ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কঠোর করলেন ওবামা
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ইরান সরকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সম্পদ জব্দ করতে মার্কিন ব্যাংকগুলোকেও তিনি নতুন ক্ষমতা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস গত সোমবার এ কথা জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানায়, গত রোববার এক নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ওবামা ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করেন, যাতে নিষেধাজ্ঞার ফাঁকফোকর খুঁজে তেহরান কোনো সুবিধা নিতে না পারে।
ওবামা এর আগেই ইরানের ওপর মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে ইসরায়েলের উদ্বেগ, এসব পদক্ষেপ ইরানকে তার বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
কংগ্রেসকে দেওয়া একটি চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের ব্যাংকগুলো লেনদেন গোপন করছে। এ কারণেই অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন পড়ে।
মার্কিন ব্যাংকগুলোর বিদেশি শাখাগুলোকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে ওবামা বলেন, ইরানের মুদ্রা পাচারবিরোধী আইনে দুর্বলতা রয়েছে। আর ইরানের কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা অব্যাহতভাবে ও অগ্রহণযোগ্যভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।
এর আগে মার্কিন ব্যাংকগুলোকে ইরানের সঙ্গে লেনদেন বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হলেও সম্পদ জব্দ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছিল না। নতুন এই নির্বাহী আদেশের ফলে তারা এখন ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দও করতে পারবে।
ওবামার নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের কী পরিমাণ সম্পদ জব্দ করা সম্ভব হতে পারে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে পরিমাণটা যৎসামান্যই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ভেঙে পড়া আলোচনা পুনরায় শুরু করতে তেহরানকে চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেই নতুন এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তেহরান বরাবরই বলে আসছে, তার পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে জ্বালানি উৎপাদনের জন্যই, অস্ত্র বানানোর জন্য নয়। তবে সম্প্রতি দেশটি তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়ায় এবং আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ওই প্রকল্প সত্যিই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষ গুঁড়িয়ে দিতে দেশটির পরমাণু প্রকল্পগুলোতে ইসরায়েল একতরফাভাবে হামলা চালাতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, এমনটি হলে, ইরান সেটাকে বাঁচামরার লড়াই হিসেবে নিতে পারে। হামলার জবাবে তেহরান পাল্টা হামলা চালালে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সেটা হবে বড় ধাক্কা। এএফপি ও রয়টার্স।
ওবামা এর আগেই ইরানের ওপর মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে ইসরায়েলের উদ্বেগ, এসব পদক্ষেপ ইরানকে তার বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে পারবে না।
কংগ্রেসকে দেওয়া একটি চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের ব্যাংকগুলো লেনদেন গোপন করছে। এ কারণেই অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন পড়ে।
মার্কিন ব্যাংকগুলোর বিদেশি শাখাগুলোকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে ওবামা বলেন, ইরানের মুদ্রা পাচারবিরোধী আইনে দুর্বলতা রয়েছে। আর ইরানের কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা অব্যাহতভাবে ও অগ্রহণযোগ্যভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে।
এর আগে মার্কিন ব্যাংকগুলোকে ইরানের সঙ্গে লেনদেন বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হলেও সম্পদ জব্দ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছিল না। নতুন এই নির্বাহী আদেশের ফলে তারা এখন ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দও করতে পারবে।
ওবামার নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানের কী পরিমাণ সম্পদ জব্দ করা সম্ভব হতে পারে তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে পরিমাণটা যৎসামান্যই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূলত বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ভেঙে পড়া আলোচনা পুনরায় শুরু করতে তেহরানকে চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেই নতুন এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তেহরান বরাবরই বলে আসছে, তার পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে জ্বালানি উৎপাদনের জন্যই, অস্ত্র বানানোর জন্য নয়। তবে সম্প্রতি দেশটি তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়ায় এবং আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ওই প্রকল্প সত্যিই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষ গুঁড়িয়ে দিতে দেশটির পরমাণু প্রকল্পগুলোতে ইসরায়েল একতরফাভাবে হামলা চালাতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, এমনটি হলে, ইরান সেটাকে বাঁচামরার লড়াই হিসেবে নিতে পারে। হামলার জবাবে তেহরান পাল্টা হামলা চালালে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সেটা হবে বড় ধাক্কা। এএফপি ও রয়টার্স।
No comments