনজিও টাকা লুটের সাহস দেখাত না। এখন কালো তালিকাভুক্তি ও নিবন্ধন বাতিল লোকদেখানো ও মুখরক্ষার পদক্ষেপ বলেই আমাদের ধারণা।
প্রধানত রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাছাই বুমেরাং হয়েছে। অবিলম্বে স্কুলসংশ্লিষ্ট এনজিও বাছাই ও তদারকিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। যারা লুটপাট করেছে, তারা ভিন্ন কোনো গ্রহ থেকে আসেনি এবং অনেকেই এই সমাজে দাপটের সঙ্গে চলাফেরা করছে। আবার তারা নতুন করে সক্রিয় হতে পারে। কারণ, সরকার স্কুলগুলো সরকারি অর্থায়নে চালানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে সরকারের কাছ থেকে টাকাপয়সা পাওয়া এবং স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগের অপব্যবহার ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিহাস বন্ধ হোক। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তছরুপ হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প নেই।
No comments