আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির বিকল্প নেই-নিরাপদে ব্যবসার সুযোগ
ব্যবসায়ীদের ব্যবসার বিষয়টি নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে যাঁদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি, তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়, আবার অনেক ক্ষেত্রে তাঁরাই সমস্যার বড় কারণ। তাঁরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। দেশের ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন এফবিসিসিআই রোববার যে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিল,
সেখানে ব্যবসায়ীরা তুলে ধরেছেন তাঁদের দুর্ভোগ, দুর্দশা ও ক্ষোভের কথা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা। তাঁরাও অভিযোগগুলো উড়িয়ে দিতে পারেননি।
ব্যবসায়ীরা তাঁদের জীবন ও পণ্যের নিরাপত্তা চেয়েছেন। কারণ, সড়ক-মহাসড়কে তাঁদের পণ্য, ট্রাক ছিনতাই হয়ে যায়, ট্রাকে মাল তোলার সময় সন্ত্রাসীরা এসে চাঁদা নিয়ে যায়, এমন অবস্থায় পুলিশের দেখা মেলে না। আবার এই পুলিশের চাঁদাবাজি আর নানা হয়রানির শিকার হন তাঁরা। এক মাসে দেড় শ ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনাকে আর যা-ই হোক, কোনোভাবেই স্বাভাবিক বলা যাবে না। আর পুলিশকে বকশিশ বা চাঁদা না দিলে গাড়ি আটকে রাখা হবে, মামলা দেওয়া হবে—এটা যখন নিয়মিত ঘটনা, তখন ব্যবসায়ীরা ব্যবসাই বা করবেন কীভাবে?
দিনের পর দিন ট্রাক ছিনতাই হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না—এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে, তা বলা যাবে না। পুলিশের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে যদি কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট থাকে, অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসৎ সদস্যরা যেমন সতর্ক হয়ে যাবেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও আস্থা ফিরে পাবেন। এসব ব্যাপারে সরকার কী উদ্যোগ নিচ্ছে, তা স্পষ্ট করা জরুরি। সড়ক-মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত বা পণ্যবাহী ট্রাক ছিনতাই বন্ধ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবশ্য জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ওঠে, তা যে শুধু বিভাগীয় তদন্তের উদ্যোগ নিয়ে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, সেটা পরিষ্কার। আর অভিযুক্ত কোনো সদস্যকে শুধু বদলির মতো ‘শাস্তি’ দেওয়ার বিধানও কাজে দেবে না।
সরকার যদি সত্যিই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চায়, তবে এই বাহিনীগুলোর জবাবদিহির বিষয়টি আরও কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও কঠোর শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজগুলো ঠিকমতো হয় না বলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু কিছু সদস্য এর সুযোগ নিয়ে থাকেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ১৫ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা আশা করব, সরকার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বাধাগ্রস্ত হবে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ।
ব্যবসায়ীরা তাঁদের জীবন ও পণ্যের নিরাপত্তা চেয়েছেন। কারণ, সড়ক-মহাসড়কে তাঁদের পণ্য, ট্রাক ছিনতাই হয়ে যায়, ট্রাকে মাল তোলার সময় সন্ত্রাসীরা এসে চাঁদা নিয়ে যায়, এমন অবস্থায় পুলিশের দেখা মেলে না। আবার এই পুলিশের চাঁদাবাজি আর নানা হয়রানির শিকার হন তাঁরা। এক মাসে দেড় শ ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনাকে আর যা-ই হোক, কোনোভাবেই স্বাভাবিক বলা যাবে না। আর পুলিশকে বকশিশ বা চাঁদা না দিলে গাড়ি আটকে রাখা হবে, মামলা দেওয়া হবে—এটা যখন নিয়মিত ঘটনা, তখন ব্যবসায়ীরা ব্যবসাই বা করবেন কীভাবে?
দিনের পর দিন ট্রাক ছিনতাই হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না—এই যদি পরিস্থিতি হয়, তবে সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে, তা বলা যাবে না। পুলিশের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে যদি কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট থাকে, অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসৎ সদস্যরা যেমন সতর্ক হয়ে যাবেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও আস্থা ফিরে পাবেন। এসব ব্যাপারে সরকার কী উদ্যোগ নিচ্ছে, তা স্পষ্ট করা জরুরি। সড়ক-মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত বা পণ্যবাহী ট্রাক ছিনতাই বন্ধ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবশ্য জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ ওঠে, তা যে শুধু বিভাগীয় তদন্তের উদ্যোগ নিয়ে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, সেটা পরিষ্কার। আর অভিযুক্ত কোনো সদস্যকে শুধু বদলির মতো ‘শাস্তি’ দেওয়ার বিধানও কাজে দেবে না।
সরকার যদি সত্যিই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি চায়, তবে এই বাহিনীগুলোর জবাবদিহির বিষয়টি আরও কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও কঠোর শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজগুলো ঠিকমতো হয় না বলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু কিছু সদস্য এর সুযোগ নিয়ে থাকেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ১৫ দফা সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা আশা করব, সরকার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বাধাগ্রস্ত হবে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ।
No comments