উপাচার্যের অসত্য ভাষণ-গণমাধ্যমের ওপর এত রোষ কেন?
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন সম্পর্কে উপাচার্য মেজবাহউদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা যেমন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক, তেমনি বিদ্বেষপ্রসূত। তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক, সেই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যর্থ হয়ে এখন উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন। স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী তাঁর এহেন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। আমরা উপাচার্যের অসত্য ভাষণের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
ভাবতে অবাক লাগে, কী করে একজন উপাচার্য এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলতে পারেন। নিজের ব্যর্থতার দায় এড়াতে তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই বলে হুমকি দিয়েছেন, ‘আন্দোলন যত হবে, মামলা তত বাড়বে।’ উপাচার্য একদিকে দাবি করছেন যে প্রথম আলোর খবরে ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছেন, অন্যদিকে বলছেন, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। পদের মোহ মানুষকে কতটা হিতাহিতজ্ঞানশূন্য করে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য থেকেই তা ধারণা করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে কর্মরত ১৫ সংবাদদাতার বিরুদ্ধে ঘটনায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলার দায়ও উপাচার্য এড়াতে পারেন না।
কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন উসকে দিয়েছে, তা দেশবাসীই বিচার করবে। উপাচার্য দাবি করেছেন, প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর ‘শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিকভাবে সহিংসতা ঘটিয়েছে। এর পেছনে প্রথম আলোর ইন্ধন আছে।’ তাঁর এই বক্তব্য সর্বৈব অসত্য। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহিংসতার পথে ঠেলে দিয়েছেন উপাচার্য নিজেই। প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, যেখানে যেভাবে পারবেন, ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই হুমকি কেবল প্রথম আলোর প্রতি নয়, গোটা গণমাধ্যমের প্রতি। প্রথম আলো কোনো অসত্য খবর প্রকাশ করেনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের (২০০)২৭(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌনঃপুনিক ব্যয় যোগানে সরকার কর্তৃক প্রদেয় অর্থ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাইবে এবং পঞ্চম বৎসর হইতে উক্ত ব্যয়ের শত ভাগ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ও উৎস হইতে বহন করিতে হইবে।’ তবে আইনটি সংশোধনের আগ পর্যন্ত বরাদ্দ না কমানোর আশ্বাস রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিধান দেখিয়ে যে অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় করতে রাজি হয়নি, সে কথা কি উপাচার্য অস্বীকার করতে পারবেন? তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো মন্ত্রণালয়েরই অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা নেই, সেই সত্যটিও কি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জানা নেই?
কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন উসকে দিয়েছে, তা দেশবাসীই বিচার করবে। উপাচার্য দাবি করেছেন, প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর ‘শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিকভাবে সহিংসতা ঘটিয়েছে। এর পেছনে প্রথম আলোর ইন্ধন আছে।’ তাঁর এই বক্তব্য সর্বৈব অসত্য। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহিংসতার পথে ঠেলে দিয়েছেন উপাচার্য নিজেই। প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেই তিনি ক্ষান্ত হননি, যেখানে যেভাবে পারবেন, ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই হুমকি কেবল প্রথম আলোর প্রতি নয়, গোটা গণমাধ্যমের প্রতি। প্রথম আলো কোনো অসত্য খবর প্রকাশ করেনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের (২০০)২৭(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌনঃপুনিক ব্যয় যোগানে সরকার কর্তৃক প্রদেয় অর্থ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাইবে এবং পঞ্চম বৎসর হইতে উক্ত ব্যয়ের শত ভাগ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ও উৎস হইতে বহন করিতে হইবে।’ তবে আইনটি সংশোধনের আগ পর্যন্ত বরাদ্দ না কমানোর আশ্বাস রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিধান দেখিয়ে যে অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় করতে রাজি হয়নি, সে কথা কি উপাচার্য অস্বীকার করতে পারবেন? তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো মন্ত্রণালয়েরই অর্থ ব্যয়ের ক্ষমতা নেই, সেই সত্যটিও কি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জানা নেই?
No comments