রাসায়নিক পল্লি স্থাপনের প্রস্তাব ঢাকা চেম্বারের

ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যাক্তাদের বিনিয়োগে আগ্রহী করতে একটি সুবিধাজনক স্থানে ‘রাসায়নিক পল্লি’ (কেমিক্যাল ভিলেজ) স্থাপন করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। ঢাকা চেম্বারের নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ গতকাল মঙ্গলবার শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করতে গেলে এই প্রস্তাব করা হয়।


এ সময় শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, দেশের ৭৪টি বিসিক শিল্পনগরের মধ্যে ৬০টিতেই প্লট খালি নেই। উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্লট বরাদ্দ দিতে ৪০টি বিসিক শিল্পনগরের সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিল্প পার্ক স্থাপনের প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে।
সাক্ষাতের সময় শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শিল্পসচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী। আর ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আসিফ ইব্রাহীমের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হায়দার আহমদ খান, পরিচালক টি আই এম নুরুল কবীর, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, আবসার করিম চৌধুরী, এম আবু হোরায়রা, খন্দকার শহীদুল ইসলাম, হোসেন এ সিকদার প্রমুখ।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বারের পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, উদ্যোক্তাদের আগ্রহ সৃষ্টিতে ঢাকার চারদিকে (পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ) শিল্প জোন স্থাপন করা প্রয়োজন। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় দেশের প্রতিটি জেলায় এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
আসিফ ইব্রাহীম বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহার, অভ্যন্তরীণ খাতে টাকার প্রবাহের নিম্নগতি এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তাছাড়া নতুন শিল্প-কারখানাগুলোতেও গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
ঢাকা চেম্বারের পক্ষ থেকে দেশের উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের মেধাস্বত্ব রক্ষায় মেধাস্বত্ব নীতিমালা প্রণয়ন, নদী বন্দরগুলোতে পিপিপির আওতায় অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো স্থাপন, সরকার-ঘোষিত অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে মাংস প্রক্রিয়াকরণ, ডেইরি ফার্ম এবং হারবাল কৃষি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
প্রতিনিধিদলকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তাদের সুবিধার জন্য একটি শিল্প তথ্যভান্ডার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে ছয় মাসের মধ্যে শিল্প আইন চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, উদ্যোক্তাদের চাহিদা মেটাতে সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। এর পরও তিন বছরে দেশের কোথাও সার সংকট হয়নি। ইরি-বোরোর চলতি মৌসুমেও দেশের কোথাও সারের ঘাটতি হবে না।
পুরান ঢাকার ঝুঁকিপূর্ণ শিল্প-কারখানা ও হাজারীবাগের ট্যানারি স্থানান্তরে শিল্প-উদ্যোক্তাদের সহায়তা চান শিল্পমন্ত্রী।

No comments

Powered by Blogger.