বাঘা তেঁতুল-তাঁরা ফেরেন নাই by সৈয়দ আবুল মকসুদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগের প্রভাষক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সরকারি বৃত্তি নিয়ে প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈদিক থেকে আধুনিক ভারতীয় ভাষা বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়েছিলেন ১৯২৬ সালে। ১৯২৮ সালের আগস্টে ফিরে এসে কাজে যোগ দেন।
প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটি দিনও তিনি বিদেশ-বিভুঁইয়ে থাকার প্রয়োজন মনে করেননি। তাঁর বিদ্যার যে পুঁজি ছিল, তা যদি বছর দশ-পনেরো ফরাসি দেশ, জার্মানি ও ব্রিটেনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে খাটাতেন, তা হলে বহু টাকা নিয়ে দেশে ফিরতে পারতেন।
মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে এমএসসিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই সম্মানজনক ‘প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ’ স্কলার। ১৯২৯ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি করেন। সে এক সাংঘাতিক ডিগ্রি। তিনি যে থিসিস জমা দেন, তা দেখে তাঁর পরীক্ষক মন্তব্য করেন: তুমি অনেক বেশি কাজ করে ফেলেছ, এর তিন ভাগের এক ভাগই তোমার ডিগ্রির জন্য যথেষ্ট।
যদি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির প্রশ্ন ওঠে, তা হলে স্বীকার করতে হবে কুদরাত-এ-খুদার মানের ডিগ্রি ব্রিটিশ ভারতে খুব কম মানুষেরই ছিল। মৌলিক কাজের জন্য লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় জগদীশচন্দ্র বসুকে ডিএসসি দেয় ১৮৮৬ সালে এবং তাঁর আগে রসায়নে এডিনবরা থেকে ডিএসসি করেন প্রফুল্লচন্দ্র রায়। তাঁরাও অতি আরামে লন্ডনে থেকে যেতে পারতেন। খুব খাতির করেই সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাখত, রেস্তোরাঁর বাসন মেজে জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজন হতো না। কিন্তু তাঁরা যথাসময়ে দেশে ফিরে আসেন। যে প্রতিষ্ঠান থেকে আচার্য্য প্রফুল্ল রায়, স্যার জগদীশচন্দ্র ও ড. খুদাকে পাঠানো হয়েছিল, তাঁরা এক দিনও দেরি না করে সেখানে এসে কাজে যোগদান করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম ৫০ বছরে বহু শিক্ষক উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য দেশি ও বিদেশি সরকারের বা প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি নিয়ে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় বিদেশে গেছেন। দু-একজন ছাড়া সবাই যথাসময়ে ফিরে এসেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। দেশের চেয়ে সরকারি ও আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অনেক বেশি স্বাধীনতা লাভ করেন। স্বাধীনতার চেতনা ঢাকা ও অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ্রেণীর শিক্ষকদের মধ্যে প্রবলভাবে সঞ্চারিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে, তাঁরা সেখানে গিয়ে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করেন। নীলক্ষেত এলাকার শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তাঁদের ভালো লাগল না, তাঁরা পেলেন স্বাধীনতা ও মুক্তির স্বাদ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেলেও গত তিন দশকে ১৩৯ জন শিক্ষক আর ফিরে আসেননি। তাঁদের মধ্যে ১০৪ জনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় এক কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা পাবে। বারবার চেষ্টা করেও বিশ্ববিদ্যালয় এই টাকা আদায় করতে পারেনি। অনেকের সঙ্গে এখন যোগাযোগই করতে পারছে না। উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার কারণেই সহজে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভালো সুযোগ পেয়ে কেউ আর ফিরে না এলে বিশ্ববিদ্যালয় তেমন কিছু করতে পারে না।
ভালো সুযোগ বলতে কেউ হয়তো অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড, কেমব্র্রিজে প্রফেসর হিসেবে যোগ দিয়ে থাকবেন। অমর্ত্য সেনের মতো একদিন যদি তাঁরা নোবেল পুরস্কার পান, তা হলে আমাদের গর্বের সীমা থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গুটিকয় টাকা তাঁরা মেরে দিয়ে গেছেন, তা নোবেল পুরস্কারের অর্থ থেকে অনায়াসে পরিশোধ করতে পারবেন। তবে সংখ্যায় তাঁরা এত বেশি, ১৩৯—বিদেশে একত্র হয়ে তাঁরা ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওভারসিজ’ নামে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাও করতে পারেন। সেখানে প্রবাসী বাঙালিদের ছেলেমেয়েরা পড়বে।
ভালো সুযোগ বলতে বঙ্গসন্তান বোঝে ডলার। এক ডলারকে ৭০ দিয়ে গুণ দিলে যা হয়, তা-ই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেই ডলার কামাই করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের অতি মর্যাদার চাকরি ছুড়ে ফেলে যেকোনো কাজ ও জীবিকা গ্রহণে তাঁদের অরুচি নেই। তাঁদের অরুচি নেই কোনো রেস্তোরাঁর কিচেনে বসে অ্যাপ্রোন পরে তরকারি কুটতে, পেঁয়াজের খোসা ছাড়াতে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি মুছতে, কোনো বদমেজাজি বুড়ির বাগানের ঘাস সাফ করতে, কোনো সাহেবের ঘোড়ার ঘাস কাটতে, সপ্তায় পাঁচ দিন পাঁচ বাড়িতে গিয়ে কাপড় ইস্তিরি করতে, কোনো নিঃসঙ্গ বুড়ির চার-পাঁচটি কুকুরকে সকালে-বিকেলে পায়খানা করিয়ে হাওয়া খাইয়ে আনতে, কোনো ডিপার্টমেন্ট স্টোরে লরি থেকে মাল নামিয়ে ট্রলিতে করে ঠেলতে। ওগুলো করে যে টাকা পাওয়া যায়, নীলক্ষেত এলাকার কারও বেতনের তা ছয় গুণ।
তা ছাড়া নীলক্ষেতের চেয়ে বিদেশে কত সুবিধা। রাস্তাঘাট-দোকানপাট তকতকে-ফকফকে। এখানে থাকলে বাজারের থলে নিয়ে নিউমার্কেট, পলাশী ও হাতিরপুল বাজারে গিয়ে দোকানির সঙ্গে রাগারাগি করে মাথায় রক্ত চড়ে। ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যায়। পুঁটিমাছের ভাগার দাম হাঁকে ১২০ টাকা। তাতে পুঁটি আছে ১০টা। দুই কেজি মাংসে কসাই হাড্ডি দেয় ৮০০ গ্রাম, চর্বি ২০০ গ্রাম। বিদেশে কী শান্তি! এসব ঝামেলা নেই। তবে বিদেশে গিয়ে কেউ শান্তিতে থাকতে চাইলে আমরা বাধা দেব না। আল্লাহ তাঁদের কোটিপতি করুন। কিন্তু আমাদের জনগণের টাকাগুলো ফেরত দিলে বেঁচে যাই।
জাল-জোচ্চুরি এমন জিনিস যে তা চোর-বাটপার করলে যেমন ঘৃণার, স্যার-ম্যাডামরা করলে আরও ঘৃণার্হ। যাঁরা জনগণের টাকা মেরে চলে গেছেন নিরুদ্দেশে, তাঁদের থেকে যদি টাকা আদায় করতে না পারি, আসুন আমরা সবাই মিলে তাঁদের ঘৃণাটা করি।
সৈয়দ আবুল মকসুুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।
মুহাম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে এমএসসিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই সম্মানজনক ‘প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ’ স্কলার। ১৯২৯ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি করেন। সে এক সাংঘাতিক ডিগ্রি। তিনি যে থিসিস জমা দেন, তা দেখে তাঁর পরীক্ষক মন্তব্য করেন: তুমি অনেক বেশি কাজ করে ফেলেছ, এর তিন ভাগের এক ভাগই তোমার ডিগ্রির জন্য যথেষ্ট।
যদি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির প্রশ্ন ওঠে, তা হলে স্বীকার করতে হবে কুদরাত-এ-খুদার মানের ডিগ্রি ব্রিটিশ ভারতে খুব কম মানুষেরই ছিল। মৌলিক কাজের জন্য লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় জগদীশচন্দ্র বসুকে ডিএসসি দেয় ১৮৮৬ সালে এবং তাঁর আগে রসায়নে এডিনবরা থেকে ডিএসসি করেন প্রফুল্লচন্দ্র রায়। তাঁরাও অতি আরামে লন্ডনে থেকে যেতে পারতেন। খুব খাতির করেই সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাখত, রেস্তোরাঁর বাসন মেজে জীবিকা নির্বাহের প্রয়োজন হতো না। কিন্তু তাঁরা যথাসময়ে দেশে ফিরে আসেন। যে প্রতিষ্ঠান থেকে আচার্য্য প্রফুল্ল রায়, স্যার জগদীশচন্দ্র ও ড. খুদাকে পাঠানো হয়েছিল, তাঁরা এক দিনও দেরি না করে সেখানে এসে কাজে যোগদান করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম ৫০ বছরে বহু শিক্ষক উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য দেশি ও বিদেশি সরকারের বা প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি নিয়ে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় বিদেশে গেছেন। দু-একজন ছাড়া সবাই যথাসময়ে ফিরে এসেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। দেশের চেয়ে সরকারি ও আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অনেক বেশি স্বাধীনতা লাভ করেন। স্বাধীনতার চেতনা ঢাকা ও অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একশ্রেণীর শিক্ষকদের মধ্যে প্রবলভাবে সঞ্চারিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে, তাঁরা সেখানে গিয়ে স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করেন। নীলক্ষেত এলাকার শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তাঁদের ভালো লাগল না, তাঁরা পেলেন স্বাধীনতা ও মুক্তির স্বাদ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেলেও গত তিন দশকে ১৩৯ জন শিক্ষক আর ফিরে আসেননি। তাঁদের মধ্যে ১০৪ জনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় এক কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা পাবে। বারবার চেষ্টা করেও বিশ্ববিদ্যালয় এই টাকা আদায় করতে পারেনি। অনেকের সঙ্গে এখন যোগাযোগই করতে পারছে না। উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার কারণেই সহজে বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভালো সুযোগ পেয়ে কেউ আর ফিরে না এলে বিশ্ববিদ্যালয় তেমন কিছু করতে পারে না।
ভালো সুযোগ বলতে কেউ হয়তো অক্সফোর্ড, হার্ভার্ড, কেমব্র্রিজে প্রফেসর হিসেবে যোগ দিয়ে থাকবেন। অমর্ত্য সেনের মতো একদিন যদি তাঁরা নোবেল পুরস্কার পান, তা হলে আমাদের গর্বের সীমা থাকবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গুটিকয় টাকা তাঁরা মেরে দিয়ে গেছেন, তা নোবেল পুরস্কারের অর্থ থেকে অনায়াসে পরিশোধ করতে পারবেন। তবে সংখ্যায় তাঁরা এত বেশি, ১৩৯—বিদেশে একত্র হয়ে তাঁরা ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওভারসিজ’ নামে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাও করতে পারেন। সেখানে প্রবাসী বাঙালিদের ছেলেমেয়েরা পড়বে।
ভালো সুযোগ বলতে বঙ্গসন্তান বোঝে ডলার। এক ডলারকে ৭০ দিয়ে গুণ দিলে যা হয়, তা-ই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেই ডলার কামাই করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের অতি মর্যাদার চাকরি ছুড়ে ফেলে যেকোনো কাজ ও জীবিকা গ্রহণে তাঁদের অরুচি নেই। তাঁদের অরুচি নেই কোনো রেস্তোরাঁর কিচেনে বসে অ্যাপ্রোন পরে তরকারি কুটতে, পেঁয়াজের খোসা ছাড়াতে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ি মুছতে, কোনো বদমেজাজি বুড়ির বাগানের ঘাস সাফ করতে, কোনো সাহেবের ঘোড়ার ঘাস কাটতে, সপ্তায় পাঁচ দিন পাঁচ বাড়িতে গিয়ে কাপড় ইস্তিরি করতে, কোনো নিঃসঙ্গ বুড়ির চার-পাঁচটি কুকুরকে সকালে-বিকেলে পায়খানা করিয়ে হাওয়া খাইয়ে আনতে, কোনো ডিপার্টমেন্ট স্টোরে লরি থেকে মাল নামিয়ে ট্রলিতে করে ঠেলতে। ওগুলো করে যে টাকা পাওয়া যায়, নীলক্ষেত এলাকার কারও বেতনের তা ছয় গুণ।
তা ছাড়া নীলক্ষেতের চেয়ে বিদেশে কত সুবিধা। রাস্তাঘাট-দোকানপাট তকতকে-ফকফকে। এখানে থাকলে বাজারের থলে নিয়ে নিউমার্কেট, পলাশী ও হাতিরপুল বাজারে গিয়ে দোকানির সঙ্গে রাগারাগি করে মাথায় রক্ত চড়ে। ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যায়। পুঁটিমাছের ভাগার দাম হাঁকে ১২০ টাকা। তাতে পুঁটি আছে ১০টা। দুই কেজি মাংসে কসাই হাড্ডি দেয় ৮০০ গ্রাম, চর্বি ২০০ গ্রাম। বিদেশে কী শান্তি! এসব ঝামেলা নেই। তবে বিদেশে গিয়ে কেউ শান্তিতে থাকতে চাইলে আমরা বাধা দেব না। আল্লাহ তাঁদের কোটিপতি করুন। কিন্তু আমাদের জনগণের টাকাগুলো ফেরত দিলে বেঁচে যাই।
জাল-জোচ্চুরি এমন জিনিস যে তা চোর-বাটপার করলে যেমন ঘৃণার, স্যার-ম্যাডামরা করলে আরও ঘৃণার্হ। যাঁরা জনগণের টাকা মেরে চলে গেছেন নিরুদ্দেশে, তাঁদের থেকে যদি টাকা আদায় করতে না পারি, আসুন আমরা সবাই মিলে তাঁদের ঘৃণাটা করি।
সৈয়দ আবুল মকসুুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।
No comments