জগন্নাথ বিশ্ব্ববিদ্যালয়-আমরা কেমন আছি
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর দীর্ঘ ছয় মাসের অধ্যবসায় আর প্রতীক্ষার পর আমরা জগন্নাথ বিশ্ব্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। প্রথম প্রথম ছিল আনন্দ, উচ্ছ্বাস, হইচই, উচ্ছল জীবনের কোলাহল। দিন যেতে যেতে উচ্ছ্বাস কমে যেতে থাকে, উঁকি মারা শুরু করে হতাশা। বৈষম্য আর বঞ্চনার যেন শেষ নেই এই প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবারই যেন বাণিজ্যিক মন। ২০১০ সালে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। নিজেদের অধিকার রক্ষা আর অর্থনৈতিক অক্ষমতার জন্য এ আন্দোলন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকেই তরুণ শ্রমজীবী। সারা দিন টিউশনির ঘানি টেনেও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতে পারে না। মেস-ভাড়া দিতে গেলে খাওয়ার টাকা থাকে না। তার ওপর কয়েক দিন পর পর প্রশাসনের চাপিয়ে দেওয়া নানা চার্জে শিক্ষার্থীরা নাকাল।
আমাদের আবাসিক হল নেই, তার ওপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি খরচ দিয়ে পড়তে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে বেতন দিতে হয় ১২ টাকা, আর আমরা দিই ১০০ টাকা। ভর্তিসহ সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় দুই গুণ ফি গুনতে হয় আমাদের। আমাদের কাছ থেকে খেলাধুলা আর শরীরচর্চা বাবদ চার্জ নেওয়া হয়, অথচ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসবের কোনো সুযোগ নেই।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নির্বিকার। ন্যায্য অধিকারের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দেয়। সহিংস ঘটনা ঘটে। রক্তপাত হয়। তারপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেয় প্রশাসন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সরকারি দলের লেজুড়বৃত্তি করে। ঝড়-ঝাপ্টা নেমে আসে প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর ওপর।
বিভাগে বিভাগে দলীয় শিক্ষকদের মাধ্যমে হুমকিসহ নোটিশ পাঠানো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে আন্দোলন করার সাহস না দেখায়। আন্দোলন বানচালের জন্য কি না করতে পারে প্রশাসন, সবশেষে নামিয়ে দেওয়া হয় একটি বিশেষ সংগঠনের কর্মীদের। তারা শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষক কারা? সবার গায়ে দলীয় ছাপ্পড় মারা আছে। তাঁদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পেছনের কাহিনি সবার জানা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাই তাঁদের সম্মান করে না, তাঁরাও সম্মানিত হতে সচেষ্ট নন। তাঁরা গর্ব করেন তাঁদের দলীয় পরিচয় নিয়ে। কোনো কোনো শিক্ষককে তো নিজ বিভাগে পাওয়া যায় না, তাঁরা সময় কাটান প্রশাসনিক ভবনে।
দুটি ছাত্রসংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রধান সমস্যা। সারাক্ষণ মারামারিতে ব্যস্ত তারা। কিন্তু যে বিশ্ব্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ, নিজ বিভাগে দলীয় রাজনীতির প্রভাব দেখান, তাঁদের ছাত্ররা দুর্ধর্ষ ক্যাডার হবে না তো কী হবে? শিক্ষকদের রাজনৈতিক ক্ষমতার ঝনঝনানি মোকাবিলা করার জন্যও অনেক শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে!
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নানাভাবে দমন করার জন্য প্রশাসনের যে প্রচেষ্টা, তা যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন আর শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে থাকত, তবে এত দিনে আমাদের ক্যাম্পাসের চেহারা অন্য রকম হতো। তাহলে ১২টি বেদখল হওয়া হল উদ্ধারের জন্য, গত অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য, ১০১ একর জমির নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য আমাদের এত বছর অপেক্ষা করতে হতো না। আমাদের দাবি ও স্বপ্নগুলো দীর্ঘ ছয় বছর পরও অপূর্ণ থাকত না আর আমাদের কাঁথা-বালিশ নিয়ে ছুটতে হতো না মেস থেকে মেসে। প্রশাসন আমাদের নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি, এত বছরেও একটি নতুন ক্যাম্পাস দিতে পারেনি, বেদখল হওয়া একটি হলও উদ্ধার করতে পারেনি। কোনো অধিকারের কথা বললে আমাদের মাথায় শক্ত করে লাঠির বাড়ি পড়ে। প্রশাসন দলবাজিতে ব্যস্ত, বিশ্ব্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তাদের মন নেই। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত। কবে হবে সব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন?
দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসংকট ব্যাপক। এ ছাড়া শ্রেণীকক্ষেরও বেশ অভাব। একটি নতুন বিভাগের জন্য জন্য বরাদ্দ একটি মাত্র শ্রেণীকক্ষ, সেমিনার কক্ষ নেই। কেন্দ্রীয় পাঠাগারের অবস্থাও করুণ। বইপত্র অপ্রতুল, কোনো ফটোকপি মেশিন নেই, বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যেই পাঠাগার বন্ধ হয়ে যায়। এসব নিয়ে পত্রপত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বিকার। আমরা জানি, অনেক সমস্যার ত্বরিত কোনো সমাধান নেই। কিন্তু যখন দেখি সমাধানের কোনো চেষ্টা নেই, তখন কী বলার থাকে?
গত মার্চে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যানটিনটি। কর্তৃপক্ষ তা আজও খুলতে পারেনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি মাত্র গেটের একটি সব সময় বন্ধ থাকে, বিশ্বাস করা যায়? শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ গেটটি খুলে দেয়। কিন্তু গেটের সামনে গাড়ির গ্যারেজ আর লেগুনার স্টেশন। অদৃশ্য কারণে গাড়িগুলোকে গেটের সামনে থেকে সরানো যাচ্ছে না। গেটটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য মুক্ত করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যর্থ। আমাদের জীবন কেমন চলছে? হল নেই তাই জীবন নির্বাহের ব্যয় দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। পুরান ঢাকায় টিউশনির তেমন কদর নেই। ফলে একাধিক টিউশনি করতে হচ্ছে আমাদের আর মেসে ছারপোকার সঙ্গে বসবাস। শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। আমাদের করুণ চাহনি কারও মনে দাগ কাটে না। অতি ব্যস্ত ডিজিটাল সরকারের কর্ণকুহরে পৌঁছায় না আমাদের নিবেদন, কোনো দিন পৌঁছাবে কি না কে জানে!
লেখকেরা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।
আমাদের আবাসিক হল নেই, তার ওপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি খরচ দিয়ে পড়তে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে বেতন দিতে হয় ১২ টাকা, আর আমরা দিই ১০০ টাকা। ভর্তিসহ সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় দুই গুণ ফি গুনতে হয় আমাদের। আমাদের কাছ থেকে খেলাধুলা আর শরীরচর্চা বাবদ চার্জ নেওয়া হয়, অথচ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসবের কোনো সুযোগ নেই।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নির্বিকার। ন্যায্য অধিকারের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দেয়। সহিংস ঘটনা ঘটে। রক্তপাত হয়। তারপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেয় প্রশাসন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সরকারি দলের লেজুড়বৃত্তি করে। ঝড়-ঝাপ্টা নেমে আসে প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর ওপর।
বিভাগে বিভাগে দলীয় শিক্ষকদের মাধ্যমে হুমকিসহ নোটিশ পাঠানো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে আন্দোলন করার সাহস না দেখায়। আন্দোলন বানচালের জন্য কি না করতে পারে প্রশাসন, সবশেষে নামিয়ে দেওয়া হয় একটি বিশেষ সংগঠনের কর্মীদের। তারা শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষক কারা? সবার গায়ে দলীয় ছাপ্পড় মারা আছে। তাঁদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পেছনের কাহিনি সবার জানা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাই তাঁদের সম্মান করে না, তাঁরাও সম্মানিত হতে সচেষ্ট নন। তাঁরা গর্ব করেন তাঁদের দলীয় পরিচয় নিয়ে। কোনো কোনো শিক্ষককে তো নিজ বিভাগে পাওয়া যায় না, তাঁরা সময় কাটান প্রশাসনিক ভবনে।
দুটি ছাত্রসংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রধান সমস্যা। সারাক্ষণ মারামারিতে ব্যস্ত তারা। কিন্তু যে বিশ্ব্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ, নিজ বিভাগে দলীয় রাজনীতির প্রভাব দেখান, তাঁদের ছাত্ররা দুর্ধর্ষ ক্যাডার হবে না তো কী হবে? শিক্ষকদের রাজনৈতিক ক্ষমতার ঝনঝনানি মোকাবিলা করার জন্যও অনেক শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে!
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নানাভাবে দমন করার জন্য প্রশাসনের যে প্রচেষ্টা, তা যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন আর শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে থাকত, তবে এত দিনে আমাদের ক্যাম্পাসের চেহারা অন্য রকম হতো। তাহলে ১২টি বেদখল হওয়া হল উদ্ধারের জন্য, গত অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য, ১০১ একর জমির নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য আমাদের এত বছর অপেক্ষা করতে হতো না। আমাদের দাবি ও স্বপ্নগুলো দীর্ঘ ছয় বছর পরও অপূর্ণ থাকত না আর আমাদের কাঁথা-বালিশ নিয়ে ছুটতে হতো না মেস থেকে মেসে। প্রশাসন আমাদের নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি, এত বছরেও একটি নতুন ক্যাম্পাস দিতে পারেনি, বেদখল হওয়া একটি হলও উদ্ধার করতে পারেনি। কোনো অধিকারের কথা বললে আমাদের মাথায় শক্ত করে লাঠির বাড়ি পড়ে। প্রশাসন দলবাজিতে ব্যস্ত, বিশ্ব্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তাদের মন নেই। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত। কবে হবে সব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন?
দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসংকট ব্যাপক। এ ছাড়া শ্রেণীকক্ষেরও বেশ অভাব। একটি নতুন বিভাগের জন্য জন্য বরাদ্দ একটি মাত্র শ্রেণীকক্ষ, সেমিনার কক্ষ নেই। কেন্দ্রীয় পাঠাগারের অবস্থাও করুণ। বইপত্র অপ্রতুল, কোনো ফটোকপি মেশিন নেই, বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যেই পাঠাগার বন্ধ হয়ে যায়। এসব নিয়ে পত্রপত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বিকার। আমরা জানি, অনেক সমস্যার ত্বরিত কোনো সমাধান নেই। কিন্তু যখন দেখি সমাধানের কোনো চেষ্টা নেই, তখন কী বলার থাকে?
গত মার্চে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যানটিনটি। কর্তৃপক্ষ তা আজও খুলতে পারেনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি মাত্র গেটের একটি সব সময় বন্ধ থাকে, বিশ্বাস করা যায়? শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ গেটটি খুলে দেয়। কিন্তু গেটের সামনে গাড়ির গ্যারেজ আর লেগুনার স্টেশন। অদৃশ্য কারণে গাড়িগুলোকে গেটের সামনে থেকে সরানো যাচ্ছে না। গেটটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য মুক্ত করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যর্থ। আমাদের জীবন কেমন চলছে? হল নেই তাই জীবন নির্বাহের ব্যয় দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। পুরান ঢাকায় টিউশনির তেমন কদর নেই। ফলে একাধিক টিউশনি করতে হচ্ছে আমাদের আর মেসে ছারপোকার সঙ্গে বসবাস। শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। আমাদের করুণ চাহনি কারও মনে দাগ কাটে না। অতি ব্যস্ত ডিজিটাল সরকারের কর্ণকুহরে পৌঁছায় না আমাদের নিবেদন, কোনো দিন পৌঁছাবে কি না কে জানে!
লেখকেরা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।
No comments